ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন | Required for freelancing work

freelancing এ কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন : গত আর্টিকেলে আমি ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন | Required for freelancing work
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর সেই আলোচনা তে আপনারা অনেকেই নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে জানতে চেয়েছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন।

আর সেই প্রয়োজন কে পূরণ করার জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

মূলত আজকের আর্টিকেলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আর আপনি যদি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

তো আর দেরি না করে চলুন সরাসরি জেনে নেওয়া যাক যে, freelancing এ কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন ? 

আমি আমার প্রত্যেক টা আর্টিকেলে একটি কথা বলার চেষ্টা করি। আর সেই কথা টি হল যে, আপনি যখন যুদ্ধ করতে যাবেন।

তখন অবশ্যই আপনার নিকট অস্ত্রের প্রয়োজন হবে। কেননা অস্ত্র ছাড়া কখনো যুদ্ধ করা সম্ভব হয় না।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে যাবেন। তখন আপনার বেশ কিছুর প্রয়োজন হবে।

কিন্তু আমরা অনেকেই জানতে পারি না যে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়।

মূলত যারা এই বিষয় টি সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য এবার আমি ধাপে ধাপে প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো কে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

একটি ভালো কম্পিউটার ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট একটি হাই ফিগারেশন এর কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হবে।

কেননা এই কম্পিউটারের মাধ্যমেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো করবেন। আর সেই কাজ গুলো করার বিনিময়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব হয় কিনা।

তো তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব যে, আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

এবং শুধুমাত্র লো কনফিগারেশনের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলেই হবে না। বরং আপনি যদি অনেক উচ্চ মানের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান।

যেমন, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মোশন গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন ইত্যাদি।

তাহলে কিন্তু আপনাকে অনেক হাই কন- ফিগারেশন এর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তখন আপনার যাবতীয় কাজ গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

আর আপনি তো ভালো করেই জানেন যে, ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া আপনি কখনোই অনলাইন জগতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই আপনার এই ইন্টারনেট কানেকশন টি অনেক দ্রুত গতি সম্পন্ন হতে হবে।

কেননা যখন আপনার ইন্টারনেট কানেকশন এর স্পিড ভালো থাকবে। তখন আপনি খুব কম সময়ের মধ্যেই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন।

এবং প্রয়োজনে ক্লায়েন্টদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি যখন আপনি আপনার কাজ গুলো ডেলিভারি দিবেন।

সেই সময় আপনার কোন ধরনের ঝামেলা করতে হবে না। কিন্তু আপনার ইন্টারনেট কানেকশন যদি স্লো হয়ে যায়।

সে ক্ষেত্রে কিন্তু এই কাজ গুলো করার সময় অনেক ধরনের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে।

তাই অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন স্পিডের দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতা থাকতে হবে

দেখুন যদি আপনার কোন ধরনের দক্ষতা না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে কখনোই টিকে থাকতে পারবেন না।

যেমন বাস্তবে জীবনে চাকরি করার জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা করতে হয়। তারপরে আমরা বিভিন্ন ধরনের চাকরি তে এপ্লাই করি।

এবং যে সকল প্রতিষ্ঠান আমাদের কে দক্ষ মনে করে। সেই সকল প্রতিষ্ঠান গুলো তে আমরা চাকরি করার সুযোগ পাই।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। তখন আপনার অবশ্যই কোনো না কোনো কাজে দক্ষতা থাকতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনি যদি ভালো ফটো এডিট করতে পারেন। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে ফটো এডিটিং এর কাজ গুলো করতে পারবেন।

অপরদিকে যদি আপনার ভিডিও এডিটিং করার দক্ষতা থাকে। তাহলে আপনি ভিডিও এডিট করে ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু আপনার যদি এই ধরনের কোন দক্ষতা না থাকে। তাহলে কিন্তু কোন মানুষ আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো দিবে না।

আর যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কাজ করতে পারবেন না। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা আয় করতেও পারবেন না।

ভালো সিভি তৈরি করুন

বাস্তব জীবনে যখন আমরা কোন কোম্পানি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাই। তখন আমাদের সিভি পাঠিয়ে দিতে হয়।

তারপরে তা সেই প্রতিষ্ঠান গুলো আমাদের সিভি কে যাচাই-বাছাই করার পরে। তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দেয়।

ঠিক তেমনিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনাকে এই ধরনের সিভি তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার জীবন বৃত্তান্ত স্বল্প আকারে উল্লেখ করার পাশাপাশি।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনার কোন কোন ধরনের দক্ষতা রয়েছে। সে গুলো পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা থাকবে।

এর পাশাপাশি আপনি অতীতের দিন গুলো তে কোন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করেছেন। আপনার পূর্বের কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত থাকবে।

এমন একটি সিভি তৈরি করে রাখতে হবে। যাতে করে আপনার নতুন ক্লায়েন্ট দেরকে আপনি আপনার সেই সিভি দেখিয়ে।

আপনার দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেন। তবে যখন আপনি এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সিভি তৈরি করবেন।

তখন অবশ্যই আপনার দক্ষতার বিষয় টি কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করবেন।

