অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? | কোনটি আপনি করবেন?

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি? আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা কিনা অনলাইন থেকে আয় করতে চাই।

কিন্তু তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকে যে কোন কাজটি শিখলে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে একদম নতুন এবং অনলাইন থেকে আয় করার প্রতি ইন্টারেস্ট থাকে।

এবং তারা প্রতিনিয়ত ভাবে যে কোন কাজের চাহিদা বেশি অথবা কোন কাজটি আমি করলে দ্রুত আয় করতে পারবো।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কোন কাজগুলো আপনার জন্য ভালো হবে যদি আপনি অনলাইনে নতুন হয়ে থাকেন।

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
অনলাইনে যে কাজের চাহিদা বেশি

আমার আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজটি করা আপনার জন্য বেটার হবে এ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ গাইড লাইন প্রদান করা হবে।

কেননা অনলাইন থেকে আয় করার জন্য আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন বা সঠিক কাজটি নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে অনলাইন থেকে আয় করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি

আমি বিভিন্ন ফোরাম সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেকগুলো কমেন্ট এবং প্রশ্ন দেখতে পেয়েছি যে বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি  কোন কাজের চাহিদা বেশি অথবা আমি কোন কাজটি করব?

অনলাইনে ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি হবে? এ ধরনের প্রশ্ন এবং কমেন্টের কথা ভেবে আমি বিভিন্ন ব্লগ এবং যারা প্রতিনিয়ত অনলাইন থেকে আয় করতেছে তাদের সাথে কথা বলে যে বিষয়গুলো জানতে পারলাম।

তা আজকে আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব। আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

যে বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং কি জন্য চাহিদা বেশি এই পোস্টের মাধ্যমে একটি সুন্দর ধারণা পেয়ে যাবেন।

আজকের আর্টিকেলটি হয়তো একটু বড় হয়ে যাবে আর আপনি যদি সম্পূর্ণ না পারেন তাহলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন না।

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আর্টিকেলটি সম্পন্ন করবেন এবং প্রত্যেকটি পয়েন্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।

অনলাইনে কোন কাজটি আপনি করবেন?

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ রয়েছে সবগুলো কাজের ভেতর থেকে আপনি কখনোই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।

যে কোন নির্দিষ্ট একটি কাজে নির্বাচন করে আপনাকে সেই কাজটি শিখতে হবে তারপর আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

এই পোষ্টের মাধ্যমে বাছাই করা কিছু কাজের লিস্টিং করা হয়েছে যে কাজগুলো আপনি যদি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

নতুন হিসেবে অনলাইনে কোন কাজটি করবেন এবং কোন কাজটি কিভাবে শিখতে হবে এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন আমারে আজকে আর্টিকেলর এর মাধ্যমে।

আপনি আরো দেখুন…

#১. গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিক ডিজাইন হল কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি এবং প্রাণী অথবা যেকোনো কিছু ডিজাইন করাকেই গ্রাফিক ডিজাইন বলে।

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রয়োজনীয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে আর সেইসাথে বেড়ে চলছে গ্রাফিক ডিজাইনারদের আর্নিং।

গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখতে হয়, গ্রাফিক ডিজাইন করে কত টাকা আয় করা যায্‌ গ্রাফিক ডিজাইন করে কোথায় কাজ করতে হয়।

এই সকল খুঁটিনাটি বিষয় অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে তা না হলে আপনি কখনো একজন ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন না।

গ্রাফিক ডিজাইন কাকে বলে?

গ্রাফিক ডিজাইন বলতে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে চিন্তা ধারা এবং বিভিন্ন তথ্যের সাথে মিল রেখে দৃশ্য বা অঙ্কন করা কে গ্রাফিক ডিজাইন বলে।

বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইনডিজাইন, পাওয়ার পয়েন্ট সহ অন্যান্য সফটওয়ারের মাধ্যমে ফ্লায়ার, লোগো, বিজ্ঞাপণ, পেজ-লেআউট, ব্রোশার, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য নকশা তৈরি করা হয়।

গ্রাফিক ডিজাইন দ্বারা আপনার চিন্তা ধারাকে খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইনে সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার সঠিকভাবে জেনে থাকেন।

তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন কি এবং গ্রাফিক ডিজাইন দ্বারা কি কি করা যায় এ বিষয়ে আমরা জেনে গেছি।

গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখবো?

