শপিফাই মানে কি । Shopify থেকে ইনকাম করার উপায় । What Is Shopify in bengali

ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল শপিফাই। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার নিজের অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারবেন এবং পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারবেন।

শপিফাই মানে কি । Shopify থেকে ইনকাম করার উপায়
শপিফাই বলতে কি বুঝায়

শপিফাই থেকে ইনকাম করার অনেকগুলি উপায় রয়েছে, যেমন ড্রপশিপিং, আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি করা, বা অন্যদের পণ্য বিক্রি করার জন্য একটি মার্কেটপ্লেস তৈরি করা।

সহজ কথায় বলতে গেলে শপিফাই হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি কোনো প্রকার এডভান্স লেভেলের কোডিং দক্ষতা ছাড়াই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও আছে…

এর পাশাপাশি আপনি সেই ই-কমার্স স্টোর বা ওয়েবসাইটকে খুব সহজ ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। তো আমাদের অনেকের মনে শপিফাই নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন রয়েছে।

যেগুলো আমি আজকের আলোচনাতে শপিফাই কি, শপিফাই এর কাজ কি এবং Shopify থেকে টাকা ইনকাম করা এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

শপিফাই মানে কি? What Is Shopify in bengali

মূলত আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান যে, Shopify কী আর এর ব্যবহার কেমন। তো শপিফাই হলো বিশেষ এক ধরনের ওয়েবসাইট বিল্ডার প্ল্যাটফর্ম।

যার সাহায্য আপনি কোনো প্রকার টেকনিক্যাল নলেজ বা প্রোগ্রামিং দক্ষতা ছাড়াই একটি ই-কমার্স স্টোর তৈরি করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনার তৈরি করা ই কমার্স স্টোর এর মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন। কেননা আমরা সকলেই জানি যে, কোনো একটি ইকমার্স সাইট তৈরি করার পর প্রোডাক্ট যুক্ত করতে হয়।

তারপর সেই প্রোডাক্ট গুলোর প্রচারের মাধ্যমে সেল করতে হয়। তবে সেল করার সময় অবশ্যই আপনাকে ক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট নিতে হবে।

তো এই যাবতীয় কাজ গুলো আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে করতে পারবেন। 

শপিফাই এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?

Shopify ki সেটি আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম। তো এবার আমাদের আরো একটি বিষয় জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো, শপিফাই এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। আর আমাদের সেই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত্য জরুরী। যেমন,

  1. শপিফাই হলো ওয়েব বেসড এক ধরনের সফটওয়্যার। 
  2. বর্তমান বিশ্বের প্রায় ১৭৮+ দেশে এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা হয়। 
  3. শপিফাই মাল্টি পেমেন্ট গ্রহন করে থাকে। 
  4. এই ওয়েব বেসড সফটওয়্যারটি প্রায় ২০+ ভাষা সাপোর্ট করে। 
  5. এটি ব্যবহার করতে কোনো প্রকার এডভান্স কোডিং নলেজ দরকার হয়না। 
  6. খুব সহজ ভাবে আপনার ই কমার্স স্টোর পরিচালনা করা সম্ভব। 
  7. আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

তো বর্তমান সময়ে শপিফাই এর যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলো উপরের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।  

শপিফাই এর কাজ কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, শপিফাই হলো একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট বিল্ডার। যার মূল কাজ হলো ব্যবসায়ীদের কোডিং দক্ষতা ছাড়াই একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দেওয়া।

যেখানে আপনি আপনার ই কমার্সের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুলো যুক্ত করতে পারবেন। আর সে গুলো কাস্টমারদের নিকট বিক্রি করতে পারবেন।

কেননা, যখন আপনি অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। তখন আপনাকে সেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রচুর পরিমান অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে।

এর পাশাপাশি সেই ওয়েবসাইট কে পরিচালনা করার জন্য আপনার নিকট জনবল থাকতে হবে। কিন্তুু এই ধরনের কাজ গুলো শপিফাই এর মাধ্যমে খুব সহজেই করা সম্ভব।

আপনি আরোও দেখুন ; ড্রপশিপিং করে আয় করার উপায়

সেক্ষেত্রে আপনার ই কমার্স স্টোর তৈরি করতে তেমন অর্থ ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হবেনা। সেইসাথে আপনার সদ্য তৈরি করা ই কমার্স স্টোর পরিচালনা করতে তেমন জনবলের দরকার হবেনা।

কারণ, আপনার এই যাবতীয় কাজ গুলো শপিফাই এর মাধ্যমে খুব সহজেই করা সম্ভব হবে। 

Shopify কিভাবে কাজ করে?

এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, শপিফাই দিয়ে আমরা কি কি করতে পারবো। তো এগুলোর পাশাপাশি আমাদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো, Shopify কিভাবে কাজ করে সেই কাজ গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারনা রাখা উচিত। তো যদি আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে চান।

তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে তাদের নিকট থেকে পেইড সাবস্ক্রিপশন কিনে নিতে হবে। তবে এই পেইড সাবস্ক্রিপশন আপনি বিনা কারনে দিবেন না।

বরং এই ধরনের প্ল্যান গুলোর মধ্যে আপনি একটি ডোমেইন পাবেন, ওয়েব হোস্টিং পাবেন এছাড়াও আপনি এসএসএল সুবিধা পাবেন।

আর প্রথমে আপনাকে শপিফাইন এর নিকট থেকে এই ধরনের যেকোনো একটি প্ল্যান কিনে নিতে হবে।

তারপর আপনি তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ই কমার্স স্টোর তৈরি করার সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

আর তাদের নিকট এমন অনেক ধরনের প্ল্যান আছে। তবে আপনি আসলে কোন ধরনের প্ল্যান কিনতে চান, সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে। 

Shopify দিয়ে কি কি কি স্টোর তৈরি করা যাবে?

এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। সেটি হলো, Shopify দিয়ে কি কি কি স্টোর তৈরি করা যাবে।

আর আপনার মনেও ‍যদি এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি Shopify দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্টোর তৈরি করতে পারবেন। যেমন,

  1. নন-প্রোডাক্ট স্টোর: বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা, কোর্স বা ইনফরমেশনাল সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন। 
  2. এফিলিয়েট স্টোর: এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে কমিশন নিতে পারবেন। 
  3. সাবস্ক্রিপশন স্টোর: কাস্টমারদের বিভিন্ন ধরনের পরিসেবা প্রদান করতে পারবেন। 
  4. ড্রপশিপিং স্টোর: ক্রেতার কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে অন্য কোনো কোম্পানির কাছ থেকে পন্য কিনে সেটি ডেলিভারি দিতে পারবেন। 
  5. রিটেল স্টোর: এই স্টোর এর মাধ্যমে আপনি পুরাতন পণ্য কাস্টমারদের নিকট সেল করতে পারবেন।

যেহুতু শপিফাই একটি ই কমার্স বেসড ওয়েব সফটওয়্যার। সেহুতু আপনি উক্ত সফটওয়্যার এর মাধ্যমে উপরোক্ত স্টোর গুলো তৈরি করতে পারবেন।

তো আপনি আসলে কোন ধরনের পন্য সেল করার জন্য ই কমার্স স্টোর তৈরি করতে চান। সেটি আপনাকে নিজে থেকে সিলেক্ট করে নিতে হবে। 

Shopify এর সুবিধা কি?

সত্যি বলতে কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম তখনি ব্যবহার করা উচিত। যখন সেই প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে।

মূলত সে কারণে যেহুতু আমরা শপিফাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। সেহুতু আমাদের জানতে হবে যে, Shopify এর সুবিধা কি।

তো যখন আপনি অনলাইন স্টোর তৈরি করার জন্য শপিফাই ব্যবহার করবেন। তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে নিচের তালিকায় বিস্তারিত বলা হলো। যেমন, 

০১ – উন্নত কাস্টমার সাপোর্ট

আমরা সকলেই জানি যে, কোনো একটি অনলাইন স্টোরকে পরিচালনা করার জন্য কাস্টমার সাপোর্ট কতটা গুরুত্ব বহন করে।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে কোনো অনলাইন স্টোর তৈরি করবেন। তখনও আপনার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাস্টমার সাপোর্ট এর দরকার হবে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আর এই বিশেষ সুবিধা টি আপনি শপিফাই থেকে সহজেই নিতে পারবেন। কেননা, যখন আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবে।

তখন আপনি তাদের নিকট থেকে ২৪/৭ দিনে লাইভ সাপোর্টে কথা বলতে পারবেন।

যদি আপনার সমস্যা গুরুতর হয়, তাহলে আপনি তাদের সাথে সরাসরি ফোন, ইমেইল বা লাইভ চ্যাট এর মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন। 

০২ – সহজে পরিচালনা করা যায় 

কোনো একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করার পর আপনার সব কাজ শেষ হবেনা। বরং আপনাকে পরবর্তী সময়ে সেই অনলাইন স্টোরকে পরিচালনা করতে হবে।

