চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব | কি কি ব্যবসা করবেন

চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব : গত আর্টিকেলে আমি ব্যবসা করার কিছু কৌশল শেয়ার করেছিলাম।

চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব | কি কি ব্যবসা করবেন
চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব

তো সেই আর্টিকেলের মধ্যে আপনারা অনেকেই কমেন্ট করে জানতে চেয়েছেন। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করা যাবে কি?

চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব। চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় আছে কি ? 

অর্থাৎ বর্তমান সময়ে আপনি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তো আপনি কি এই চাকরি করার পাশাপাশি ব্যবসা করতে পারবেন কিনা।

সে ক্ষেত্রে আপনার কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা থাকবে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আরোও জানতে পারেবন চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা নিয়ে।

তো আজকে আমি আপনাকে সেই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। মূলত একজন চাকরিজীবী ব্যক্তি তার চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব।

সে বিষয় টি সম্পর্কে আপনাকে একটা পরিস্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। আর আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিষদ ভাবে জেনে নিতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

দেখুন বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, দ্রব্য মূল্যের দাম ক্রমাগত ভাবে ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। আর সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে আপনিও বুঝতে পারবেন।

যে, বর্তমানের জীবনধারা কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে সংসারের খরচ অন্য দিকে নিজের চাহিদা পূরণ করাটা এখন অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে।

আর সে জন্যই আমরা এখন প্রতিনিয়ত আরও বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এবং সেই কারণেই মূলত এমন অনেক চাকরিজীবী ব্যক্তি আছেন। যারা তাদের চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালাতে বেশি হিমশিম খাচ্ছে।

আর সে জন্যই তারা সেই চাকরি করার পাশাপাশি আরো বাড়তি কিছু ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করছে।

তো আপনিও যদি এমনটা হয়ে থাকেন তাহলে আমি আপনাকে বলব যে। আপনি চাকরি করার পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যবসা করতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

এবং সেই ব্যবসা গুলো থেকে আপনি বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

তবে এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে। এমন কোন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যে গুলো মূলত চাকরি করার পাশাপাশি করা সম্ভব।

তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে বলবো যে আপনাকে আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

কেননা আজকে আমি এমন কিছু ব্যবসার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। যে গুলো আপনি চাকরি করার পাশাপাশি করতে পারবেন।

এবং চাকরির বেতন এর সাথে উক্ত ব্যবসা গুলো থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

তাহলে চলুন এবার সেই চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব?

অনেকের মনে এই প্রশ্নটি বারবার গুরুপাক খায় যে, চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব। তো যাদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাদের বলব যে, অবশ্যই সম্ভব।

কেননা আজকের দিনে আপনি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।

এবং তারা চাকরি করার পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের ব্যবসা করে বাড়তি টাকা ইনকাম করে।

আর যখন আপনি চাকরি করবেন তখন এই ধরনের ব্যবসা গুলো আপনি পার্ট টাইম জব হিসেবে করতে পারবেন।

অবাক করার মত বিষয় হলো আপনি যদি এই পার্ট জব গুলো কে সঠিক ভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনার মাসিক ইনকামের পরিমাণ আরো অধিক বৃদ্ধি পাবে।

যা দিয়ে আপনি আপনার সংসারের যাবতীয় খরচ চালিয়ে নিতে পারবেন।

তবে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু ব্যবসা খুঁজে নিতে হবে। যে ব্যবসা গুলো আপনি চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসেবে করতে পারবেন।

কেননা বর্তমান সময়ে এমন অনেক ধরনের পার্ট টাইম ব্যবসা রয়েছে। যে গুলো আপনার মত অনেক মানুষ দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে।

কিন্তু আপনি যদি বড় ধরনের কোন ব্যবসা করার চিন্তা ভাবনা করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি তেমন একটা সফল হতে পারবেন না।

কেননা যখন আপনি চাকরি করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সেই প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় কাজকর্ম করতে হবে। অপর দিকে আপনি যদি বড় পরিসরের ব্যবসা করতে চান।

তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা তে সঠিক সময় প্রদান করতে পারবেন না। যার ফলে আপনি আপনার ব্যবসা তে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন না।

আর সে কারণেই মূলত আপনাকে এমন সব ব্যবসা গুলো কে খুঁজে নিতে হবে। যে গুলো পার্ট টাইম হিসেবে খুব সহজেই করা যায়।

আর এই পার্ট টাইম ব্যবসা গুলো থেকে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। মূলত এবার আমি আপনাকে মোট ৯ টি ব্যবসার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

যে গুলো আপনি চাকরি করার পাশাপাশি করতে পারবেন। সেই সাথে আপনি যদি পার্ট টাইম হিসেবে উক্ত ব্যবসা গুলো তে সময় প্রদান করেন।