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখব। তার কারণ হলো প্রতিনিয়ত মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমাণে গ্রাফিক ডিজাইনে প্রয়োজন হচ্ছে।

কেননা এখন সকল ধরনের কাজে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক অর্থনীতির সকল কাজে বিভিন্ন প্রকার ব্যানার এবং গ্রাফিক ডিজাইনে প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আপনার যদি ডিজাইনের প্রতি ভালো মন মানসিকতা থাকে তাহলে আপনি গ্রাফিক ডিজাইনের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে জানা যায় যে গ্রাফিক ডিজাইনে স্থান বর্তমানে দুই নম্বর রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত সেসকল ইন্টার্নেশনাল এবং দেশের মার্কেটপ্লেসে graphic-designer প্রয়োজন এমন জব পোস্টয়ে হচ্ছে।

#২. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হচ্ছে আর এর সাথে নতুন ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপার এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে অনলাইন থেকে অনেক বড় অঙ্কের আয় করতে পারবেন বলা বাহুল্য রাখে না।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি?

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর মাঝে কিছু পার্থক্য রয়েছে শুনতে একশুনা গেলেও এদের কাজের এবং কাজের ধরন অনুযায়ী এদের আলাদা ভাবে ভাগ করা যায়।

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে নিচে আলাদা ভাবে বলা হলো ওয়েব ডিজাইন কি আর ওয়েব ডেভেলপার কি।

ওয়েব ডিজাইন কি?

একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন কিরকম হবে অথবা কোন কালারের হবে, ডিজাইনের ইমেজ কয়টি হবে কনটেন্ট কিভাবে সাজাতে হবে

অথবা একটা ওয়েবসাইটের সম্পন্ন ডিজাইনটি কিরকম হবে এই কাজটি  ওয়েব ডিজাইনার করে থাকে। আর যারা এই ওয়েবডিজাইনের কাজ করে থাকএ তাদের ওয়েব ডিজাইনার বলে থাকে।

আর যারা ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে তাদেরকে Front-End ওয়েব ডেভলপার বলা হয়ে থাকে।

একটা ওয়েবসাইট প্রথম স্ট্রাকচার তৈরি করতে front-end ওয়েব ডেভলপার অবশ্যই প্রয়োজন হয়।

বর্তমান মার্কেটপ্লেসে একজন ওয়েব ডিজাইনারের অর্থাৎ ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব দেভেলোপের অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি?

একটি ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার বা ডিজাইন করার পর সেই ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে রেস্পন্সিভ বা ড্যাইমেনিক করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এবং বিভিন্ন পেজের এডমিন এবং সদস্যগণ কিভাবে চলাচল করবে অথবা কোন কোন উপায় কোন কাজগুলো করবে সকাল কাজগুলো একজন ওয়েব ডেভলপার করে থাকে।

ওয়েব সাইটের বিভিন্ন বাক একজন ওয়েবডেভেলপার খুব সহজেই বের করতে পারে এবং সেটা ফিক্স করার জন্য ওয়েব ডেভলপার ই যথেষ্ট হয়ে থাকে।

এবং আপনার ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এবং বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ফাংশন যুক্ত করার জন্য ওয়েব ডেভলপার অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর যারা web-development এর কাজ করে  তাদের ব্যাক ইন্ড ডেভলপার বলা হয় থাকে।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন শিখবো?

প্রত্যেক দিন হাজার হাজার নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে এবং সেগুলোর জন্য ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তথ্যপ্রযুক্তি সাথে তাল মিলিয়ে এখন ব্যবসা থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থা এবং অন্যান্য সকল ধরনের কাজ করার জন্য অনেক সময় ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এককথায় তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের মাঝে অধিক পরিচিত করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস সহ অন্যান্য উপায়ে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

#৩. আর্টিকেল রাইটিং

প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিনিয়ত মানুষ ব্লগিং বা ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল রাইটার খুঁজে থাকে। আপনি যদি ভাল আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অনলাইন থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

তবে আর্টিকেল বা ওয়েব সাইটের কনটেন্ট লিখার আগে অবশ্যইআপনার এসইও সম্পর্কে একটু টুকটাক ধারণা থাকতে হবে।

আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো লিখতে পারেন তাহলে ইংরেজিতে বিভিন্ন কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন।

