বাউন্স রেট কি? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

বাউন্স রেট কি? আপনি কি বলতে পারবেন? -না পারলেও সমস্যা নেই। কারন আজকের আলোচনার মূল টপিক হলো, Bounch Rate কি .

ব্লগিং করার কোনো না কোনো একটা সময়ে আপনি এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তখন আপনার মাথায় এ বিষয়টি নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন জেগে থাকবে।

বাউন্স রেট কি - ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়
বাউন্স রেট কি

যেমন, বাউন্স রেট কি? কেন এই বাউন্স রেট হয়? একটি ওয়েবসাইট এর জন্য বাউন্স রেট ভালো নাকি খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো এই সব গুলো প্রশ্নের উওর গুলোকে একএিত করে আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। যদি আপনার মনেও উপরোক্ত প্রশ্ন গুলো জেগে থাকে। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

[⚠️Warning: যদি আপনি Bounch Rate কে বেশি গুরুত্ব না দেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে এসইও করার জন্য যে কাজ গুলো করবেন। সেই কাজ গুলো তেমন কাজে আসবে না। তাই এসইও করার পাশাপাশি আপনাকে বাউন্স রেটকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে]

দেখুন যেহুতু আপনি একজন ব্লগার। সেহুতু আপনাকে ব্লগিং রিলেটেড কোনো বিষয়কে অবহেলা করা যাবে না। কারন আপনার ছোট্ট একটি ভুলের জন্য আপনার শখের ওয়েবসাইট টি Rank হারাবে। যা কখনই কাম্য নয়।

তাই আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার বাউন্স রেট সম্পর্কে আর কোনো বিষয় অজানা থাকবে না। 

বাউন্স রেট কি? (Bounce Rate in Bangla)

যখন কোনো ভিন্ন কোনো সোর্স থেকে একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে। সেই ভিজিটর গুলো উক্ত ওয়েবসাইটে মোট কতটা সময় ব্যয় করছে। কিংবা কত দ্রুত সেই ওয়েবসাইট থেকে প্রস্থান করছে।

তার একটা শতকরা হিসেবকে বলা হয়, বাউন্স রেট।

অর্থ্যাৎ, যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে। সেই ওয়েবসাইটে তখন বিভিন্ন সোর্স থেকে ভিজিটর আসবে। যেমন, গুগল থেকে আসবে, বিং থেকে আসবে অথবা ফেসবুক থেকেও আসতে পারে।

তবে আপনার সেই ওয়েবসাইটে কোথা থেকে ভিজিটর আসবে। সেটা বড় কথা নয় বরং, সেই ভিজিটর গুলো আপনার ওয়েবসাইটে এসে কতটা সময় ব্যয় (Spend) করছে।

আপনি আরো পড়ুন…

সেই ব্যয় করা সময়ের পরিমানকে বলা হয়, Bounch Rate.

যেমন ধরুন, আপনার কোনো একটি কিওয়ার্ডের উপরে ডিপেন্ড করে গুগল থেকে একজন ভিজিটর আসলো। এবং সেই ভিজিটর আপনার সাইটে আসার সাথে সাথেই আবার চলে গেলো।

তাহলে কিন্তুু আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেটের পরিমান হবে ১০০%.

[💡NOTE: শুধুমাএ আপনার বোঝার সুবিধার জন্য ১ জন ভিজিটরকে দিয়ে উদাহরন দেওয়া হয়েছে। কিন্তুু বাস্তবিক অর্থে মোট ৭ দিনের ভিজিটর এর উপর নির্ভর করে এই বাউন্স রেটের পরিমান নির্ধারন করা হয়]

অপরদিকে সেই ভিজিটর যদি আপনার ওয়েবসাইটে আসার পর বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করলো। এবং আপনার সাইটে পাবলিশ করা কন্টেন্ট গুলো একের পর এক স্ক্রল করে পড়লো।

তাহলে কিন্তুু আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেটের সংখ্যা অনেক গুন কমে যাবে। 

বাউন্স রেট কি করে দেখবেন?