এবং সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি এই পার্ট টাইম ব্যবসা গুলো থেকে এত বেশি পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

যা আপনার কল্পনার বাইরে চলে যাবে। চলুন এবার তাহলে সেই ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

চাকরির পাশাপাশি কি কি ব্যবসা করা যাবে ? (সেরা ৯ টি ব্যবসা)

উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে একটা কথা বারবার বলেছি। আর সেই কথা টি হলো যে বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে চাকরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন।

এবং আপনি যদি সেই ব্যবসা গুলো কে সঠিক ভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনি এই পার্ট টাইম ব্যবসা গুলো থেকে এত বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যা আপনি কখনো চিন্তা করতে পারবেন না। তবে এখন হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে।

যে, চাকরি পাশাপাশি কি কি ধরনের ব্যবসা করা যায়। আর আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি নিচে মোট ৯ টি ব্যবসার কথা উল্লেখ করব।

যে গুলো আপনি খুব সহজেই চাকরির পাশাপাশি করতে পারবেন। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

১. ব্লগিং (Blogging) করে ইনকাম

সবার শুরুতেই আমরা যে ব্যবসা টি সম্পর্কে জানব, সেটি হল ব্লগিং। আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারণ একজন ব্যক্তি যদি সঠিক ভাবে এই ব্যবসা টি করতে পারে।

তাহলে সে একটি ব্লগ থেকে প্রত্যেক মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে। আর আপনি যদি আপনার আশেপাশে এমন ব্লগারদের দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে তারা প্রতি মাসে এই ব্লগিং নামক সেক্টর থেকে ১০/২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে আসছে।

আর সবচেয়ে ভালো লাগার মত বিষয় হলো। যে, আপনি যদি একজন চাকরি জীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার চাকরি করার পাশাপাশি যে বাড়তি সময় গুলো থাকবে।

সেই সময় গুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি এই ব্লগিং নামক ব্যবসা টি চালিয়ে যেতে পারবেন।

তো এখন হয়তো আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। আপনার তো এই ব্লগিং সম্পর্কে কোন প্রকার ধারণা নেই।

তাহলে কিভাবে আপনি আপনার চাকরি করার পাশাপাশি এই ব্লগিং নামক ব্যবসা টি করবেন। যদি আপনার এমন টা মনে হয়ে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, ব্লগিং হলো এক ধরনের লেখালেখি করার প্ল্যাটফর্ম।

বর্তমানে আপনি আমার এই ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যে লেখা গুলো পড়ছেন। সেটা হল একটি বাংলা ব্লগ। এবং আমিও আমার এই ব্লগ থেকে প্রতি মাসে টাকা ইনকাম করি।

চাইলে আপনিও এমন একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই ব্লগ এর মাধ্যমে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা গুলো লিখিত আকারে কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারবেন।

আর এভাবে আপনি আপনার এই ব্লগিং কে কাজে লাগিয়ে চাকরি করার পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারবেন।

২. ইউটিউব চ্যানেল (YouTube Channel) থেকে ইনকাম

আপনি যদি চাকরি করার পাশাপাশি কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট না করে পার্ট টাইম ব্যবসা করতে চান।

তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা করার মাধ্যম হবে ইউটিউব চ্যানেল। আর এই ধরনের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে খুব বেশি একটা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন না হলেও।

আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

সেই সাথে আপনি চাকরির বেতনের পাশাপাশি আরও প্রচুর পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে উপার্জন করে নিতে পারবেন।

আর বর্তমান সময়ে আপনার মত এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত ফুল টাইম জব হিসেবে ইউটিউবে কাজ করে।

এবং তারা এই ইউটিউব নামক প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে নিতে পারছে।

যেহেতু তারা এত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারে। সেহুতু আপনি নিজেও ইনকাম করতে পারবেন, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে আপনি যদি চাকরি করার পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হবে।

কেননা ইউটিউব এর মধ্যে থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমত আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।

তারপরে আপনার সেই চ্যানেলের মধ্যে প্রতি নিয়ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে হবে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

আর যখন আপনি আপনার সেই ইউটিউব চ্যানেলটি কে জনপ্রিয় করতে পারবেন।

যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার ভিডিও তে প্রচুর পরিমাণে ভিউ হবে। তখন থেকে আপনি সেই ইউটিউব চ্যানেল কে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর আপনি যদি আপনার সেই ইউটিউব চ্যানেল কে সঠিক ভাবে গ্রো করতে পারেন।

তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম এত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যা আপনার চাকরির বেতন কে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

৩. কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম

বিশেষ করে আপনি যদি মেয়েদের দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, অনেক মেয়ে আছেন যারা মূলত বিভিন্ন সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করে।

এবং চাকরি করার পাশাপাশি তারা ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে থাকা একটি জনপ্রিয় জব করে থাকে। আর সেই ফ্রিল্যান্সিং জব এর নাম হলো, কন্টেন্ট রাইটিং।