আবার যদি বাংলাতে লিখতে পারেন আপনি বাংলাতে লিখ বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালকের থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এমনকি বিভিন্ন ইন্টার্নেশনাল ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল রাইটার প্রয়োজন এরকম জব পোস্ট হয় সেসব ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে তাদের সাথে ডিল করে আয় করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং কি

কোন কিছু সম্পর্কে আমরা অবগত না হয় অথবা আমরা না শুনি তাহলে সম্ভবত যে কাজটি করি গুগলের সেই লেখা বা প্রশ্নটিই লিখে সার্চ বাটন এ ক্লিক দেওয়ার পর অসংখ্য রেজাল্ট পেয়ে যায় ।

এরপর ক্লিক করে যখন কোন ওয়েবসাইটে ঢুকে information বা উত্তরটি পেয়ে যায় সেটাকে কনটেন্ট বা আর্টিকেল বলা হয়ে থাকে।

আর যারা আর্টিকেল লিখে অর্থাৎ আপনি যদি আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনাকে রাইটার বলা হয় আর আপনি যে কনটেন্টগুলো লিখেন সেগুলো কে আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়ে থাকে।

কেন আর্টিকেল এর চাহিদা বেশি কেন?

সোজা কথায় প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য আর্টিকেল অবশ্যই লাগবে কেননা আর্টিকেল ছাড়া কখনই কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুগল বলেন আর যাই বলেন মানুষের মাঝে পরিচিত হবে না।

একটি ওয়েবসাইটের ওনার বা মালিক তার ব্লগ সাইটের জন্য প্রতিনিয়ত আর্টিকেলের খুঁজে থাকে অর্থাৎ তার ওয়েবসাইটে যত বেশি আর্টিকেল পাবলিশ করবে তার তত বেশি ভিজিটর আসবে।

আর কোন ওয়েবসাইট অথবা ব্লগের ভিজিটর আশা মানে সেই ওয়েবসাইটের রেংকিং বেড়ে যাবে আর সাথে ইনকামের এমাউন্টা বেড়ে যাবে।

আপনি যদি ইংরেজি ভাষাতে ভালো এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ইন্টার্নেশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে ইংরেজি ভাষায় কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।

তবে যদি ইংলিশ ভালো না বোঝেন যদি বাংলাতে লেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইট এর মালিকের সাথে ডিল করার মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং লিখে আয় করতে পারবেন।

#৪. এসইও এক্সপার্ট

অনলাইনে যে কোন কাজই করতে যান না কেন আপনাকে এসইও সম্পর্কে টুকটাক নলেজ না থাকলে আপনি কোন কাজে দ্রুত সফল হতে পারবেন না।

হতে পারে আপনি লেখালেখি করেন অথবা অনলাইনে ব্যবসা করেন অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ জন্য কাজ করেন।

যাই করেন এসইও আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে অথবা আপনার সাইটকে সবার সম্মুখে আনার জন্য এসইও বিকল্প নেই।

আপনি যদি নিজেকে একজন এসে এক্সপার্ট বানাতে পারেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি অনেক পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারবেন কারণ প্রত্যেকটি কাজের এসইও প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এসইও কি

এসইওর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আমরা সার্চইঞ্জিন বলতে যে তিনটি বড় সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটকে বুঝি Google,Yahoo and Bing. 

আরো অনেক অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে কিন্তু তাদের থেকে বেশির এই তিনটি সার্চ ইঞ্জিন বেশি ব্যবহৃত হয় ব্যবহার হয়।

আপনি আরো পড়ুন…

বেশিরভাগ সময়ে ডিজিটাল মার্কেটারের সহ অন্যান্য ব্লগ সাইটের মালিকরা তাদের ব্লগ অথবা ব্যবসাকে গুগল সার্চ কে টার্গেট করে বিভিন্ন রকম অপটিমাইজ করে থাকে তাদের ওয়েবসাইটে।

যাতে করে তাদের ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ এবং অন্যান্য ব্যবসার সামগ্রী সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় থাকে প্রথম পাতায় থাকা মানে তাদের ব্যবসা এবং ব্লগ সাইটের ভিজিটর পাওয়া।

সহজ ভাবে বললে আপনার ওয়েব সাইট অথবা ব্যবসাকে গুগল অথবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে কে টার্গেট করে প্রথম পাতায় স্থান করে নেয়াকে এসইও অপটিমাইজেশন বা এসইও বলা হয়।

এসইও কেন শিখবেন?

