ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় : ইউটিউব হলো বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ভিডিও শেয়ারিং করার প্ল্যাটফর্ম।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

যেখানে আপনি একজন ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে যদি আপনি ইউটিউবে কাজ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব এর নিয়ম কানুন গুলো সঠিক ভাবে জানতে হবে। তো আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে ইউটিউব থেকে আয় করার যাবতীয় বিষয় গুলো জানিয়ে দিব।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

এর পাশাপাশি ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিব।

আর এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে হলে। আপনাকে অবশ্যই আজকের পুরো লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

সবার শুরুতে আমি আপনাকে একটা বিষয় পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই। আর সেই বিষয় টি হল, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা আসলে জানতে চান যে, ইউটিউবে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়।

আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব যে, আপনার যদি ইউটিউব সম্পর্কে দক্ষতা থাকে এবং youtube এ কাজ করার মত পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা থাকে।

তাহলে আপনি এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু যদি আপনার ইউটিউব এ কাজ করার মত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি youtube থেকে এক টাকাও ইনকাম করতে পারবেন না।

কেননা, আমি আপনাকে এমন অনেক ইউটিউবার এর উদাহরণ দিতে পারব। যারা youtube প্লাটফর্মে ভিডিও আপলোড করে প্রতি মাসে 10 থেকে 15 লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পেরেছে।

কিন্তু তারা একদিনে এই পরিমাণ ইনকাম করতে পারেনি। বরং তারা দীর্ঘদিন youtube এ কাজ করেছে, ইউটিউব প্লাটফর্মে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়েছে।

তারপর যখন তারা এই প্লাটফর্মে সফলতা পেয়েছে। ঠিক তখন থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পেরেছে।

আর আপনিও যদি তাদের মত youtube থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন দক্ষ ইউটিউবার হতে হবে।

অন্যথায় আপনাকেও ব্যর্থ ইউটিউবারদের দলে নাম লেখাতে হবে। তো, ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়। আশা করি, আপনি সেই বিষয়টি সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল?

এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কেননা অনেকেই জানতে চান যে, ইউটিউব থেকে যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করা হয়। সেই ইনকাম করা টাকা গুলো হারাম নাকি হালাল?

আর আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা হালাল নাকি হারাম সে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে, ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।

কেননা আপনি এমন অনেক উপায় দেখতে পারবেন। যে উপায় গুলোর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়। আর সেই উপায় গুলো হলো,

  1. ইউটিউব মনিটাইজ,
  2. পেইড স্পন্সশীপ,
  3. প্রোমোশন,
  4. মার্কেটিং ইত্যাদি।

তবে ইউটিউব থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় থাকলেও। অধিকাংশ ইউটিউবার এর প্রধান আয়ের উৎস হল, ইউটিউব মনিটাইজেশন।

যেখানে একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার পর। সেই চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলো তে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।

আর সেই বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে উক্ত ইউটিউব চ্যানেলের মালিক অর্থ ইনকাম করতে পারে।

এখন একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও তে যদি কোন হারাম জাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা টাকা গুলো হারাম এর পর্যায়ে পড়বে।

অপরদিকে যদি আপনার ভিডিও তে কোন হালাল প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। তাহলে কিন্তু আপনার সেই বিজ্ঞাপন থেকে আর করা টাকা গুলো হালালের পর্যায়ে পড়বে।

এছাড়াও আপনি একজন ইউটিউব চ্যানেলের মালিক হয়ে যদি কোন খারাপ প্রোডাক্ট এর প্রমোশন করেন। এর পাশপাশি কোনো হারাম প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করেন।

সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত কাজের বিনিময়ে যে পরিমাণ টাকা ইউটিউব থেকে আয় করবেন। সে গুলো হারাম হিসেবে গণ্য করা হবে।

কিন্তু যদি আপনি হালাল প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করেন। সেক্ষেত্রে আপনার আয় করা টাকা গুলো হালাল এর আওতায় পড়বে।

তাই ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা একে বারে হারাম অথবা একবারেই হালাল এটা বলা সম্ভব নয়। বরং সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিওতে দেখাচ্ছেন তার উপর।

এর পাশাপাশি আপনি কোন ধরনের প্রোডাক্টের প্রমোশন বা মার্কেটিং করছেন তার উপরেও নির্ভর করবে।  

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় গুলো কি কি?

