অর্থায়ন কি | অর্থায়ন  কাকে বলে | অর্থায়ন কত প্রকার ও কি কি?

অর্থায়ন কি : সহজ কথায় বলতে গেলে যে সকল কার্যাবলী অর্থের সাথে সম্পৃক্ত। সেই সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম কে বলা হয়ে থাকে অর্থায়ন।

অর্থায়ন কি  | অর্থায়ন  কাকে বলে | অর্থায়ন কত প্রকার ও কি কি?
অর্থায়ন  কাকে বলে

যদিও বা এই অর্থায়ন কি সে সম্পর্কে আমাদের অনেকের মনে ভুল ধারণা রয়েছে।

কেননা আমরা বেশিরভাগ সময় অর্থ সংগ্রহ করাকে বলে থাকি অর্থায়ন। কিন্তু আদতে বিষয়টি সেটা নয়।

বরং এই অর্থায়ন হল কোন অর্থের সাথে সম্পৃক্ত যাবতীয় কাজের সমষ্টি।

এর পাশাপাশি যখন আপনি কোন একটি কাজ সম্পন্ন করবেন। এবং সেই কাজটি যদি অর্থের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে।

তাহলে সেই কাজকে ও অর্থায়ন এর সাথে তুলনা করা হবে। তবে এই অর্থায়ন কাকে বলে তা কিন্তু এই স্বল্প আলোচনার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

কারণ আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে এই ফিন্যান্স হলো বৃহৎ একটা অংশ। আর আপনি এই বিষয় টি আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

যখন আপনি Financing কি তা পরিষ্কার ভাবে জেনে নিতে পারবেন। আর সে কারণেই আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে ফিন্যান্স কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিব।

এর পাশাপাশি অর্থায়ন কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর আপনি যদি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান।

আপনি আরোও দেখুন…

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের এই পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

তো আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। এবং এই অর্থায়ন কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেয়া যাক।

অর্থায়ন কি বা কাকে বলে ?

যদি আপনি ফিন্যান্স এর ভাষায় অর্থায়ন কি তা সম্পর্কে ধারণা নেন। তাহলে আপনি সেখান থেকে জানতে পারবেন।

যে, অর্থ সংগ্রহ করার পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে অর্থায়ন বা অর্থসংস্থান। কিন্তু অর্থায়ন কাকে বলে তার প্রকৃত অর্থ আপনি এই ফিন্যান্স এর ধারণা থেকে জানতে পারবেন না।

বরং আপনাকে একটু আলাদা ভাবে জেনে নিতে হবে যে অর্থায়ন কি। কারণ শুধুমাত্র অর্থ সংস্থান কিংবা অর্থ সংগ্রহ করাকে অর্থায়ন বলা হয় না।

এর মধ্যে আরও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। যা সম্পর্কে আপনার পরিস্কার ধারণা রাখতে হবে।

প্রথমত বলব যে, অর্থায়ন কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে কাজ করে থাকে।

যেমন, কোন অর্থ যখন তৈরি হয় তখন সেই অর্থের উৎস নির্বাচন করা থেকে শুরু করে, আর্থিক নীতি নির্ধারণ, মূলধন বাজার, অর্থ বিনিয়োগ এবং যখন বিভিন্ন প্রকার প্রকল্পের জন্য সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

তখন এই সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাজ গুলো কে বলা হয়ে থাকে অর্থায়ন। আশা করি অর্থায়ন কি বা অর্থায়ন কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি এই স্বল্প আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন।

তবে এরপরও যদি আপনার মনে সংশয় থেকে থাকে। তাহলে নিচের আলোচনায় নজর রাখুন।

কেননা এবার আমি আপনাকে অর্থায়ন সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে বিষয় ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

অর্থায়ন কী নিয়ে কাজ করে ?

