সরকার অনুমোদিত ইনকাম App | সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপ

আমরা যারা নতুন হিসেবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। তারা সবার শুরুতে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস থেকে আয় করার চেষ্টা করি।

সরকার অনুমোদিত ইনকাম App | সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপ
সরকার অনুমোদিত ইনকাম App

কিন্তুু সমস্যা হলো, অধিকাংশ সময় আমরা সেই অ্যাপস গুলোতে কাজ করার পর টাকা উইথড্র করতে পারিনা। কেননা, বেশিরভাগ অ্যাপস গুলো ভুয়া হয়।

হয়ত আপনিও এই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। যার কারণে আপনি সরকার অনুমোদিত ইনকাম app এর নাম গুলো জানতে চাচ্ছেন।

আর যদি আপনি আমাদের দেশের সরকার অনুমোদিত ইনকাম app সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়তে হবে। 

বাংলাদেশে কি সরকার অনুমোদিত ইনকাম App আছে?  

সত্যি বলতে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে সরকার অনুমোদিত এমন অনেক অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপস আছে। তবে আপনারা যারা রেগুলার যেসব অ্যাপসে কাজ করেন।

সরকার অনুমোদিত অ্যাপস গুলো এমন নয়। যেমন ধরুন আমরা বিভিন্ন অ্যাপসে ভিডিও দেখে, কুইজ খেলে, গেম খেলে টাকা আয় করি।

তো সরকার থেকে এমন কোনো অনলাইন ইনকাম অ্যাপস নেই। কিন্তুু সরকার থেকে যে সকল ইনকাম করার অ্যাপস কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সেই অ্যাপস গুলো থেকে টাকা আয় করার জন্য শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি সেই অ্যাপস গুলো থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

আর এবার আমি আপনাকে সেই অ্যাপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

যে গুলো থেকে আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন। এবং সেই কাজের বিনিময়ে আপনি প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

সরকার অনুমোদিত ইনকাম App

এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু অ্যাপস সম্পর্কে বলবো। যেগুলো আপনি যদি শ্রম দিতে পারেন। তাহলে উক্ত অ্যাপস গুলো থেকে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। যেমন, 

Earn Money From Pathao App  

আপনি হয়তবা বেশ ভালো করেই জানবেন যে, আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি ড্রাইভিং সার্ভিস হলো, পাঠাও। যার মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট স্থানে খুব দ্রুত পৌঁছাতে পারি।

আর আপনি যদি একজন দক্ষ বাইকার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনিও এই ধরনের সরকার অনুমোদিত ইনকাম অ্যাপসে কাজ করতে পারবেন।

তবে যদি আপনি পাঠাও এর সাথে কাজ করতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু বিষয় এর প্রয়োজন হবে। যেমন, 

  1. অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকতে হবে। যার সাহায্য পাঠাও কর্তৃপক্ষ আপনার সাথে গ্রাহকদের যোগযোগ করিয়ে দিতে পারবে।
  2. যেহুতু আপনি বাইক নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল করবেন। সেহুতু আবার মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। 
  3. ড্রাইভ করার জন্য আপনার কাছে যে বাইক থাকবে। সেই বাইক এর বৈধ কাগজপত্র আপনার নিকট থাকতে হবে। 
  4. এগুলো ছাড়াও আপনার নিকট জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।

তো আপনার নিকট যখন এই ডকুমেন্টস গুলো থাকবে। তখন আপনি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

আর তারপর পাঠাও সার্ভিস প্রদান করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও বলে রাখা ভালো যে, আমাদের দেশে পাঠাও অ্যাপস কে সরকার কর্তৃক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

Uber – Request a ride

যদি আপনি প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রো নিয়ে রাইডিং করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাপস হবে, উবার।

যে অ্যাপস কে আমাদের বাংলাদেশ সরকার থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর অবাক করার মতো বিষয় হলো।

আপনি চাইলে এই উবার অ্যাপস থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে যদি আপনি উবার এর সাথে কাজ করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার বেশ কিছু যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস থাকতে হবে। যেমন, 

