ডিপোজিট করে ইনকাম | ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট নিয়ে বিস্তারিত দেখুন

আপনি কি জানেন যে, আপনার টাকা জমা রেখেও আপনি ইনকাম করতে পারেন? হ্যাঁ, এটা সম্ভব। আগের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করেছিলাম কিভাবে ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করা যায়।

ডিপোজিট করে ইনকাম | ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট নিয়ে বিস্তারিত দেখুন
ডিপোজিট করে ইনকাম

আপনি চাইলে সেই আর্টিকেল পড়ে আসতে পারেন। Diposit করে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে।

এই আর্টিকেলে আমি ডিপোজিট করে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় (How to earn money through deposits) সম্পর্কে আলোচনা করব।

তার সাথে আমি কিছু জনপ্রিয় ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট সম্পর্কে জানাবো। এবং কিভাবে এই সাইটগুলোতে ইনকাম করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ডিপোজিট করে ইনকাম করার মানে হলো কোন একটি সাইটে বা কাজে টাকা জমা করে সেই টাকা থেকে লাভ করা।

আপনি আরোও দেখতে পারবেন…

এই লাভের হার কাজ এবং সাইটভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিছু সাইটে মাসিক বা বার্ষিক লাভ দেয়, আবার কিছু সাইটে ডিপোজিটের উপর লাভ প্রদান করে।

তাহলে চলুন জেনে নেয় কিভাবে ডিপোজিট করে ইনকাম করা যায় এবং ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট কোনগুলা এসব নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়।

ডিপোজিট মানে কি (What is Diposit in Bengali)

ডিপোজিট (Diposit) শব্দের বাংলা অর্থ হলো জমা। অর্থাৎ, কোন কিছুকে একটি নির্দিষ্ট সাইটে, স্থানে বা ব্যক্তির কাছে গচ্ছিত রাখা।

আর্থিক ক্ষেত্রে, ডিপোজিট বলতে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা জমা রাখাকে বোঝায়।

আরো সহজভাবে বলা যায়, ডিপোজিট হলো কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা জমা রাখার প্রক্রিয়া। এই টাকাটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা নির্দিষ্ট শর্তে জমা রাখা হয়।

ডিপোজিট করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার টাকার উপর লাভ পায়। আশা করি, ডিপোজিট কাকে বলে আপনি বুঝতে পেরেছেন।

ডিপোজিট করে ইনকাম (deposit kore ay korar) করার আগে আপনাকে জানতে হবে এই ডিপোজিট কত প্রকার এবং কি কি। তাহলে ডিপোজিট নিয়ে আপনার ভালো ধারনা হবে।

ডিপোজিট কত প্রকার ও কি কি (Types of Diposit)

বাংলাদেশে ডিপোজিটের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এই প্রকারভেদগুলি মূলত টাকা জমা রাখার মেয়াদ, লাভের হার এবং অন্যান্য শর্তের উপর ভিত্তি করে করা হয়।

ডিজিটেরপো বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit): নির্দিষ্ট মেয়াদে এবং নির্দিষ্ট লাভের হারে টাকা জমা রাখা।
  • রেকারিং ডিপোজিট (Recurring Deposit): প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখা।
  • কর্পোরেট ডিপোজিট (Corporate Deposit): কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা জমা রাখা।
  • ব্যক্তিগত ডিপোজিট (Personal Deposit): কোন ব্যক্তির কাছে টাকা জমা রাখা।

ফিক্সড ডিপোজিট

ফিক্সড ডিপোজিট হলো সবচেয়ে বহুল প্রচলিত ডিপোজিট। এই ধরনের ডিপোজিটে, একজন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখে।

মেয়াদ শেষে, আমানতকারী তার টাকা এবং সুদ ফেরত পায়। ফিক্সড ডিপোজিটের লাভের হার সাধারণত অন্যান্য ধরনের ডিপোজিটের তুলনায় বেশি হয়।

তবে, ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদ শেষে টাকা তোলার আগে আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে।

রেকারিং ডিপোজিট

রেকারিং ডিপোজিট হলো একটি স্বল্প-মেয়াদী ডিপোজিট সিস্টেম। এই ধরনের ডিপোজিটে, একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখে।

মেয়াদ শেষে, আমানতকারী তার টাকা এবং সুদ ফেরত পায়। রেকারিং ডিপোজিটের সুদের হার সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় কম হয়।

তবে, রেকারিং ডিপোজিটে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে না। আপনি যখন খুশি তখনই আপনার টাকা তুলতে পারেন।

কর্পোরেট ডিপোজিট

কর্পোরেট ডিপোজিট হলো কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা জমা রাখা। এই ধরনের ডিপোজিটে, একটি প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখে।

মেয়াদ শেষে, প্রতিষ্ঠান তার টাকা এবং সুদ ফেরত পায়। কর্পোরেট ডিপোজিটের সুদের হার সাধারণত ব্যক্তিগত ডিপোজিটের তুলনায় বেশি হয়।