আপনার যদি নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থাকে অথবা ব্যবসা জাতীয় কোন ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে খুব সহজেই গুগল র‍্যাংকে আনতে পারবেন।

বাকি অন্যান্য বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পারবেন যে কি করলে বা কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটটি আরো ভালো কিছু করা যায়।

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে কনট্রাক এর বিনিময়ে তাদের ওয়েবসাইটে এসইও করে দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এতে করে আপনার প্র্যাকটিস হবে এবং কোথায় হবে।

মোটকথা আপনি যদি ভালো কিছু শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন এবং এতে করে আপনার অন্য কারোর চাপ থাকবে না আপনি নিজের নিজের বাসায় বসে আয় করতে পারবেন।

#৫. ডিজিটাল মার্কেটিং

আধুনিকতার ছোঁয়ায় সকল কিছু পৌঁছে গেছে মানুষের হাতের ধারে এবং এখন মানুষ ঘরে বসে বিভিন্ন প্রকার পণ্য দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে অনলাইনের মাধ্যমে।

এমনি এমনি আপনার দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় হবে না তার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয় আর অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য হায়ার করে থাকে।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সদস্য হন তাহলে অবশ্যই এই কাজটি হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার একটি অংশ।

অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন এবং মার্কেটের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কী?

বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের প্রমোশন বা প্রমোট করা কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে অর্থাৎ অনলাইনে মাধ্যমে কোন কিছু প্রমোশন করা কেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।

মানুষ যেমন দোকানে দোকানে গিয়ে তাদের পণ্য দ্রব্যের মার্কেটিং করে আছে অথবা বাজারে করে।  অনলাইন মার্কেটিং কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।

তাই আপনি যদি প্রচার প্রমোশনের ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে আপনার উপার্জনের উপায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি বা কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে পুরোপুরি জানতে হলে আমার অন্য আরেকটি আর্টিকেল  রয়েছে সেখান থেকে পড়ে নিতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন বা কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি আরোও জানুন…

#৬. ইমেইল মার্কেটিং

বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল রয়েছে কেননা এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তি কে নির্দিষ্ট জিনিসের জন্য অফার করা যায়।

অর্থাৎ মানুষের কাছে আপনার মার্কেটিংয়ের জিনিসটি পৌঁছে দিতে পারবেন শুধুমাত্র ইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

যদিও ভালোভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে এর মাধ্যমে ভালো অর্থ খুব সহজে অনলাইনে আয় করতে পারবেন ।

তবে এর জন্য আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে এমন কোন কথা নেই ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে  নলেজ থাকলেই আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন এবং ইমেইল মার্কেটিং এর  ডিমান্ড মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি হয়েছে।

ইমেইল মার্কেটিং কি

সোজা ভাষায় বলতে গেলে ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার পণ্যদ্রব্যের প্রমোশন প্রচার-প্রচারণা করাকে ইমেইল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য দ্রব্যের প্রমোশন প্রচার-প্রচারণা জানানো হোক এই ইমেইল মার্কেটিং বলে।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এখন প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ এক্ষেত্রে করে টার্গেট মানুষকে প্রচার প্রচার মাধ্যমে খুব সহজেই পণ্যদ্রব্যের সম্পর্কে জানানো যায়।

সেজন্য আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করার জন্য আগ্রহ থাকে অবশ্য ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে আপনি ইমেইল মার্কেটিং মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

#৭. ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট (Virtual Assistants)

আধুনিকতার এই যুগে প্রতিনিয়ত মানুষ অনলাইনমুখী হচ্ছে আর সেইসাথে বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইন এর উপর নির্ভর করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একজন লোক কখনোই তার ব্যবসা-বাণিজ্য একা একাই সকল ধরনের সাপোর্ট দিতে পারে না এর জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট।

আপনি চাইলে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট কাজ নিয়ে ঘরে বসে কাজগুলো করতে পারেন এবং মাস শেষে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিট্যান্ট কি

সোজা ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেই জিনিসটা কে বুঝায় যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন প্রকার অনলাইন দোকান ফেসবুক পেজ এবং অন্যান্য সকল সাপোর্ট করে থাকেন।