  1. Driving License (ড্রাইভিং লাইসেন্স),
  2. National Identity Card (জাতীয় পরিচয়পত্র),
  3. Vehicle Registration (যানবাহন এর রেজিষ্ট্রেশন),
  4. Vehicle Tax Token (ট্যাক্স টোকেন),
  5. Vehicle Insurance (ইন্স্যুরেন্স),
  6. Vehicle Certificate of Fitness (ফিটনেস সার্টিফিকেট),

আপনার নিকট যদি উপরের যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস গুলো থাকে। তাহলে আপনি সেগুলোর মাধ্যমে উবার এর মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

তারপর আপনি তাদের সাথে কাজ করে ড্রাইভিং সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

আর এখান থেকে আয় করা টাকা গুলো আপনি বিকাশ কিংবা ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে উত্তলন করতে পারবেন।

  1. Download Uber Apps: Click Here

Make Money With Bkash App

বর্তমান সময়ে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং চিনে না। এমন মানুষকে খুজে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এই বিকাশ অ্যাপস দিয়ে যে টাকাও আয় করা যায়।

সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আর আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে শুনে নিন যে, বর্তমানে আপনি বিকাশ অ্যাপস থেকেও টাকা আয় করতে পারবেন।

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কিভবে আপনি বিকাশ অ্যাপস থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

আর এমন প্রশ্ন জাগলে বলবো, আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ফলো করে বিকাশ অ্যাপস থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। যেমন, 

  1. রেফার এর মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপস থেকে টাকা আয় করা যায়। 
  2. বিভিন্ন ধরনের কুইজ খেলেও বিকাশ অ্যাপস থেকে টাকা আয় করা যায়। 
  3. বিকাশ এজেন্ট হয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। 
  4. এছাড়াও এমন অনেক ধরনের গেমস আছে। যেগুলো খেলে আপনি বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
  5. এর পাশাপাশি ক্যাশব্যাক অফার থেকেও টাকা আয় করা যায়।

তবে একটা কথা আপনাকে বলে রাখা ভালো। যদি আপনি প্রতি মাসে কোনোরকম আপনার পকেট খরচ চালাতে চান।

তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপসে উপরের কাজ গুলো করা উপযুক্ত হবে। কিন্তুু আপনি যদি আরো বেশি টাকা আয় করতে চান।

তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপস এর ইনকাম দিয়ে পোষাবে না। 

  1. Download Bkash App: Click Here.  

Nagod Apps income 

যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, বিকাশ এর পরে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং কোনটি। তাহলে সবার প্রথমে যে নামটি আসবে সেট হলো, নগদ।

তো ব্যবহার কারীদের কথা চিন্তা করে নগদ অ্যাপস থেকেও বিভিন্ন ভাবে আয় করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তো বর্তমান সময়ে আপনি এমন অনেক উপায় আছে। যেগুলোর সাহায্য টাকা আয় করতে পারবেন। আর সেই ইনকাম করার উপায় গুলো হলো,

  1. নগদ এজেন্ট এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। 
  2. রেফার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
  3. কুইজ বা গেম খেলেও আয় করতে পারবেন।

এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা মূলত বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট হয়ে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারছে। তো আপনিও যদি তাদের এজেন্ট এর ব্যবসা করতে পারেন।

তাহলে আপনার মাসশেষে একটা ভালো পরিমান প্রফিট আসবে।   

foodpanda: food & groceries

বর্তমান সময়ে খাবার জন্য আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। কেননা, এখন আমরা নিজের ঘরে বসে অর্ডার করার মাধ্যমে পছন্দের খাবার গুলো খেতে পারি।

তো এইযে অর্ডার করার পর খাবার আসে। সেই খাবার গুলো কিন্তুু আপনার বা আমার মতো মানুষ ডেলিভারি দিয়ে যায়।

তবে তারা কিন্তুু বিনামূল্যে ডেলিভারি দিয়ে যায়না। বরং তার বিনিময়ে তারা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারে।

আপনিও যদি তাদের মতো করে খাবার ডেলিভারি দিতে পারেন। তাহলে আপনিও প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