তবে, কর্পোরেট ডিপোজিটে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদ শেষে টাকা তোলার আগে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা দিতে হতে পারে।

ব্যক্তিগত ডিপোজিট

ব্যক্তিগত ডিপোজিট হলো কোন ব্যক্তির কাছে টাকা জমা রাখা। এই ধরনের ডিপোজিটে, একজন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা একটি ব্যক্তির কাছে জমা রাখে।

মেয়াদ শেষে, ব্যক্তি তার টাকা এবং সুদ ফেরত পায়। ব্যক্তিগত ডিপোজিটের সুদের হার সাধারণত অন্যান্য ধরনের ডিপোজিটের তুলনায় কম হয়।

তবে, ব্যক্তিগত ডিপোজিটে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে না। আপনি যখন খুশি তখনই আপনার টাকা তুলতে পারেন।

বর্তমানে অনলাইনে এর অনেক সাইট আছে যেখানে  আপনি টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে তার আগে আমি ডিপোজিট নিয়ে আপনাকে ক্লেয়ার ধারণা দিয়ে নিলাম।

জেনে রাখা ভালো যে , ডিপোজিট করা যেহেতু একটি আর্থিক ব্যবস্থা এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে।

তাহলে চলুন ডিপোজিটের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেয়।

ডিপোজিটের সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ

ডিপোজিট হলো একটি লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম। তবে, ডিপোজিট করার আগে এর সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

তার সাথে আপনি আরোও জানতে পারবেন, ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা ডিপোজিট করা কি ঠিক হবে? এই সকল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

ডিপোজিট করে ইনকাম করার সুবিধা

ডিপোজিট একটি লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম। ডিপোজিটের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে টাকার উপর সুদ বা লাভ পাওয়া, এবং টাকা সহজেই তোলা যাওয়া।

অনলাইনে ডিপোজিট করে আয় করার আরও সুবিধা আছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিপোজিট করে ইনকাম করার সুবিধাসিমূহ।

অফলাইনে ডিপোজিট হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় গিয়ে ডিপোজিট করা। অনলাইনে ডিপোজিট হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ডিপোজিট করা।

অফলাইনে ডিপোজিটের সুবিধা:

  • টাকা হাতে দেখা যায়: অফলাইনে ডিপোজিট করার সময় আপনি আপনার টাকা হাতে দেখতে পারেন।
  • প্রক্রিয়াটি সহজ: অফলাইনে ডিপোজিট করার প্রক্রিয়াটি তুলনামূলকভাবে সহজ।
  • দূরত্ব: আপনার কাছে যদি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখার কাছাকাছি থাকে তাহলে এটি আরও সুবিধাজনক।

অনলাইনে ডিপোজিটের সুবিধা:

  • ঘরে বসেই ডিপোজিট করা যায়: অনলাইনে ডিপোজিট করার জন্য আপনাকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে ডিপোজিট করতে পারেন।
  • সময় বাঁচায়: অনলাইনে ডিপোজিট করার মাধ্যমে আপনি সময় বাঁচাতে পারেন। আপনাকে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না এবং কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
  • এটি আরও সুবিধাজনক: অনলাইনে ডিপোজিট করা আরও সুবিধাজনক। আপনি যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে ডিপোজিট করতে পারেন।

ডিপোজিট করে ইনকাম করার সুবিধা গুলা:

  • টাকার উপর লাভ পাওয়া যায়: ডিপোজিট করার মাধ্যমে আপনি আপনার টাকার উপর লাভ পাবেন। লাভের হার বিভিন্ন ধরনের ডিপোজিটের উপর নির্ভর করে।
  • টাকা নিরাপদ থাকে: ডিপোজিটকৃত টাকা সরকারি নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখা হয়। তাই এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ।
  • টাকা সহজেই তোলা যায়: বেশিরভাগ ডিপোজিট স্কিমে মেয়াদ শেষে টাকা তোলার সুযোগ থাকে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মেয়াদের আগে টাকা তোলার জন্য জরিমানা দিতে হতে পারে।

অফলাইনে এবং অনলাইনে ডিপোজিট করে ইনকাম উভয়ই সুবিধা রয়েছে। আপনার জন্য কোন ধরনের ডিপোজিট সবচেয়ে উপযুক্ত তা আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং সুবিধাগুলির উপর নির্ভর করে।

ডিপোজিট করে ইনকাম করার অসুবিধা

অফলাইনে এবং অনলাইনে ডিপোজিট করে ইনকাম করার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি একটি লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম।

তবে এই ডিপোজিটের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। চুলুন জেনে নেওয়া যাক ডিপোজিট করে ইনকাম করার অসুবিধা গুলা কি কি।

অফলাইনে ডিপোজিটের অসুবিধা;