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারেন যে, অর্থায়ন কি বা অর্থায়ন কাকে বলে। আশা করি এই বিষয় টি সম্পর্কে আপনি একবারে পরিষ্কার ভাবে জেনে নিতে পেরেছেন।

তবে এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে।

সেটি হল যে, এই অর্থায়ন কি নিয়ে কাজ করে থাকে। আর এবার আমি আপনাকে এই বিষয় টা সম্পর্কে স্বল্প আকারে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

যাতে করে আপনি অর্থায়ন এর কাজ সম্পর্কে পূর্বে থেকেই জেনে নিতে পারেন। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, অর্থায়ন কি নিয়ে কাজ করে।

  1. অর্থায়ন বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে।
  2. কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রজেক্ট চালু করার জন্য অবশ্যই মূলধনের প্রয়োজন হয়। আর অর্থায়ন সেই মূলধন তহবিলের উৎসব নির্বাচন করে থাকে।
  3. তহবিল সংগ্রহ হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি মূলত অর্থায়ন সম্পন্ন করে থাকে।
  4. কোন একটি কাজে আপনি যখন অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন তাকে সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। এবং সঠিক পরিকল্পনা নির্বাচন করতে হবে। যা মূলত অর্থায়ন করে থাকে।
  5. একটি প্রকল্প বা কোন কাজের জন্য কি পরিমান অর্থে প্রয়োজন হতে পারে। তা মূলত অর্থায়নের মাধ্যমে আপনি পূর্ব থেকেই অনুমান করে নিতে পারবেন।
  6. কোন একটি কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে কি পরিমানে ঝুঁকি নিতে হবে। এবং সেখান থেকে আপনি কি পরিমাণ আয় করতে পারবেন। তা আপনি অর্থায়নের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
  7. যখন আপনি কোন একটি প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠান থেকে মুনাফা লাভ করবেন। এবং সেই মুনাফা আপনি আসলে কিভাবে বন্টন করবেন। তা এই অর্থায়ন এর মাধ্যমে জেনে নেওয়া সম্ভব।
  8. এই বিষয় গুলোর পাশাপাশি অর্থায়ন নগদ তহবিল এবং আর্থিক দলিল সংরক্ষণ করার কাজ করে থাকে।

অর্থায়ন কি সে বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমি আপনাকে উপরের আলোচনায় অর্থায়ন কি নিয়ে কাজ করে। তা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

তো আপনি যদি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, অর্থায়নের বিকল্প কি রয়েছে। এবং সেই বিকল্প গুলোর প্রকারভেদ কি কি।

অর্থায়নের বিকল্প কত প্রকার ও কি কি ?

আমাদের একটা বিষয় বেশ ভালোভাবে মনে রাখা উচিত। আর সেই বিষয় টি হলো যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এর অর্থায়নের দুই ধরনের বিকল্প রয়েছে।

অর্থাৎ সেই কোম্পানি চাইলে এই দুই ধরনের বিকল্প পদ্ধতি গুলোর যে কোনো একটি কে বেছে নিতে পারে। আর এবার আমি আপনাকে অর্থায়ন এর বিকল্প গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যাতে করে এ সম্পর্কে আপনার কোন কিছু অজানা না থাকে।

ইক্যুইটি অর্থায়ন (Equity Financing)

আপনি একটা বিষয় ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে। কোন একটি কোম্পানির মধ্যে এক বা একাধিক মালিকানা থাকে।

আর এই নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির মালিকানা কে ভিন্ন একটি শব্দে ইকুইটি অর্থায়ন বলা হয়ে থাকে। আর বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানিরা সর্বদাই তাদের ইকুইটি বিক্রি করে থাকে।

কেননা তারা সব সময় চান যে সকল বিনিয়োগকারী রয়েছে। তারা যেন যাবতীয় ঝুঁকি গুলো বহন করে।

আর সে কারণে বিভিন্ন কোম্পানি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের এই ইক্যুইটি বিক্রি করে থাকে। তবে এই কাজটি করার মাধ্যমে যারা বিনিয়োগকারী হিসেবে থাকে।

তারা যদি একটি কোম্পানি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মুনাফা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। তাহলে তারা কোন প্রকার লাভের অংশ দেখতে পারে না।

ইক্যুইটি অর্থায়ন এর সুবিধা :

ইক্যুইটি অর্থায়ন কি সে সম্পর্কে আপনি উপরে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। তবে এই ধরনের ইক্যুইটি অর্থায়ন এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

যে গুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে রাখতে হবে। আর এবার আমি আপনাকে সেই সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