যদি আপনি একজন সফল ইউটিউবার হতে পারেন। আর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও তে যদি মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ আসে।

তাহলে আপনি সেই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর এবার আমি আপনাকে সেই ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় গুলো ধাপে ধাপে জানিয়ে দিব।

যাতে করে আপনি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারেন যে, বর্তমান সময়ে ইউটিউব থেকে কি কি উপায়ে ইনকাম করা যায়। 

০১ – ইউটিউব মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে 

প্রতি বছর youtube কর্তৃপক্ষ তাদের পাবলিশারদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট দেয়। আর একজন নতুন ইউটিউব চ্যানেলের মালিক যখন তাদের টার্গেট পূরণ করে।

তখন সেই ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও তে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। মূলত youtube এর ভাষায় এই প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, মনিটাইজেশন।

এভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও তে যত বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আপনি সেই বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

আর বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ ইউটিউবার এই পদ্ধতিতে ইউটিউব থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে আসছে। 

০২ – অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে 

সহজ কথা বলতে গেলে, যখন আপনি কোন অনলাইন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। তখন সেই সেল করার বিনিময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেওয়া হবে।

আর এই কাজ কে অনলাইনের ভাষায় বলা হয়ে থাকে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যে কাজটি আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকেও করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও তে দারাজ, আলিবাবা কিংবা এমাজন এর কোন প্রোডাক্ট এর প্রচার করলেন।

এখন আপনার সেই প্রচার দেখে দর্শকরা আপনার দেওয়া অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করল।

তাহলে আপনি সেখান থেকে প্রোডাক্ট সেল করার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

আর বর্তমান সময়ে অনেক ইউটিউবার মনিটাইজেশন এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। 

০৩ – পেইড স্পন্সরশীপ এর মাধ্যমে 

মনে করুন, একটি অ্যাপস তৈরি করা কোম্পানি। তাদের নতুন কোন একটি অ্যাপস আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করতে চাইলো।

আর আপনি আপনার ভিডিওর মাধ্যমে তাদের অ্যাপস এর নাম প্রচার করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চাইলেন। তারপর সেই কোম্পানি আপনাকে সেই অর্থ প্রদান করলো।

মূলত এই পদ্ধতি কে বলা হয়ে থাকে পেইড স্পন্সরশিপ। যেটি আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

আর এই পদ্ধতির মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনার ভিডিও তে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ থাকতে হবে। 

০৪ – নিজস্ব প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে 

উপরের পদ্ধতি গুলো ছাড়াও ইউটিউব থেকে আরও একটি বিশেষ পদ্ধতিতে টাকা আয় করা যায়। আর সেই পদ্ধতি টি হল, নিজস্ব প্রোডাক্ট সেল করা।

মনে করুন, আপনার একটি কাপড়ের দোকান আছে। এখন আপনি চাচ্ছেন অফলাইনে কাপড় বিক্রি করার পাশাপাশি। অনলাইন এর মাধ্যমেও আপনার সেই কাপড় বিক্রি করবেন।

সেক্ষেত্রে যদি আপনার একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল থাকে। তাহলে আপনার চ্যানেলের দর্শকদের কাছেও আপনি আপনার কাপড় বিক্রি করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও আছে…

তো উপরে আপনি যে সকল পদ্ধতি দেখতে পাচ্ছেন। মূলত এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

কিন্তু আপনি যদি এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি জনপ্রিয় হতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলো দেখার মত হিউজ পরিমাণ দর্শক থাকতে হবে। তাহলেই আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি

উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে যে সকল ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় বলেছি। সে গুলো খুব সাধারণ অর্থাৎ অধিকাংশ ইউটিউবার এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে।

তবে আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারণ, এমন বারো (১২) টি উপায়ে রয়েছে।

যে উপায় গুলোর মাধ্যমে একজন ইউটিউবার ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

আর সেই youtube থেকে আয় করার বারো (১২) টি পদ্ধতি নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো। চাইলে আপনিও এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমন, 

  1. গুগল এডসেন্সঃ এটি হলো ইউটিউব থেকে আয় করার জনপ্রিয় একটি উপায়। যার মাধ্যমে আপনি youtube ভিডিও তে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
  2. সাবস্ক্রিপশনঃ আপনার ইউটিউব এর মধ্যে বেশ কিছু ভিডিও এক্সেস করার জন্য। দর্শকদের নিকট পেইড সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
  3. চ্যারিটি ডোনেশনঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের দর্শকদের নিকট থেকে ডোনেশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 
  4. প্রোডাক্ট প্লেসমেন্টঃ বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর প্রচার করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। 
  5. স্পনসরশিপঃ নির্দিষ্ট এক বা একাধিক কোম্পানির প্রোডাক্ট এর প্রোমোশন করার মাধ্যমে টাকা করতে পারবেন। 
  6. ইভেন্ট টিকিট বিক্রিঃ বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট এর টিকিট বিক্রি করে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
  7. ডিজিটাল পণ্য বিক্রিঃ অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করেও ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়।
  8. ফ্যান ক্লাবঃ আপনার চ্যানেলের দর্শকদের কাছে একটি ফ্যান ক্লাব তৈরি করে। সেখানে এক্সেস দেয়ার বিনিময়ে পেইড সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় করতে পারবেন। 
  9. লাইভ প্রোডাক্টঃ দর্শকদের কাছে লাইভ এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। 
  10. সফটওয়্যার বিক্রিঃ যদি আপনার নিজস্ব কোনো সফটওয়্যার থাকে। তাহলে আপনি সেই সফটওয়্যার গুলো বিক্রি করতে পারবেন। 
  11. সার্ভিস বিক্রিঃ আপনার যদি নিজস্ব কোনো সার্ভিস থাকে। তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মাধ্যমে সেই সার্ভিস সেল করতে পারবেন। 
  12. ইউটিউবিং শিখিয়েঃ আপনার চ্যানেলে যেসব দর্শক থাকবে। আপনি তাদের ইউটিউবে কাজ করা শিখিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন। 

উপরের তালিকা তে আপনি মোট ১২ টি ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় দেখতে পাচ্ছেন।

তো আপনি যদি একজন সফল ইউটিউবার হতে পারেন। তাহলে আপনিও ‍উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। 

ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা দেয়?