বাউন্স রেট কি -আশা করি সে সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। যদি না বোঝেন তাহলে পুনরায় লেখাটা আরেকবার পড়ুন। তাহলে পরবর্তী আলোচনা গুলো আপনার বুঝতে সুবিধা হবে।

যখন আপনি জানবেন যে, আসলে বাউন্স রেট কি। তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই Bounch Rate আপনি দেখবেন কিভাবে?

এই প্রশ্নের উওর জানতে হলে আপনাকে আরও একটু গভীরে যেতে হবে। তো চলুন এবার একটু আলোচনার গভীরে যাওয়া যাক।

আপনি Google Analytics চিনেন? গুগল এনালিটিক্স হলো এমন একটি টুলস। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটর সম্পর্কে সব ধরনের ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।

যেমন, আপনার ওয়েবসাইটে মোট কত গুলো ভিজিটর আসলো। তারা আপনার ওয়েবসাইট এর কোন কনটেন্ট গুলো পড়লো। যেসব ভিজিটর এসেছে তাদের আইপি সহো অনেক কিছু এই টুলসের মাধ্যমে জেনে নেয়া যায়।

তো যদি আপনিও এই ইনফরমেশন গুলো জানতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটকে Google Analytics এর সাথে কানেক্ট করতে হবে।

যখন আপনি আপনার সাইটের লিংকটিকে গুগল এনালিটিক্স এর সাথে কানেক্ট করবেন। তখন আপনি এনালিটিক্স এর হোমপেজেই অনেক ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।

এর এই ইনফরমেশন গুলোর মধ্যে সবার উপরে একটি ড্যাশবোর্ড থেকে আপনি Bounch Rate নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন। যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটররা আসার পর কি পরিমান বাউন্স করছে। তার একটা গ্রাফ নজরে পড়বে। 

বাউন্স রেট দেখার নিয়ম- উপায়
বাউন্স রেট দেখার নিয়ম

বাউন্স রেট দেখার নিয়ম : Google Analytics গিয়ে Dashboard থেকে Behavior> Site Content> All Pages.

তার পর আপনি স্কিনে বাউন্স রেট সহ আরো অনেক তথ্য দেখতে পারবেন।

বাউন্স রেট কি রকম হওয়া ভাল?

এখন আপনি নিশ্চই আপনার Google Analytics এ গিয়ে চেক করতে চাইবেন। আসলে আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেটের পরিমান কত, তাইনা?

হয়তবা আপনি অলরেডি চেক করেও ফেলেছন। তবে সচারচর এই বাউন্স রেটের পরিমান অনেক বেশি হয়ে থাকে। 

এখন এতো কিছু জানার পর আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জাগতে পারে। হয়তবা আপনি ভাবছেন, একটি ওয়েবসাইট এর জন্য বাউন্স রেট কম হওয়া ভালো নাকি বেশি হওয়া ভালো?

তাহলে শুনুন, একটি ওয়েবসাইট এর Bounch Rate যতো কম হবে ততোই ভালো। কিন্তুু বাউন্স রেট ০ (শূন্য) হয় এমন কোনো ওয়েবসাইট খুজে পাওয়া অসম্ভব।

তবে এর মাঝেও একটা পরিমান আছে। আপনাকে চেস্টা করতে হবে যেন আপনার সাইটের Bounch Rate সেই পরিমানে থাকে।

আপনি আরো দেখুন…

যেমন, আপনার ওয়েবসাইট টি যদি ইন্ডাস্ট্রি বেস হয়ে থাকে। এবং সেটি যদি সার্ভিস সাইট হয়ে থাকে। তাহলে এমন সাইট গুলোর বাউন্স রেটের পরিমান ১০% থেকে ৩০% এর মধ্যে থাকা উচিত।

আবার আপনি যদি ই-কমার্স নিয়ে কাজ করেন। তাহলে আপনার সেই সাইটের বাউন্স রেট যদি ৩০% থেকে ৪০% এর মধ্যে থাকে। তাহলে তা খুব ভালো দিক।

অপরিদকে আপনি যদি কন্টেন্ট বেস ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন। তাহলে উক্ত সাইটের বাউন্স রেটের পরিমান একটু বেশি হয়ে থাকবে।

কারন এসব ওয়েবসাইটে মানুষ কোনো না কোনো তথ্য জানার জন্য এসে থাকে। যখন ভিজিটররা সঠিক তথ্য পেয়ে যায়। তখন তারা আর বেশি সময় ব্যয় করে না। আর সেই কারনে এসব সাইটে Bounch Rate এর পরিমান একটু বেশি হয়ে থাকে।

তবে যদি আপনার ওয়েবসাইট কন্টেন্ট বেস হয়ে থাকে। তাহলে আপনার সাইটের বাউন্সের পরিমান ৪০% থেকে ৬০% হলেও কোনো সমস্যা হবে না। 

বাউন্স রেট বেশি হলে কি সমস্যা হয়?