  1. যদি আপনি এই ধরনের অর্থায়নের সাথে যুক্ত থাকেন। তাহলে আপনি বিশেষ একটি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর সেটি হল আপনাকে অর্থ ফেরত দিতে হয় না।
  2. মূলত একটি কোম্পানির মধ্যে যখন লুট হবে কিংবা সেই কোম্পানি টি দেউলিয়া হয়ে যাবে। তখন আপনি একজন শেয়ার হোল্ডার হয়ে সেই টাকা ফেরত দেয়ার কোন প্রকারের তাগিদ থাকবে না।
  3. মূলত এই ধরনের অর্থায়নের ফলে আপনার অপারেটিং খরচ এর পরিমাণ অনেক অংশে কমিয়ে আসবে। কেননা এ ধরনের অর্থায়নের ক্ষেত্রে কোন প্রকার মাসিক অর্থ প্রদান করতে হয় না।
  4. আমরা জানি যে বিনিয়োগকারীরা কোন একটি ব্যবসা গড়ে তুলার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সময় নিয়ে থাকে। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য যাবতীয় অর্থ সময় মত সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনি যদি ইক্যুইটি অর্থায়ন এর সুবিধা গুলো জানতে চান। তাহলে আপনাকে উপরের আলোচনায় নজর রাখতে হবে।

কেননা সেখানে আমি যাবতীয় সুবিধা গুলো উল্লেখ করেছি।

ইক্যুইটি অর্থায়ন এর অ-সুবিধা :

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ইক্যুইটি অর্থায়ন এর বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

তবে এগুলো ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

যে গুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। আর আপনি যাতে ইক্যুইটি অর্থায়ন এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিতে পারেন।

সে জন্য নিচে আমি যাবতীয় অসুবিধা গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

  1. যখন এই ধরনের ইক্যুইটি অর্থায়ন করা হয়। তখন কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি এর মধ্যে মালিকানা ভাগ হয়ে যায়।
  2. আর যখন কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি এর মালিকানা বেড়ে যায়। তখন সবাই মিলে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গুলো নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  3. এর পাশাপাশি একটি কোম্পানির মধ্যে মালিকানা বেশি হওয়ার কারণে। উক্ত কোম্পানি থেকে যে পরিমাণ টাকা মুনাফা লাভ করা হয়। তা অনেক জনের মধ্যে ভাগ করে দিতে হয়।

ইক্যুইটি অর্থায়ন এর সুবিধা গুলোর পাশাপাশি। এবার আমি আপনাকে ইক্যুইটি অর্থায়ন এর অসুবিধা গুলো তুলে ধরলাম।

যাতে করে আপনি ইক্যুইটি অর্থায়ন এর প্রত্যেক টা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

ঋণ অর্থায়ন (Debt Financing)

আমরা সবাই জানি যে, ঋণ হলো বিশেষ এক ধরনের দেনা। অর্থাৎ আপনি যদি কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে ঋণ নেন।

সেক্ষেত্রে কিন্তু এই ঋণ এর টাকা ফেরত দেওয়ার সময় আপনাকে সুদসহ ফেরত দিতে হবে। তবে এই টাকা ফেরত দেওয়ার সময় সুদ দিতে হলেও।

যখন আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ নিয়ে এইসব টাকা পাবেন। তখন আপনি সেই টাকা দিয়ে আপনার যে কোন ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠান গঠন করার কাজে উল্টো টাকা গুলো ব্যয় করতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়ুন…

এবং যারা আসলে ঋণদাতা রয়েছেন। তারা বিভিন্ন কাজে এই ধরনের ঋণ দিয়ে থাকেন সুদের হার বৃদ্ধি করার জন্য। কেননা তারা সুদের উপর ভিত্তি করে যত বেশি ঋণ দিবে।

তাদের লাভ করা অর্থের পরিমাণ আরো বেশি বেড়ে যাবে।

ঋণ অর্থায়ন এর সুবিধা

ঋণ অর্থায়নের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। আর এবার আমি আপনাকে সেই সুবিধা গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

  1. যখন আপনি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানি তৈরি করার জন্য ঋণ গ্রহণ করবেন। তখন সেই ঋণদাতার কাছে আপনার কোন প্রকারের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য মালিকানা দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
  2. আপনি যখন কারো কাছ থেকে ঋণ নিবেন। এবং আপনি সফল ভাবে সেই ঋণ পরিশোধ করবেন। তারপর পরবর্তী সময়েও সেই ঋণদাতার সাথে আপনার কোন প্রকারের সম্পর্ক থাকবে না।
  3. অনেক সময় আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ গ্রহণ করবেন। তার পরিমাণ অনুযায়ী সুদের ক্ষেত্রে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তো ঋণ অর্থায়নের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

সেই সুবিধা গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি ঋণ অর্থায়ন এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ঋণ অর্থায়নের অসুবিধা