আপনি আসলে ইউটিউব থেকে কত ভিউ তে কত টাকা পাবেন। সেটি মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। আর সেই বিষয় গুলো হলো,

  1. ভিডিওর ধরন
  2. ভিডিওর দর্শকের অবস্থান
  3. ভিডিওর দর্শকের আগ্রহ
  4. বিজ্ঞাপনের ধরন
  5. বিজ্ঞাপনের দাম

তাই এটি আসলে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় যে, ইউটিউবে আপনাকে কত ভিউ এর উপর কত টাকা দিবে। 

১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা?

উপরের আলোচনা তে আমি আপনাদের বলে দিয়েছি যে, ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা দেয়।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, ১ মিলিয়ন ভিউতে ইউটিউব কত টাকা দেয়।

আর আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের স্পষ্ট করে বলে রাখি যে, আপনার ভিডিও তে এক মিলিয়ন ভিউ হলে।

আপনি মোট কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেটা কখনোই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

কেননা, আপনি যদি বাংলাদেশের দর্শকদের টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করেন। তাহলে আপনি যে পরিমাণ টাকা ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

তার থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি ইউরোপ, আমেরিকার দর্শকদের টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করেন।

এছাড়াও আপনার ভিডিও টি কোন ভাষায় তৈরি করা হয়েছে। সেটার উপর নির্ভর করেও ভিউয়ের এর বিনিময়ে ইনকাম আসবে।

তাই এটা কখনোই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় যে, কত ভিউ থেকে কত পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। 

ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইব কত টাকা?

আমরা অনেকেই মনে করি যে, ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে থাকা সাবস্ক্রাইব এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা যায়।

কিন্তু যারা আসলে এই বিষয়টি মনে করেন, তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা ইউটিউব থেকে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব এর বিনিময়ে কোন ধরনের অর্থ প্রদান করা হয় না।

তবে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ subscribe থাকে।

তাহলে আপনার সেই ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার ভিডিও তে অনেক বেশি ভিউ আসবে। আর সেই ভিউ থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।

আর একটি ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে আপলোড করা ভিডিও তে কত ভিউ হলে কত টাকা পাওয়া যায়। তা উপরের আলোচনায় বিস্তারিত বলা হয়েছে। 

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগে?

Youtube চ্যানেল খুলতে কোন ধরনের টাকার প্রয়োজন হয় না। বরং আপনি একবারে বিনামূল্যে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।

আর আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিকট একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে।

তারপর সরাসরি ইউটিউব এর মধ্যে গিয়ে আপনার সেই জিমেইল টি দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর আপনি উক্ত জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।

তবে সে জন্য আপনাকে কোন ধরনের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে না। 

ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়

যখন আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করবেন। তারপর আপনাকে সেই ইউটিউব চ্যানেল কে মনিটাইজ করতে হবে।

আর একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হওয়ার পর। সেই চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলো তে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।

তো আপনি সেই ভিডিও গুলোতে  বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে সেই টাকা গুলো সরাসরি আপনার কাছে জমা হবে না। বরং গুগলের নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট রয়েছে, যার নাম হল google এডসেন্স।

আর আপনার ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা গুলো সর্বপ্রথম গুগল এডসেন্স এর মধ্যে গিয়ে জমা হবে।

এরপর যখন আপনার একাউন্টে 100 ডলার জমা হবে। তখন আপনি সেই ডলার গুলো আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকায় কনভার্ট করে ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে কি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় ?

হ্যাঁ! অবশ্যই, যদি আপনার হাতে একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকে। আর সেই স্মার্টফোন টি যদি হাই কনফিগারেশন এর হয়।

তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

এর পাশাপাশি কিভাবে মোবাইল থেকে ইউটিউব এর কাজ কর্ম গুলো পরিচালনা করা যায়। সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে।

তাহলেই আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এ কাজ করতে পারবেন। আর সেই কাজ এর বিনিময়ে youtube থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার জন্য আমাদের কিছু কথা 

আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচিত বিষয় হলো, ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়।

আর আপনি যদি আজকের আর্টিকেল টি পড়েন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এই বিষয়ে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তো যদি আপনি অনলাইন ইনকাম রিলেটেড এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এর পাশাপাশি আমাদের পাবলিশ করা আর্টিকেল গুলো সম্পর্কে। যদি আপনার কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top