হ্যাঁ! অবশ্যই সমস্যা হবে। যদি আপনার সাইটে এর পরিমান বেশি হয়। তাহলে আপনি যতোই এসইও করুন না কেন৷ তার সব গুলো পরিশ্রম জলে ভেসে যাবে।

হয়তবা আপনার বিশ্বাস হচ্ছেনা, তাইনা?

তাহলে শুনুন, আপনি কিসের জন্য এসইও করেন। নিশ্চই আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য এসইও করেন। এখন একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, গুগল কিন্তুু ওয়েবসাইটের মালিকদের তুলনায় ভিজিটরকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।

কারন, গুগলের যদি ভিজিটর না থাকে। তাহলে আপনার মতো শত শত ওয়েবসাইট কোনো কাজে আসবে না। আর ভিজিটর না থাকলে গুগলের ইনকামও বন্ধ হবে।

তাই গুগল যা কিছু করুক না কেন। তারা সবসময় ভিজিটর এর সুবিধার কথা চিন্তা করেই কাজ করে।

এখন আপনার দিকে একটু নজর দিন। মনে করুন আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট ১০০%।  এর মানে হলো, ভিজিটররা আপনার সাইটে এসেই চলে যায়।

এর ফলে গুগলের কাছে কিন্তুু একটা নেগেটিভ সিগনাল বহন করবে। গুগল মনে করবে, যেহেতু ভিজিটররা আপনার সাইটে আসার পরেই চলে যাচ্ছে।

এরমানে আপনি ভিজিটরকে তেমন কিছুই দিতে পারছেন না। কিংবা আপনি শুধু ভিজিটরকে বিভ্রান্ত করার চেস্টা করছেন।

এই কারনে আপনার সাইট যদি Rank করে থাকে। তারপরও কিন্তুু গুগল আপনার Ranking কে ক্রমান্বয়ে নিচে নামাতে থাকবে। যা আমাদের জন্য কখনই মঙ্গলজনক হবার কথা না। 

বাউন্স রেট কিভাবে এবং কেন বৃদ্ধি পায়?

আশা করি আপনি এতোক্ষনে বাউন্স রেট কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। তো এবার আমরা জানবো কিভাবে এবং কেন এর পরিমান বৃদ্ধি পায়। এবং কিভাবে এর পরিমানকে হ্রাস করা সম্ভব।

দেখুন একটি ওয়েবসাইট এর Bounch Rate বৃদ্ধি পাওয়ার অনেক গুলো কারন রয়েছে। আমি পর্যায়ক্রমে সবগুলো কারন নিয়ে আলোচনা করবো।

আর আপনি মিলিয়ে দেখুন যে, এমন কোন কারনের সাথে আপনি মিল পাচ্ছেন। যার কারনে আপনার সাইটের বাউন্সিং বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তো কোনো সাইটের বাউন্সিং বৃদ্ধি পাওয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু কারন হলোঃ- 

Website Loading Speed

মূলত কোনো একটি ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কি পরিমানে বৃদ্ধি পাবে। তার প্রায় অনেকটাই নির্ভর করবে আপনার সাইটের লোডিং স্পিড এর উপর।

তাই যদি আপনার সাইটের Loading Speed এর পরিমান অনেক বেশি থাকে। তাহলে অতি দ্রুত আপনাকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

মনে করুন, আপনি গুগলে কোনো তথ্য জানার জন্য সার্চ করলেন। এবার আপনি একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেন সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য।

কিন্তুু যখন আপনি সেই সাইটে প্রবেশ করার চেস্টা করলেন। তখন দেখলেন যে সেই সাইটে প্রবেশ করতে অনেক বেশি সময় ধরে লোড নিচ্ছে। এখন আপনি কি সম্পূর্ন লোডিং নেয়ার জন্য বসে থাকবেন?