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ঋণ অর্থায়নের সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এইসব সুবিধা গুলোর পাশাপাশি আপনি ঋণ অর্থায়ন এর বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

চলুন এবার তাহলে সেই অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. যখন আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করবেন। তখন আপনাকে সেই ঋণ এর উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাকে প্রতি মাসে সেই ঋণদাতা কে প্রদান করতে হবে।
  2. যদি আপনি কোন ছোট কিংবা নতুন কোন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ঋণ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেন।
  3. সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমে যাবে।
  4. একবার যখন আপনি ঋণ গ্রহণ করবেন। তার পরবর্তী সময়ে আপনার যত সমস্যা থাকুক না কেন।
  5. কিংবা আপনি যত ঝামেলার মধ্যে থাকুক না কেন। আপনাকে কিন্তু ঠিক ওই সেই ঋণের টাকা সময় মত পরিশোধ করে দিতে হবে।

ঋণ অর্থায়ন এর যে সকল সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা রয়েছে। তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

যদি আপনি ঋণ অর্থায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরের আলোচনা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

মূলধন গঠন (Capital Structure)

যখন আপনি নতুন কোন একটি প্রকল্প কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কথা ভাববেন।

তখন অবশ্যই আপনাকে ঋণ অর্থায়ন এবং ইকুইটি অর্থায়ন এর দিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

আর এর পরবর্তী সময়ে আপনি যে সিদ্ধান্ত নিবেন। মূলত সেই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রকল্প কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মূলধন নামক মূল কাঠামো নির্ধারণ করতে পারবেন।

আর এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আপনি অনুমান করে নিতে পারবেন যে। আপনার প্রকল্প কিংবা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার জন্য আপনার নিকট কি রকম মূলধন এর প্রয়োজন হবে।

এবং তার পরবর্তী সময়ে আপনি আপনার প্রকল্প সম্পন্ন করার কাজ পরিচালিত করতে পারবেন।

অর্থায়ন কত প্রকার ও কি কি ?

অর্থায়ন কি বা অর্থায়ন কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে পেরেছেন।

এবং আমি যথেষ্ট পরিমাণে চেষ্টা করেছি খুব সহজ ভাবে অর্থায়ন কি সে বিষয়টি কে তুলে ধরার।

আর এই বিষয় টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

সেটি হল যে, অর্থায়ন কত প্রকার এবং অর্থায়ন এর প্রকারভেদ গুলো কি কি। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, অর্থায়ন কত প্রকার ও কি কি।

ব্যক্তিগত বা পারিবারিক অর্থায়ন

যখন আপনি অর্থায়নের প্রকারভেদ জানতে পারবেন। তখন আপনি সবার শুরুতেই ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক অর্থায়নের নাম শুনে থাকবেন।

অর্থাৎ একটি পরিবারে মোট যতজন সদস্য থাকে। সেই পরিবারের জন্য কি পরিমান অর্থের উৎস রয়েছে।

এবং সেই অর্থকে কিভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কাজে ব্যয় করা হবে। তার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কিংবা সিদ্ধান্ত কে বলা হয়ে থাকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক অর্থায়ন।

মূলত এই অর্থায়নের মধ্যে কোন একটি পরিবারের মধ্যে মোট আয় এবং মোট ব্যয় এর হিসাব করা হয়ে থাকে। আর সেই পরিবারে যখন অর্থের সংকট দেখা যায়।

তখন সেই পরিবার থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কিংবা পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

ব্যবসায় বা কর্পোরেট অর্থায়ন

আপনি যে কোনো ধরনের ব্যবসা করুন না কেন। আপনার ক্ষেত্রে এই ধরনের অর্থায়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা এই অর্থায়নের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়ের উৎস। এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে পরিচালনা করার জন্য যে পরিমাণ ব্যয় এর খাত রয়েছে।

তার সমস্ত কিছু আপনি এই অর্থায়নের মাধ্যমে নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। কেননা যেহেতু আপনি একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সেহেতু অবশ্যই আপনার একটা বিষয় জানা থাকবে।

সেটি হল যে, প্রত্যেক টি ব্যবসাতে ঝুঁকি রয়েছে, লাভ রয়েছে এর পাশাপাশি লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আর আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে যখন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অধিক পরিমাণ মুনাফা লাভ করার জন্য বিনিয়োগ করবেন।

এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনি আপনার ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালিত করবেন। তখন তাকে বলা হবে, ব্যবসায় অর্থায়ন।