অর্থাৎ বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর দিয়ে থাকেন বা করেন। হতে পারে কারও হোস্টিং ডোমেইন রিলেটেড ওয়েবসাইট রয়েছে এবং চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে থাকেন।

নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে সকল প্রকার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য রেখে দিয়েছে।

যেখানে বিভিন্ন প্রকার ফোরাম কমেন্ট বা ব্লগের উত্তর দিয়ে থাকেন অথবা বিভিন্ন প্রকার ফেসবুক গ্রুপ অথবা ফেসবুক পেজের মালিকের অফার বিভিন্ন প্রকার প্রমোশন লিংক শেয়ার করা হয় আর এগুলো ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট বলে।

#৮. সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট

বর্তমান সময়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি বড় অনলাইন কাজের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট মানের অনেক বেশি ডিমান্ড হয়ে থাকে।

কেননা সরকারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকারের কাজের সফটওয়্যার ডেভলপার প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি বা চাহিদা আছে তার ভিতরে একটি।

আপনার ফিউচার ক্যারিয়ার হিসেবে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অবশ্যই একটি যুক্তিসম্মত কাজ হবে কেননা ভবিষ্যতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট আরো বৃদ্ধি পাবে আশা করা যায়।

সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কি?

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কি? খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে শোনা যায় যে অনেকেই বলে অমুক সুন্দর একটি ছবি এডিট করেছে এবং কি দিয়ে করেছে সফটওয়্যার দিয়ে।

আপনি কি মনে করেন এসব সফটওয়্যার একা একাই তৈরি হয়েছে অবশ্যয় না আমার এবং আপনার মত মানুষেরা এ সকল সওয়াব তৈরি থাকে।

এমনকি কম্পিউটার সহ বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার মানুষেরই তৈরি করে থাকে আর এই সকল সফটওয়্যার যারা তৈরি করে বানায় তাদেরকে সফটওয়্যার ডেভলপার বলা হয়ে থাকে।

আপনি যদি একজন ভাল মানের সফটওয়্যার ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

যখন আপনি কাজ পেতে শুরু করবেন তখন দেখবেন কিভাবে আপনার উপকারে ঢাকা আসতে শুরু করে অর্থাৎ তাঁর ডেভলপমেন্ট এর মাধ্যমে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।

#৯. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অনলাইন থেকে আয় করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম কারণ আপনি যত বেশি মার্কেটিং করতে পারবেন ।

অর্থাৎ আপনি যত বেশি পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।

মার্কেটিং মূলত আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে করতে পারবেন অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করতে পারবেন বিভিন্ন উপায়ে করতে পারবেন।

আরো পড়ুন…

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত হলো কমিশন ভিত্তিক অনলাইন আয় অর্থাৎ কোন ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট প্রডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিঙ্ক পাওয়ার জন্য অবশ্যই কোনো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট অ্যাকাউন্ট করতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইটের মালিক আপনাকে একটি লিংক প্রদান করবে।

আপনার সেই লিঙ্ক থেকে যদি কোন কাস্টমার কোন কিছু ক্রয় করে তাহলে আপনার একাউন্টে ক্রয় কৃত কমিশন পেয়ে যাবেন এবং এভাবে আপনি যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন আপনি তত বেশি করতে পারবেন।

শেষ কথা,

আমাদের এই ব্লগ সাইটটি মূলত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করার জন্য হয়েছে এবং সম্পূর্ন বাংলা ভাষায়।

আপনি আজকে জানতে পেরেছেন অনলাইনে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

আপনার যদি এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনার কমেন্টের যথাযথ মূল্যায়ন করে উত্তর জানাবো।

অনলাইন আয় সম্পর্কে আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং অন্যান্য পোস্টগুলো করতে পারেন।

আর আপনি যদি এই পোস্টে একজন মনে করেন অথবা আপনার বন্ধুকে রেফার করতে চান অবশ্যই এই আর্টিকেলের লিংকটি আপনার বন্ধুদের শেয়ার করে দিন।

যাতে আপনার বন্ধু উপকৃত হতে পারে কীভাবে বা কোন কাজটি করলে অনলাইন থেকে দ্রুত করতে পারবে।

3 thoughts on “অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি? | কোনটি আপনি করবেন?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top