না, কখনই না। কারন যেকোনো বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য শুধু আপনি একা নন। বরং আপনার মতো এমন হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে। তাই তারা আপনার সাইট থেকে বের হয়ে অন্য সাইটে চলে যাবে।

এবং এই লোডিং স্পিড এর কারনে মাঝখান থেকে আপনার সাইটের বাউন্সিং এর পরিমান অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে।

[💡PRO TIPS: এসইও এক্সপার্ট দের মতে একটি ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৬ সেকেন্ডের মধ্যে থাকা ভালো। যদি এর থেকে বেশি হয়, তাহলে তা নেগেটিভ সিগন্যাল বহন করবে]

Low Quality Content 

একটু ভেবে দেখুন, একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে কিসের জন্য আসবে। নিশ্চই আপনার সাইটের কন্টেন্ট পড়ার জন্য, তাইনা?

এখন যদি আপনার কন্টেন্ট এর মান হয় লো কোয়ালিটির। তাহলে কি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকতে চাইবে?

না, কারন অনলাইনে কোটি কোটি ভিজিটর থাকলেও, সেই ভিজিটরদের হাতে সময় কিন্তুু অনেক কম থাকে। তারা খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের সমস্যার সমাধান খুজে পেতে চায়।

আপনার জন্য আরো লেখা…

এখন আপনার সাইটের কন্টেন্ট এর মান খারাপ হলে সব ভিজিটর আসবে আর আপনার সাইট থেকে চলে যাবে। এর ফলে মাঝখান থেকে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হবে।

[💡PRO TIPS:কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়। সে সম্পর্কে আমার ওয়েবসাইট একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি যদি কন্টেন্টের মধ্যে ভিজিটরকে ধরে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই সেই আর্টিকেলটি পড়ে নিবেন]

Ads in Everywhere

বেশি বেশি ইনকামের আশায় হয়তবা আপনি আপনার ওয়েবসাইটে Ads বসিয়ে দিবেন। কিন্তুু ইনকামের লোভের কারনে কিন্তুু হিতে বিপরীত হতে পারে।

কারন হলো, ভিজিটর কিন্তুু আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আসবে না। বিষয়টা মাথায় রাখুন।

কোনো ভিজিটর আপনার সাইটের বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আসবে না। বরং তারা আসবে তাদের সমম্যার সমাধান খুজে পাবার জন্য।

এখন যদি তারা এসে দেখে যে আপনার সাইটে এড দিয়ে পরিপূর্ণ। তখন কিন্তুু তাদের লোডিং স্পিড নিতে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। এবং এই বিজ্ঞাপন এর কারনে তারা বিরক্ত হয়ে পড়বে।

একটা সময় ভিজিটররা এতোটাই বিরক্ত হয়ে পড়বে যে। তারা আর আপনার সাইটে না থেকে অন্য সাইটে চলে যাবে।

এবং এই যে ভিজিটর অসন্তুষ্ট হলো, এই কারনে কিন্তুু গুগলের কাছে নেগেটিভ ইফেক্ট প্রদান করবে। যা আপনার জন্য বেশ ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে।

আবার এমন অনেকেই আছেন যারা বেশি পরিমানে Pop Up Ad ব্যবহার করে থাকেন। এটা কিন্তুু অন্যান্য Ad এর তুলনায় আরও বেশি বিরক্তিকর।

কারন যখন ভিজিটররা আপনার কন্টেন্ট গুলো পড়বে। তখন স্কিনের সামনে বড় একটা Window আসবে।

এর ফলে কন্টেন্ট পড়ার সময় বার বার সেই উইন্ডো কে Close করে দিতে হবে। যা ভিজিটররা একদম ই পছন্দ করে না। তাই চেস্টা করবেন এমন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য। 

Missing Easy interference

আচ্ছা একটা কথা বলুন তো। পৃথিবীতে এতো গুলো Social Media থাকার পরও আপনি কিসের জন্য Facebook ব্যবহার করেন?