তবে সবচেয়ে ভালো লাগার মতো বিষয় হলো, যদি আপনার নিকট একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকে।

তাহলে আপনি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল দিয়ে আপনার অনলাইন স্টোরকে পরিচালনা করতে পারবেন।

কেননা, গুগল প্লে স্টোর এর মধ্যে আপনি মোবাইলে শপিফাই ব্যবহার করার জন্য একটি অ্যাপস দেখতে পারবেন।

যার মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট এড করতে পারবেন। এছাড়াও স্টোর পরিচালনা করার জন্য সকল কাজ গুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

০৩ – বিশ্বাসযোগ্য হোস্টিং সুবিধা

যদি আপনি একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটা ভালো মানের হোস্টিং ক্রয় করতে হবে।

আর যখন আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করবেন। তখন আপনাকে হোস্টিং নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবেনা।

কেননা, আপনি সরাসরি শপিফাই থেকে অনেক ভালো মানের হোস্টিং ক্রয় করে নিতে পারবেন। এছাড়াও তাদের হোস্টিং ব্যবহার করতে যদি আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হয়।

তাহলে আপনি তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের নিকট থেকে সমাধান করে নিতে পারবেন। 

০৪ – শপিফাই এর নিজস্ব অ্যাপ স্টোর

যেহুতু আপনি শপিফাই থেকে অনলাইন স্টোর তৈরি করবেন। তখন আপনাকে প্রতিনিয়ত সেই স্টোরে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার প্রয়োজন হবে।

তো আপনি এই যাবতীয় কাজ গুলো শপিফাই এর অনলাইন স্টোর থেকে করতে পারবেন।

কেননা, তাদের নিজস্ব অ্যাপ স্টোরের মধ্যে সকল আপডেট ফিচার গুলো যুক্ত করা হয়। আর আপনি চাইলে মাত্র কয়েকটা ক্লিক করার মাধ্যমে সেই ফিচার গুলো আপনার সাইটে এড করতে পারবেন।

এর ফলে আপনার অনলাইন স্টোর আগের তুলনায় আরো বেশি ডেভলপ করতে পারবে। 

Shopify দিয়ে কি ধরণের পণ্য বিক্রয় করা যায়?

আপনি শপিফাই দিয়ে আর্কষনীয় একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারবেন। আর আপনার তৈরি করা সেই অনলাইন স্টোরে আপনি বিভিন্ন ধরনের পন্য বিক্রয় করতে পারবেন।

আর এবার আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান করবো। যে তালিকায় আপনি সেই বিক্রয় করা পন্যের নাম গুলো দেখতে পারবেন। যেমন,

  1. পোশাক,
  2. আসবাবপত্র,
  3. ইলেকট্রিক সামগ্রী,
  4. খাদ্যদ্রব্য,
  5. পানীয়,
  6. খেলনা পন্য,
  7. ইবুক,
  8. এনিমেশন ভিডিও,
  9. অন্যান্য পন্য,

উপরের তালিকায় আপনি যেসকল পন্যের নাম দেখতে পাচ্ছেন। আপনি আপনার অনলাইন স্টোরে সেই পন্য গুলোকে সেল করতে পারবেন।

তবে এগুলোর বাইরেও আরো অনেক পন্য আছে। যেগুলো আপনি আপনার অনলাইন স্টোরে সেল করার সুবিধা পাবেন। 

শপিফাই থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

অনলাইনে আমরা যা কিছুই করিনা কেন। তার পেছনে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে, সেটি হলো টাকা ইনকাম করা।

আর যখন আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে অনলাইন ইকমার্স স্টোর তৈরি করবেন। তখন আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম দুইটি উপায় নিয়ে এবার আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো। যেমন, 

০১ – অনলাইন স্টোরে পন্য সেল করা

তো শপিফাই থেকে ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো, অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে পন্য সেল করা।

কেননা, যখন আপনার নিকট একটি অনলাইন স্টোর থাকবে, তখন আপনি সেই স্টোরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পন্য যুক্ত করতে পারবেন।

আর যখন আপনার যুক্ত করা পন্য গুলোর সেল হওয়া শুরু হবে। তখন আপনি সেই সেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে এই সেল করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে হলে আপনার ই কমার্স স্টোরটি অনেক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত হতে হবে। 

০২ – অনলাইন স্টোর বানিয়ে টাকা আয়

 যদি আপনার মধ্যে ওয়েব ডিজাইনের দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে একটি অনলাইন ই কমার্স তৈরি করার পর।

সেটিকে আপনার চাহিদা মতো আরো আর্কষনীয় ভাবে ডিজাইন করতে পারবেন। এরপর সেগুলো কে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট এর নিকট সেল করতে পারবেন। 

শপিফাই শিখতে কতদিন লাগে?