ভালো কাজের সেট-আপ তৈরী করতে হবে

যাদের মনে এই প্রশ্ন টি রয়েছে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন। তাদের উদ্দেশ্য করে বলবো যে, সর্বপ্রথম আপনার একটি ভালো সেট আপ এর প্রয়োজন হবে।

কারণ যদি আপনার নিকট ভালো সেটআপ না থাকে। তাহলে কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো মনোযোগ দিয়ে করতে পারবেন না।

যেমন ধরুন, আপনি যদি কোথাও চাকরি করার সুযোগ পান। তাহলে কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে আপনাকে প্রতিদিন যেতে হবে। এবং আপনার অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে।

ঠিক একইভাবে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবেন। তখন আপনার কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনি যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং করবেন, সেহেতু অবশ্যই আপনি নিজের ঘরের মধ্যে আপনি কাজ করবেন।

তো সে জন্য প্রথমেই আপনাকে সেই ঘরটি কে এমনভাবে ডেকোরেশন করতে হবে। যাতে করে কাজের একটা পরিবেশ থাকে।

এবং সেই ঘরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই যেন আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলোর কথা মনে পড়ে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ট্রং নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

দেখুন সব সময় একটা কথা মাথায় রাখবেন। সেই কথা টি হল, প্রচারেই প্রসার। তো আমরা অনেকেই মনে করি যে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে একটিভ থাকতে হয়।

মূলত আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব সংগ্রহ করতে পারবেন।

আর ফ্রিল্যান্সিং জব খুজে পাওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হল ফেসবুক। এখন আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন।

এবং আপনি যদি আপনার দক্ষতার প্রচার ফেসবুকের মধ্যে করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং জব খুঁজে পাবেন।

কারণ যখন আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার প্রচার করবেন। তখন অনেক ক্লাইন্ট আপনার এই দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবে।

এবং তারা তাদের কাজ গুলো আপনাকে দিয়ে সম্পন্ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।

তাই অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া তে স্ট্রং নেটওয়ার্ক তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

নিজের একটা ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করুন

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।

তবে এই ওয়েবসাইটের কথা শোনার পরে আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য ওয়েবসাইটের কি সম্পর্ক।

আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে একটি ওয়েবসাইটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

কেননা যখন আপনার নিকট একটি ভালো ওয়েবসাইট থাকবে। তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট টি পোর্টফলিও হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে অপটিমাইজেশন এর কাজ গুলো ভালোভাবে করতে পারেন।

তাহলে কিন্তু অনেক ক্লাইন্ট আপনার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে।

কেননা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের থেকে ক্লাইন্ট গুগল এর মধ্যে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে। আর সেই সময় যদি আপনার ওয়েব সাইট টি তাদের সার্চ রেজাল্টে শো করে।

তাহলে কিন্তু তারা নিজে থেকেই আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং তাদের মধ্যে অনেকেই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং জব করার জন্য অফার করবে।

সে জন্য অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনার একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট রাখবেন। যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো থাকবে।

ভালোভাবে বিডিং করা জানতে হবে

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত থাকবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে একটিভ থাকতে হবে।

কারণ এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো তে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ক্লাইন্ট জব পোস্ট করে থাকে।

আর একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে এই জব পোস্ট গুলো তে এপ্লাই করতে হবে।

তো এখানে কোন ধরনের কাজ গুলো তে আপনি বিডিং করবেন। কোন ধরনের কাজের জন্য আপনি ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করবেন।

এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। কেননা একটি ফ্রিল্যান্সিং জব করতে কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হবে।

সেই পরিমাণ পরিশ্রম অনুযায়ী সঠিক পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে কিনা। এর পাশাপাশি কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং জব আপনি সম্পূর্ণ করতে পারবেন কিনা।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

এই সকল বিষয় গুলো আপনাকে আগেই ভেবে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে সঠিকভাবে কাজ হাসিল করতে না পারেন।

তাহলে কিন্তু আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে খুব বেশি একটা সফলতার মুখ দেখতে পারবেন না।

নিজের প্রাইসিং স্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে আপনি এমন অনেক ধরনের ক্লাইন্ট দেখতে পারবেন। যারা কাজের শুরুতেই আপনাকে প্রশ্ন করবে যে।

আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য কি পরিমান পারিশ্রমিক চান। এখন আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন।

তাহলে নিশ্চয়ই অনেক বেশি পারিশ্রমিক চেয়ে বসবেন। নতুবা ভয় পেয়ে আপনার পারিশ্রমিকের পরিমাণ অনেক কম চাইবেন।

কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কখনোই আপনার এই ধরনের কাজ করা উচিত হবে না।

বরং আপনার নিজস্ব একটি প্রাইসিং স্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন ধরনের কাজের জন্য কি রকম পারিশ্রমিক নিবেন।

তবে এই ধরনের স্ট্রাকচার তৈরি করার আগে বেশ কিছু বিষয় দিকে লক্ষ্য রাখবেন। যেমন:

  1. আপনার কাজের ধরন কি রকম।
  2. সেই কাজে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন।
  3. আপনি কত দ্রুত কাজ ডেলিভারি দিতে পারেন।
  4. যে কাজটি করবেন সেটি কঠিন না সহজ।
  5. ক্লাইন্ট এর ভৌগোলিক অবস্থান।
  6. কাজের প্রয়োজনীয়তা।

মূলত এই বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে। আপনি নির্দিষ্ট কোন ফ্রিল্যান্সিং জব করার জন্য কি ধরনের পারিশ্রমিক নিবেন।

এবং এই পারিশ্রমিকের পরিমাণ অবশ্যই মানসম্মত রাখার চেষ্টা করবেন। যাতে করে ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার পারিশ্রমিক স্বাভাবিক মনে হয়।

ক্লায়েন্ট এর সাথে ভাল কমিউনিকেশন থাকতে হবে

দেখুন যখন আমরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করি তখন ক্লায়েন্ট অনলাইন এর মাধ্যমে আমাদের এই কাজ গুলো দেয়। এবং আমরা নিজের ঘরে বসে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের মাধ্যমে সেই কাজ গুলো করি।

এবং সে কাজ গুলো জমা দেওয়ার পরে ক্লাইন্ট আমাদের পারিশ্রমিক দেয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় এই বিষয়টি কে রোবটিক মনে করে থাকি।

কারণ এই যাবতীয় কাজ গুলো পর্যায়ক্রমে চলতেই থাকে।

কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন। সেই কথা টি হল, যিনি আপনাকে ক্লাইন্ট হিসেবে কাজ দিচ্ছেন। তিনিও কিন্তু একজন মানুষ। এ

বং আপনি যদি সেই ক্লায়েন্টের মানুষের সাথে ভাল কমিউনিকেশন রাখতে পারেন। যখন আপনি কোন ক্লায়েন্ট এর আন্ডারে কাজ করবেন।

তখন অবশ্যই তার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবেন। যাতে করে পরবর্তী সময় যখন কোন কাজ আসে।

তখন সেই ক্লায়েন্ট যেন আপনাকে সরাসরি তার কাজ গুলো প্রদান করে। এতে করে আপনি পার্মানেন্ট ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন। 

ডেড লাইনের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দেওয়া প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং করার সময় ডেড লাইনের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দেওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

যেমন ধরুন, ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে কাজ দিবে। তখন অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সেই কাজ ডেলিভারি দিতে বলবে।

এবং আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অবশ্যই তাদের দেওয়া ডেট অনুযায়ী কাজ ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

কেননা আপনি যদি ডিলে করে ডেলিভারি দেন। সে ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপনার সম্পর্কে নেগেটিভ ফিডব্যাক প্রদান করবে।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই ক্লাইন্ট আপনাকে আর কাজ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করবে না। তাই অবশ্যই আপনি যখন কোন ক্লায়েন্টের কাজ করবেন।

তখন তাদের দেওয়া তারিখ অনুযায়ী কাজ ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে ক্লায়েন্টরা খুশি হয়ে আপনাকে পজেটিভ ফিডব্যাক দিবে।

যা আপনার পার্মানেন্ট ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে অনেক গুণ সহায়তা করবে।

নিজেকে ব্রান্ড হিসেবে গড়ে তুলুন

অনলাইনের মধ্যে আপনি তখন শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পারবেন। যখন আপনি নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করতে পারবেন।

আর যখন আপনি নিজেকে ব্রান্ড হিসেবে পরিচিত করতে পারবেন। তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারবেন।

আর এই ধরনের ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। মূলত আপনি যত বেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন।

আপনার প্রচার ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর যখন প্রচুর পরিমাণ মানুষ আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে। ঠিক তখনই আপনি নিজেকে একটি ব্রান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

নিজেকে সর্বদাই আপডেট রাখা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন মূলত এটি হলো আজকের মূল আলোচ্য বিষয়।

আর একজন ফ্রিল্যান্সার এর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো নিজেকে সবসময় আপডেট রাখা।

কেননা সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে যাবে। আর সেই বদলে যাওয়ার সাথে সাথে আপনাকেও আপডেট থাকতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করছেন।

কিন্তু একটা সময় আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে। এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো এখন বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার দিয়ে করা হয়ে থাকে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

সে ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টরা আর ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করাতে আগ্রহ প্রকাশ করবে না।

কেননা সেই সময়ে সফটওয়্যার দিয়ে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ গুলো করা যাচ্ছে।

তখন আপনাকে আর বসে থাকলে চলবে না। বরং আপনাকে দেখতে হবে যে ভবিষ্যতে কোন ধরনের কাজ গুলোর চাহিদা বেশি থাকবে।

এবং বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা রয়েছে। সেই কাজ গুলো আপনাকে শিখতে হবে। এবং উক্ত কাজের উপর ভিত্তি করে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন। এই বিষয় টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই।

আর যারা এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা টি অনেক প্রয়োজনীয়।

কারণ আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন।

আশা করি আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। আর আপনি যদি এই ধরনের তথ্য সবার আগে জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।

বং আমাদের লেখা সম্পর্কিত যদি আপনার কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে অবশ্যই তা নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top