অব্যবসায়িক অর্থায়ন

আমরা অনেক সময় দেখে থাকি যে, এমন অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা মূলত মুনাফা লাভ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে না।

বরং তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো মানব কল্যাণ করা। আর এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো কে বলা হয় থাকে অব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

মূলত এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের দেশ এবং সমাজের মধ্যে যে সকল গরীব দুঃখী মানুষ রয়েছে।

তাদের উপকার করা হয়ে থাকে। আর যখন আপনি একজন মানুষ হয়ে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান এর সাথে যুক্ত হবেন। এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ গুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করবেন।

সেই সাথে আপনি উক্ত প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে বিনিয়োগ করবেন। তখন তাকে বলা হবে, অব্যবসায়িক অর্থায়ন। যেখান থেকে আপনি কোন প্রকার মুনাফা লাভ করতে পারবেন না।

বরং আপনি শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণ করার জন্য কাজ করে যাবেন।

সরকারি বা পাবলিক অর্থায়ন

সহজ কথায় বলতে গেলে যে সকল অর্থায়নের কাজ গুলো সরাসরি সরকারের সাথে সংযুক্ত। সে গুলো কে বলা হয়ে থাকে সরকারি বা পাবলিক অর্থায়ন।

মূলত এই ধরনের অর্থায়ন এর মধ্যে কোন একটি দেশের মধ্যে থাকা জনগণের মোট আয় এর বন্টন। তাদের মধ্যে থাকা সম্পদের বরাদ্দ করন।

এর পাশাপাশি অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক বিষয় গুলো কে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর যেহেতু এই যাবতীয় কাজ গুলো সরকারি ভাবে করা হয়ে থাকে।

সেহেতু এই ধরনের অর্থায়নের কাজ কে বলা হয়ে থাকে সরকারি বা পাবলিক অর্থায়ন।

আন্তর্জাতিক বা ট্রেড অর্থায়ন

আন্তর্জাতিক বা ট্রেড অর্থায়ন হলো গোটা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। মূলত গোটা বিশ্ব জুড়ে যে সকল অব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তারা মূলত এই ধরনের আন্তর্জাতিক অর্থায়নের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

এর পাশাপাশি একটি দেশের সাথে অন্য আরেক টি দেশের বিনিময়ের হার। এবং বিনিয়োগ এর পাশাপাশি দেশের সাথে আমদানি কিংবা রপ্তানি এর বিষয় গুলো আন্তর্জাতিক অর্থায়নের মাধ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আর যখন কোন একটি দেশের আর্থিক এবং বাণিজ্য ঘাটতি হয়। তখন এই বিষয় গুলো নিয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়ে থাকে।

আর যেহেতু এই আন্তর্জাতিক অর্থায়ন হলো পুরো বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। সেহেতু এই বিশেষ ধরনের অর্থায়ন কে বলা হয়ে থাকে আন্তর্জাতিক বা ট্রেড অর্থায়ন।

অর্থায়ন নিয়ে আরো কিছু উত্তর

ব্যবসায় অর্থায়ন কাকে বলে

ব্যবসায় অর্থায়ন হল একটি ব্যবসা শুরু, বৃদ্ধি বা বজায় রাখার জন্য তহবিল অর্জনের প্রক্রিয়া।

Bank, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং সরকারী প্রোগ্রাম সহ ব্যবসার জন্য উপলব্ধ অর্থায়নের অনেক উত্স রয়েছে।

প্রতিটি উৎসের নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে এবং আপনার ব্যবসার জন্য সঠিকটি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ

অর্থায়নের সঠিক উৎস নির্বাচন করা আপনার ব্যবসার সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারি অর্থায়ন কী

সরকারি অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস কর। ফেডারেল সরকার তার প্রোগ্রামগুলির জন্য অর্থ প্রদানে সহায়তা করার জন্য ব্যক্তি এবং ব্যবসার কাছ থেকে কর সংগ্রহ করে।

সরকারী তহবিলের অন্যান্য উত্সগুলির মধ্যে রয়েছে ফি এবং চার্জ, অন্যান্য সরকার থেকে অনুদান এবং ঋণ

নেওয়াপারিবারিক অর্থায়ন কাকে বলে

নতুন পরিবার অর্থায়ন হল এক ধরনের ঋণ যা পরিবারকে একটি নতুন বাড়ি কেনার জন্য অর্থায়ন করতে সাহায্য করে।