গুগলের মধ্যে আপনার অনেকেই জানতে চান যে, শপিফাই শিখতে কতদিন সময় লাগে। তো একজন মানুষের ক্ষেত্রে আসলে শপিফাই শিখতে কতদিন লাগে।

সেটা সম্পূর্ণ ভাবে সেই মানুষটির দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। কারণ, যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনার শপিফাই শিখতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবেনা।

কিন্তুু যদি আপনার পূর্বের কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকে। তাহলে শপিফাই এর যে প্রাথমিক ধাপ গুলো আছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে আপনার কিছুটা সময় ব্যয় করতে হবে।

আর আপনি যদি মন দিয়ে ২০ থেকে ৩০ দিন শপিফাই শেখার চেষ্টা করেন। তাহলে আশা করি, আপনিও একজন শপিফাইন এক্সপার্ট হতে পারবেন। 

শপিফাই ড্রপশিপিং কি?

আমরা সকলেই জানি যে, ড্রপশিপিং হলো এমন একটি অনলাইন ব্যবসা করার মাধ্যম। যেখানে আপনার নিকট কোনো ধরনের পন্যের মজুত না থাকার পরেও আপনি সেই পন্য ক্রেতার নিকট সেল করতে পারবেন।

অর্থ্যৎ এখানে আপনি ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতার মাঝে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে থাকতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

ঠিক একই কাজটি যখন আপনি শপিফাই এর মাধ্যমে তৈরি করা অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে করবেন। তখন তাকে বলা হবে, শপিফাই ড্রপশিপিং।

বলা বাহুল্য যে, বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ প্রত্যেক্ষ ভাবে শপিফাই ড্রপশিপিং এর সাথে যুক্ত আছে। 

একটি Shopify স্টোর শুরু করতে কত খরচ হয়

একটি Shopify স্টোর শুরু করার জন্য, আপনাকে একটি Shopify প্ল্যান এবং একটি ডোমেইন নাম কিনতে হবে। Shopify প্ল্যানগুলি প্রতি মাসে $29 থেকে শুরু হয়।

ডোমেইন এর জন্য সাধারণত প্রতি বছর খরচ $17 লাগবে। তবে একেক ডোমাইন এর দাম একেক রকম হয়। ডোমাইন নিয়ে আমার আর এই লেখা পড়তে পারেন।

Shopify প্ল্যান

Shopify-এর তিনটি মূল প্ল্যান রয়েছে:

  • বেসিক: $29/মাস
  • শেয়ার্ড: $79/মাস
  • উন্নত: $299/মাস

এই প্ল্যানগুলির মধ্যে পার্থক্যগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বেসিক: 50 পণ্য পর্যন্ত, 2 ডেটাবেস, 2 অ্যাকাউন্ট, এবং 1 থিম
  • শেয়ার্ড: 500 পণ্য পর্যন্ত, 3 ডেটাবেস, 5 অ্যাকাউন্ট, এবং 3 থিম
  • উন্নত: 2000 পণ্য পর্যন্ত, 5 ডেটাবেস, 15 অ্যাকাউন্ট, এবং 5 থিম

ডোমেইন নাম

আপনার Shopify স্টোরের জন্য একটি ডোমেইন নাম কিনতে, আপনি একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রারের সাথে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

কিছু জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্ট্রার হল GoDaddy, Namecheap, এবং NameSilo কোম্পানি।

অন্যান্য খরচ

একটি Shopify স্টোর শুরু করার সাথে সাথে আপনি যে অন্যান্য খরচগুলির সম্মুখীন হতে পারেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পেমেন্ট প্রসেসিং ফি: Shopify বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে সমর্থন করে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব ফি রয়েছে।
  • শিপিং ফি: আপনি আপনার প্রডাক্টগুলি আপনার গ্রাহকদের কাছে কীভাবে পাঠাবেন তা নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে একটি শিপিং সরবরাহকারীর সাথে কাজ করতে হবে। শিপিং ফি গুলি প্রডাক্ট এর আকার, ওজন এবং ঠিকানার উপর নির্ভর করবে।
  • অন্যান্য অ্যাপ এবং সার্ভিস ফি: Shopify একটি বড় অ্যাপ স্টোর যা আপনাকে আপনার স্টোরকে আরও কার্যকারিতা এবং বৈশিষ্ট্য বাড়াতে সাহায্য করে দেয়। এই অ্যাপগুলির জন্য ফি গুলিও অ্যাপের উপর নির্ভর করবে।