এর প্রধান কারন হলো, ফেসবুক এর ওয়েবসাইটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যেন খুব সহজে যেকোনো মানুষ এই ডিজাইনের সাথে অভ্যস্ত হতে পারে।

অপরিদকে যদি ফেসবুকের ডিজাইনটা অনেক কঠিন হতো। তাহলে কিন্তুু এতো বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়তো।

কারন যখন মানুষ বুঝতেই পারতো না যে কিভাবে FB ব্যবহার করতে হয়। তখন তারা আর এই ওয়েবসাইটের প্রতি তেমন আর্কষন বোধ কাজ করতো না।

ঠিক একইভাবে এবার আপনার ওয়েবসাইট এর কথা চিন্তা করে দেখুন। যখন ভিজিটররা আপনার সাইটে আসবে, তখন যদি সেই ভিজিটর আপনার সাইটের আগা কোনটা আর মাথা কোনটা, সে সম্পর্কে বুঝতে না পারে।

তাহলে কি সেই ভিজিটর আপনার সাইটে স্থায়ী হবে?

না, কারন সে তো বুঝতেই পারবে না যে আপনার সাইটে কোথায় কি আছে। হয়তবা ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় আপনার কাছে ভালো লাগতে পারে।

কিন্তুু আপনার কাছে ভালো লাগলে ভিজিটর এর কাছেও যে ভালো লাগবে। তার তো কোনো মানে নেই। 

ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

যেহুতু আপনি আর্টিকেলের এই পর্যন্ত এসে গেছেন ৷ সেহুতু আমার বিশ্বাস আপনি এতোক্ষনে বাউন্স রেট কি এবং কেন বাউন্সিং এর পরিমান বৃদ্ধি পায়। সে সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন।

এবং এই Bounching এর পরিমান যদি বেশি হয়। তাহলে সেটি কোনো ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো নাকি খারাপ। সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তাই এবার আমরা জানবো যে, যখন কোনো একটি ওয়েবসাইট এর Bounch এর পরিমান বৃদ্ধি পাবে। তখন কিভাবে এর পরিমান কে কমিয়ে আনা সম্ভব। তো চলুন এবার সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক। যে বাউন্স রেট কি করে কমিয়ে আনা সম্ভব।

Pro Tips For Decrease Bounch Rate 

সবার আগে আপনাকে খুজে নিতে হবে আসলে আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট কি কারনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যখন আপনি এই সমস্যা গুলোকে খুজে নিতে সক্ষম হবেন। তখন নিচে দেওয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরন করবেন।

💡Increase Loading Speed: সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে লোডিং স্পিডকে। সব সময় চেস্টা করবেন আপনার সাইটের লোডিং স্পিড যেন 3-6 সেকেন্ডের মধ্যে হয়। তাহলে আর আপনাকে এই সমস্যায় পড়তে হবে না।

💡Content Improvement: দেখুন আপনার কন্টেন্ট এর মান যদি ভালো না হয়। তাহলে আপনার কোনো টেকনিক কাজে আসবে না। তাই আপনার কন্টেন্ট কে মানসম্মত করার চেস্টা করবেন। 

💡 Make Easy Interface: সাইটের ডিজাইনের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন। মনে রাখবেন সাইটের ডিজাইন আপনার পছন্দে নয় বরং ভিজিটরদের কাছে যেন ভালো লাগে। সেই দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন। 

💡 Set Internal Linking: যখন আপনি কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। তখন লক্ষ্য রাখবেন আপনার পাবলিশ করা কন্টেন্ট গুলোতে যেন ইন্টারন্যাল লিংকিং করা থাকে। এর ফলে ভিজিটররা এক পেজ থেকে অন্য পেজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

আমাদের শেষকথা 

যদি আপনি আজকের সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন৷ তাহলে আশা করা যায়, বাউন্স রেট কি, কেন বাউন্স রেট বৃদ্ধি পায় এবং কিভাবে এর পরিমানকে কমিয়ে আনা সম্ভব। সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

আপনি অবশ্যয় পড়বেন…

এরপরও যদি Bounch Rate রিলেটেড আর কোনো জানার থাকে। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি অপেক্ষায় থাকবো আপনার কমেন্ট এর জন্য।

আজ আর নয়!  দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর অজানা বিষয়কে জানার জন্য সাথে থাকুন বাংলা আইটি ব্লগের। ধন্যবাদ 

3 thoughts on “বাউন্স রেট কি? ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top