আর আপনি যদি ফুডপান্ডা তে ডেলিভারির কাজ করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার নিকট বেশ কিছু জিনিস থাকতে হবে। যেমন,

  1. এনড্রয়ড ফোন (৪.২ বা আরও নতুন) অথবা আইফোন 4S বা আরও নতুন।
  2. সাইকেল, স্কুটার অথবা মোটরবাইক অথবা ওয়াকার রাইডার
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র
  4. বয়স হতে হবে ১৮+

আর উপরোক্ত বিষয় গুলো থাকলে আপনাকে অনলাইনে ফুডপান্ডা ডেলিভারি কাজ করার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

তারপর আপনি ফুডপান্ডা ডেলিভারির কাজ করে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপস কোন গুলো?

আমরা এতক্ষন থেকে সরকার অনুমোদিত ইনকাম app গুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। তো উক্ত অ্যাপস গুলোতে যদি আপনার কাজ করতে সমস্যা হয়।

তাহলে এবার আমি বেশ কিছু অ্যাপস এর নাম বলবো। যেগুলোতে আপনি নিয়মিত কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে কাজ করার আগে আমাদের সেই টাকা আয় করার সেরা অ্যাপস গুলোর নাম জানতে হবে। আর উক্ত অ্যাপস এর নাম গুলো নিচে প্রদান করা হলো। যেমন, 

  1. Fiverr,
  2. InboxDollars,
  3. Uber Technologies Inc,
  4. Robinhood,
  5. Swagbucks,
  6. Upwork Inc,
  7. Ibotta,
  8. U Speak We Pay,
  9. Acorns,
  10. Rakuten,
  11. OfferUp,

উপরের তালিকা তে আপনি বেশ কিছু অ্যাপস এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। তো আপনি যদি উক্ত অ্যাপস গুলো তে কাজ করে টাকা আয় করতে চান।

তাহলে আপনার কোনো না কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

আর এই অ্যাপ গুলোতে কাজ করার জন্য আপনার আসলে কি কি দক্ষতা থাকতে হবে। সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যেমন,

  1. Fiverr: এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো কাজে দক্ষতা থাকতে হবে। 
  2.  InboxDollars: এটি হলো একটি সার্ভে জব এর অ্যাপস। যেখানে আপনি সার্ভের কাজ করে প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। 
  3. Uber Technologies Inc: এটি হলো রাইডিং অ্যাপস। যে অ্যাপসটি নিয়ে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর এটি হলো, আমাদের বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ইনকাম app গুলোর মধ্যে একটি। 
  4. Robinhood: আপনি যদি ট্রেডিং করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার এই অ্যাপসে কাজ করা উচিত। যেখানে আপনি ট্রেডিং এর মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। 
  5. Swagbucks: বর্তমান সময়ে সার্ভে জব এর অ্যাপস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, Swagbucks. যেখানে আপনি সার্ভে করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 
  6. Upwork Inc: এটিও একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ করতে পারবেন। আর সেই কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।  
  7. Ibotta: এটি হলো অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অন্যতম একটি অ্যাপস। যেখানে আপনি স্বল্প কিছু কাজ করে, মাসশেষে বেশ ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। 
  8. U Speak We Pay: আপনার মোবাইল এর মধ্যে বিভিন্ন মেসেজ আসবে। আর আপনি সেই মেসেজ গুলো পড়ার মাধ্যমে উক্ত অ্যাপস থেকে আয় করতে পারবেন। 
  9. Acorns: যদি আপনি ইনভেষ্ট করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে এটি হবে আপনার জন্য উপযুক্ত একট অ্যাপস। তবে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই বিবেচনা করবেন। 
  10. Rakuten: উক্ত অ্যাপস থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফারের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

তো উপরের উল্লেখ করা অ্যাপস গুলো থেকে আপনি আসলে কিভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

আপনারা যারা সরকার অনুমোদিত ইনকাম app সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আশা করি, আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি সেই অ্যাপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করি।

যদি আপনি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত সেই বিষয় গুলো বিনামূল্যে জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। আর এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

2 thoughts on “সরকার অনুমোদিত ইনকাম App | সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম করার অ্যাপ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top