আর এই কনটেন্ট রাইটিং হলো এমন একটি কাজ। যাকে সবচেয়ে সম্মান জনক একটি পেশা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আর সে কারণে অনেকেই এই কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।

এর পাশাপাশি আপনি এই কাজ টি আপনার চাকরির করার মধ্যে যে অবসর সময় গুলো রয়েছে। সেই অবসর সময় গুলো কে কাজে লাগিয়ে করতে পারবেন।

এখন হয়তো বা আপনি ভাবছেন যে, এই কন্টেন্ট রাইটিং এর মধ্যে আবার কি কি কাজ করতে হয়। তো আপনার মনে যদি এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব, বর্তমানে আপনি যে লেখা টি পড়ছেন। সেটিও একটি কন্টেন্ট এবং এই কন্টেন্ট টি মূলত আপনার মত কোন না কোন মানুষ লিখেছে।

এবং উক্ত কনটেন্ট টি লেখার বিনিময়ে সে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ উপার্জন করেছে। তো চাইলে আপনিও এই ধরনের বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখতে পারবেন।

এবং সেই কন্টেন্ট গুলো আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

আর সেখান থেকে আপনি বাড়তি কিছু টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। অথবা যদি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং করার অভিজ্ঞতা থাকে।

তাহলে আপনি নিজে থেকেও ব্লগিং করতে পারবেন। এবং সেখান থেকে টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।

৪. চপ শিঙাড়ার দোকান

হয়তোবা এই কথাটি শুনে আপনি একটু লজ্জাবোধ করতে পারেন। এবং মনে মনে ভাবতে পারেন যে, আপনি একজন চাকরি জীবী মানুষ।

আপনি কিভাবে এই ধরনের ছোট কাজ করবেন। তো যদি আপনার এমন মনে হয়ে থাকে তাহলে আমি আপনাকে বলব যে। টাকা ইনকাম করার জন্য কোন কাজ কে ছোট করে দেখা উচিত নয়।

বরং আপনি আপনার চাকরি করার পাশাপাশি এই ধরনের ছোট ছোট কাজ গুলো করে। প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

কেননা আপনি যদি এ রাস্তার ধারে কিংবা আপনার বাসার আশে পাশে চপ সিঙ্গারার দোকান এর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে সেই দোকান গুলো তে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। আর এটা তো সহজেই অনুমান করা যায়। যে, কোন একটি ব্যবসা তে থাকা পণ্য যত বেশি বিক্রি হবে।

তার ইনকাম এর পরিমাণ ঠিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর এই চপ শিঙ্গাড়া হলো এক ধরনের মুখ রোচক খাবার। সে কারণে আমরা অনেকেই এই ধরনের খাবার গুলো খেতে পছন্দ করি।

আর এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি একটা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি যদি সরাসরি এই কাজ গুলো করতে লজ্জা বোধ করেন।

কিংবা আপনার আত্ম সম্মানে আঘাত লাগে। তাহলে আপনি একজন বা দুজন ব্যক্তি কে অর্থের বিনিময়ে এই কাজ গুলো করিয়ে নিতে পারবেন।

যার ফলে তারা আপনার এই কাজ গুলো করে দিবে। এবং আপনি আপনার এই চপ সিঙ্গারার দোকান থেকে প্রতি মাসে বাড়তি টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে, বর্তমানে অনেকে আছেন। যারা মূলত চাকরি করার পাশাপাশি এই ধরনের ছোটখাট ব্যবসা করে আসছে।

৫. মোবাইল রিপেয়ার এর ব্যবসা করে

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। বরং আমরা অধিকাংশ মানুষ এক বা একাধিক স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। আর যেহেতু আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করি।

সেহেতু এই ধরনের স্মার্টফোন গুলো নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। আর যখন সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমরা সরাসরি বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসিং সেন্টারে যাই।

সেই নষ্ট হওয়া স্মার্টফোন গুলোকে ভালো করার জন্য। কিন্তু যখন আমরা আমাদের মোবাইল গুলো নিয়ে সার্ভিসিং সেন্টারে যাই।

তখন দেখি যে তারা আমাদের মোবাইল গুলো ভালো করার জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা নিয়ে থাকে। এতে করে তারা অধিক পরিমাণে লাভবান হয়।

এখন আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। এবং আপনার যদি মোবাইল রিপেয়ার করার মতো দক্ষতা থাকে।

তাহলে খুব সহজে আপনি চাকরি করার পাশাপাশি এই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে মোবাইল রিপেয়ার এর ব্যবসা করতে পারবেন।

অথবা যদি আপনার মোবাইলে রিপেয়ার করার মতো কোনো দক্ষতা না থাকে। তাহলে আপনি এমন একটি লোক কে হায়ার করতে পারবেন।