এই ধরনের ঋণ সাধারণত যে পরিবারগুলি তাদের প্রথম বাড়ি কিনছে, বা যে পরিবারগুলি একটি বড় বাড়িতে আপগ্রেড করতে চাইছে তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

নতুন পরিবারের অর্থায়ন একটি নতুন বাড়ি ক্রয় এবং একটি নতুন বাড়ি নির্মাণ উভয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই ধরনের ঋণ সাধারণত ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

বেসরকারি অর্থায়ন কাকে বলে

প্রাইভেট ফাইন্যান্সিং হল এক ধরনের তহবিল যা সরকারের মত পাবলিক সোর্সের বিপরীতে বেসরকারি উৎস থেকে আসে।

বেসরকারী অর্থায়ন ইক্যুইটি, ঋণ বা উদ্যোগের মূলধনের আকারে আসতে পারে। ইক্যুইটি হল যখন বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিতে মালিকানার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে।

ঋণ হল যখন একটি কোম্পানি টাকা ধার করে এবং সুদের সাথে পরিশোধ করে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল হল যখন বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির লাভের শতাংশের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে।

ব্যক্তিগত অর্থায়নকে প্রায়ই পাবলিক ফাইন্যান্সিংয়ের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসাবে দেখা হয়, তবে এটি আরও ফলপ্রসূ হতে পারে।

বেসরকারী বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সরকারী বিনিয়োগকারীদের তুলনায় তাদের বিনিয়োগে উচ্চতর রিটার্ন আশা করে।

এই কারণে, বেসরকারী সংস্থাগুলিকে তাদের প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়ার জন্য প্রায়শই মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণের একটি বড় শতাংশ ছেড়ে দিতে হয়।

কর্পোরেট ফিন্যান্স কাকে বলে

কর্পোরেট ফাইন্যান্স হল একটি কোম্পানির অর্থের আর্থিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা।

এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদী নগদ প্রবাহ থেকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পর্যন্ত কোম্পানির আর্থিক সমস্ত দিক অন্তর্ভুক্ত।

কর্পোরেট ফাইন্যান্স একটি কোম্পানির আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে তা নিশ্চিত করার জন্য।

এবং কীভাবে তার তহবিলকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দায়ী।

কর্পোরেট ফাইন্যান্স হল যে কোন ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে একটি কোম্পানির পরিচালনা এবং বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থান রয়েছে।

সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া, একটি কোম্পানি নিজেকে আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পারে, যা দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক অর্থায়ন কাকে বলে

আন্তর্জাতিক অর্থ হল বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাপটে আর্থিক ব্যবস্থার অধ্যয়ন। এটি বৈদেশিক মুদ্রা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ এবং মুদ্রা বাজারের মতো বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে।

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স হল অধ্যয়নের একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ক্ষেত্র যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আবির্ভূত হয়েছিল।

আরোও দেখে নিতে পারেন…

সেই সময়ের আগে, বেশিরভাগ আর্থিক কার্যকলাপ জাতীয় সীমানার মধ্যে পরিচালিত হত।

যাইহোক, ব্যবসার বিশ্বায়ন এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনের উত্থানের জন্য বিশ্বজুড়ে আর্থিক ব্যবস্থার আরও ব্যাপক বোঝার প্রয়োজন হয়েছে।

আজ, আন্তর্জাতিক অর্থ হল ব্যাংকিং, ফিনান্স এবং অর্থনীতিতে কর্মজীবনে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

অন্যান্য দেশের ক্লায়েন্ট এবং ব্যবসার সাথে কাজ করার সময় আন্তর্জাতিক আর্থিক নীতিগুলির একটি দৃঢ় উপলব্ধি পেশাদারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।

অর্থায়ন নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি অর্থায়ন কি বা অর্থায়ন কাকে বলে সে সম্পর্কে খুব সহজভাবে জেনে নিতে চান।

তাহলে আজকের এই আলোচনাটি আপনার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। কারণ আজকে আমি খুব সহজ এবং সাবলীল ভাবে আপনাকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে, অর্থায়ন কি।

আশা করি আজকের এই আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি অর্থায়ন কাকে বলে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় পেতে চাইলে। অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

কেননা আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় গুলো কে নিয়ে এই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করি।

যদি আপনার কোন প্রশ্ন কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আপনাদের মূল্যবান কমেন্ট কে আমরা যথার্থভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

দেখা হবে পরবর্তী কোনো আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top