মোট খরচ

আপনার Shopify স্টোরের মোট খরচ আপনার ব্যবসার প্রয়োজনীয়তা এবং আপনি কতগুলি অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য এবং সার্ভিস নিতে চান তার উপর নির্ভর করবে।

একটি ছোট ব্যবসার জন্য, একটি বেসিক Shopify প্ল্যান এবং একটি ডোমেইন নাম দিয়ে শুরু করা একটি আইডিয়া।

আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি পেলে, আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলি মেটাতে আপনার প্ল্যান এবং অন্যান্য সার্ভিস গুলি আপগ্রেড করতে পারেন।

এখানে একটি উদাহরণ রয়েছে একটি Shopify স্টোর শুরু করার জন্য খরচ হতে পারে:

  • Shopify বেসিক প্ল্যান: $29/মাস
  • ডোমেইন নাম: $17/বছর
  • পেমেন্ট প্রসেসিং ফি: 3.9% + $0.30 প্রতি লেনদেন
  • শিপিং ফি: $5 প্রতি প্যাকেজ

এই উদাহরণে, একটি ছোট ব্যবসার জন্য একটি Shopify স্টোর শুরু করার মোট খরচ প্রতি মাসে প্রায় $50 হবে। তবে এটা শুধু ধারনা আপনার স্টোরের ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আলাদা খরচ আছে।

Faqs

শপিফাই ড্রপশিপিং কি?

শপিফাই ড্রপশিপিং হল একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি আপনার নিজস্ব স্টকে পণ্য রাখা লাগে না। যখন আপনি একটি অর্ডার পান, তখন আপনি একটি তৃতীয় পক্ষের সরবরাহকারীকে পণ্যটি সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠানোর জন্য বলেন।

Shopify কি এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়?

শপিফাই হল একটি ক্লাউড-ভিত্তিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদের অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করে। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই একটি সুন্দর ও কার্যকরী অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারেন।

Shopify কি নতুনদের জন্য ভাল?

হ্যাঁ, শপিফাই নতুনদের জন্য একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম। এটি একটি সহজ ইন্টারফেস এবং একটি বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য সেট রয়েছে যা নতুনদের একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে সহায়তা করে।

Shopify store ডিজাইন কি?

Shopify স্টোর ডিজাইন হল আপনার অনলাইন স্টোর দেখতে কেমন হবে। এটি আপনার স্টোরের সাফল্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একটি ভাল ডিজাইন করা স্টোর গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং তাদের কেনাকাটা করার আগ্রহ বাড়াতে পারে।

শপিফাই থিম তৈরি করতে কত সময় লাগে?

শপিফাই থিম তৈরি করতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে থিমের ডিজাইনের উপর। একটি সিম্পম থিম তৈরি করতে মাত্র কয়েক ঘন্টা লাগতে পারে, তবে একটি বড় থিম তৈরি করতে কয়েক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।

শপিফাই স্টোর সেট আপ করা কি সহজ?

হ্যাঁ, শপিফাই স্টোর সেট আপ করা সহজ। আপনি মাত্র কয়েকটি ধাপে একটি সম্পূর্ণ কার্যকরী অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারেন।

Shopify (শপিফাই) কেন এত জনপ্রিয়

Shopify জনপ্রিয় কারণ এটি একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম যা যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় কোম্পানি পর্যন্ত। এটি নতুন এবং অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের জন্য উপযুক্ত এবং সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহার হয়।

শপিফাই থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

শপিফাই ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে দোকান খুলতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। আপনার পরিশ্রম এবং Reference মাধ্যমে ব্যবসাকে সফল করতে পারবেন এবং টাকা আয় করা যাবে।

শপিফাই এর মালিক কে

শপিফাই এর মালিক হলেন টোবিয়াস লুটক। তিনি একজন কানাডীয় ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তিনি ২০০৪ সালে শপিফাই প্রতিষ্ঠা করেন।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

যারা শপিফাই সম্পর্কে সকল অজানা বিষয় জানতে চান। মূলত তাদের জন্য আজকে লেখা আর্টিকেল টি অনেক হেল্পফুল হবে।

কেননা, আজকে আর্টিকেলে আমি আপনাকে শপিফাই এর সকল অজানা বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

তবে এই আলোচনার পরেও যদি আপনার মনে শপিফাই সংক্রান্ত আরো কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে আপনার প্রশ্নটি নিচে কমেন্ট করবেন।

আর এতক্ষন ধরে Bangla it Blog এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top