যার এই মোবাইল সার্ভিসিং করার মত দক্ষতা আছে। এবং সেই লোকের মাধ্যমে আপনি একটি ব্যবসা চালু করতে পারবেন।

আর সেই ব্যবসা থেকে আপনি চাকরি করার পাশাপাশি অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারবেন। তবে এই ধরনের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে।

কেননা যখন আপনি মোবাইল সার্ভিসিং করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে ভালো একটি জায়গা দেখে দোকান দিতে হবে। যেখানে প্রচুর লোকের সমাগম রয়েছে।

তাহলে আপনি কাঙ্খিত কাস্টমার পাবেন। এবং আপনার সেই দোকানে যত বেশি কাস্টমার হবে। আপনার ইনকামের পরিমাণ ঠিক তত বেশি হবে।

৬. কোর্স সেল করার ব্যবসা করে

বর্তমান সময়ে কোর্স সেল হল জনপ্রিয় একটি ব্যবসার নাম। কেননা মানুষ এখন কোন কিছু শেখার জন্য সর্বপ্রথম অনলাইন থেকে বিভিন্ন ধরনের কোর্স কিনে নেয়।

এবং তারপরে সেই কোর্সের মধ্যে থাকা ভিডিও দেখে দেখে নিজের ঘরে বসে কোন কিছু শিখতে পারেম তো যদি আপনার কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে।

তাহলে আপনি এই ধরনের অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই কোর্স গুলো সেল করতে পারবেন।

যেমন ধরুন, আপনি কোন একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। এবং ব্যাংকিং সম্পর্কিত আপনার বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা আছে। সে ক্ষেত্রে সেই বিষয় গুলো নিয়ে আপনি একটি কোর্স তৈরি করতে পারবেন।

যে কোর্স গুলো থেকে মানুষ ব্যাংকিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিষয় জানতে পারবে। এবং যখন আপনি এই ধরনের কোর্স গুলো অনলাইনে মাধ্যমে পাবলিশ করবেন।

তখন অনেকেই আপনার সেই কোর্স গুলো কিনে নিবে। এবং আপনি এই কোর্স গুলো বিক্রি করার মাধ্যমে চাকরি করার পাশাপাশি বাড়তি একটা ইনকাম করার সোর্স তৈরি করতে পারবেন।

৭. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আজকের দিনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো জনপ্রিয় একটি ইনকাম করার সোর্স। যেখানে আপনি অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে।

আপনি তাদের পণ্য গুলো সেল করে দিবেন। এবং এভাবে আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।

আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন মূলত এই কাজ গুলো আপনি চাকরি করার পাশাপাশি করতে পারবেন। যদি আপনার নিকট একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকে।

এবং আপনি যদি চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য উপযুক্ত একটি কাজ হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স এর প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে যে কমিশন পাবেন। সেই কমিশন থেকে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

আর বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসছেন।

৮. ফেসবুক থেকে আয়

আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করি তারা ফেসবুকের মধ্যে এখন বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাই। এবং এই ভিডিও গুলো আপনার বা আমার মত মানুষ তৈরি করে থাকে।

তবে তারা বিনা স্বার্থে এই ভিডিও গুলো তৈরি করে না। বরং ফেসবুকের মধ্যে এখন এমন একটি নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে।

যেখানে আপনি ফেসবুকের আওতায় একজন ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

তার বিনিময়ে ফেসবুক আপনাকে প্রতি মাসে অর্থ প্রদান করবে। আর আপনি যদি একজন চাকরি জীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি চাকরি করার পাশাপাশি আপনার যে অবসর সময় গুলো থাকবে।

সেই সময় গুলো তে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই ভিডিও গুলো ফেসবুকের মধ্যে আপলোড করে।

প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। একটা কথা বলা উচিত যে, আপনি যদি ফেসবুকের মধ্যে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন।

তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তা আপনার চাকরির বেতন কে একবারে ছাড়িয়ে যাবে। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক ভাবে ফেসবুকের আওতায় একজন কন্টেন্ট ক্রিকেটার হিসেবে কাজ করতে হবে।

আমাদের শেষকথা

তো যারা আসলে জানতে চেয়েছিল যে, চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব কিনা।

তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি।

যে, বর্তমান সময়ে আপনি চাকরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন।

এবং আপনার জন্য আসলে কোন ব্যবসা গুলো উপযুক্ত। সেই ব্যবসা গুলো নিয়ে আমি উপরের বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে এগুলো বাদেও আপনি যদি আরও অন্যান্য ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি আপনার কমেন্ট পাওয়া মাত্রই সেই বিষয় নিয়ে নতুন আরেক টি আর্টিকেল পাবলিশ করব।

2 thoughts on “চাকরির সাথে ব্যবসা করাটা কতটা সম্ভব | কি কি ব্যবসা করবেন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top