  • অনিরাপদ: অফলাইনে ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীকে ডিপোজিটকৃত অর্থের নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে হয়। যদি ডিপোজিট গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে যায় বা পালিয়ে যায়, তাহলে বিনিয়োগকারীর অর্থ হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।
  • কম রিটার্ন: অফলাইনে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে, সুদ বা লাভের হার সাধারণত অনলাইনে ডিপোজিটের চেয়ে কম হয়।
  • লিকুইডিটি কম: অফলাইনে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে, অর্থ তুলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

অনলাইনে ডিপোজিটের অসুবিধা;

  • প্রতারণার ঝুঁকি: অনলাইনে ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে, প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অনেক অনলাইন ডিপোজিট প্ল্যাটফর্ম জালিয়াতি করে এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করে।
  • নিরাপত্তা ঝুঁকি: অনলাইনে ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে, তথ্য এবং অর্থের নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। যদি কোনো হ্যাকার প্ল্যাটফর্মের তথ্য চুরি করে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের টাকা এবং ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

ডিপোজিট করে আয় করার অসুবিধাসমূহ;

  • অনিরাপত্তা
  • কম রিটার্ন
  • লিকুইডিটি কম
  • প্রতারণার ঝুঁকি
  • নিরাপত্তা ঝুঁকি

সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া এমন অনেক অনলাইন এবং অফলাইনে ডিপোজিট করা ওয়েবসাইট আছে যেগুলো পালিয়ে যায়।

এই ওয়েবসাইটগুলোতে বিনিয়োগ করার পর বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ ফেরত পায় না।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

তাই কোনো অনলাইন বা অফলাইনে ডিপোজিট প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।

নিরাপদ ডিপোজিট করার টিপস

  • শুধুমাত্র পরিচিত এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করুন।
  • প্ল্যাটফর্মের সুদের হার এবং অন্যান্য শর্ত ভালোভাবে পড়ে নিন।
  • প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে নিন।
  • অল্প পরিমাণ অর্থ দিয়ে শুরু করুন।

এই টিপসগুলো মেনে চললে নিরাপদভাবে ডিপোজিট করে ইনকাম করা সম্ভব। অফলাইনে এবং অনলাইনে ডিপোজিট করে ইনকাম করার অনেক সুবিধা রয়েছে।

তবে এই বিনিয়োগের কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

অসুবিধাগুলি এড়াতে, বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে এবং নিরাপদ ডিপোজিট করার জন্য টিপসগুলি অনুসরণ করতে হবে।

ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট

আমাদের আর্টিকেলের মূল বিষয় হচ্ছে ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট নিয়ে। তাহলে আপনি জানতে চাইবেন ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট কোন গুলা?

ডিপোজিট করে ইনকাম করার নিয়ম কি? কিভানে ডিপোজিট করে আয় করা যাবে?  ১০০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম করা যাবে কি?

এসব নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই Diposit থেকে টাকা ইনকাম করার পোষ্ট এর মাধ্যমে।

চলুন জেনে নেই Diposit করে ইনকাম করার সাইট নিয়ে। তবে জেনে রাখুন আপনি যদি ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম অথবা 200 টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম করতে চান।

তাহলে খুব একটা বেশি লাভ করতে পারবেন না।

ডিপোজিট করে ইনকাম করা যাবে এমন সাইটগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

  • ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান: এই সাইটগুলোতে সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিট, রিভার্স মানি মার্কেট এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
  • ক্রিপ্টোগ্রাফিকাল মুদ্রা: এই সাইটগুলোতে সাধারণত স্টেকিং এবং লোনিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিপোজিট করে ইনকাম

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিপোজিট করে ইনকাম করার জন্য সাধারণত ফিক্সড ডিপোজিট, রিভার্স মানি মার্কেট এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

  • ফিক্সড ডিপোজিট: ফিক্সড ডিপোজিট হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে টাকা তোলা যায় না। ফিক্সড ডিপোজিটে সাধারণত ভালো সুদের হার দেওয়া হয়।
  • রিভার্স মানি মার্কেট: রিভার্স মানি মার্কেট হলো একটি ঋণদানের ব্যবস্থা যেখানে ব্যক্তিরা বা প্রতিষ্ঠানগুলি ঋণ নিতে পারে। রিভার্স মানি মার্কেটে সাধারণত কম সুদের হার দেওয়া হয়।
  • ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাশব্যাক দেওয়া হয়। এই ক্যাশব্যাক থেকেও ইনকাম করা যায়।

ক্রিপ্টোগ্রাফিকাল মুদ্রা দিয়ে ডিপোজিট করে ইনকাম

ক্রিপ্টোগ্রাফিকাল মুদ্রা দিয়ে ডিপোজিট করে ইনকাম করার জন্য সাধারণত স্টেকিং এবং লোনিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

  • স্টেকিং: স্টেকিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে ক্রিপ্টোগ্রাফিকাল মুদ্রা একটি ব্লকচেইনে লক করা হয়। এই মুদ্রাগুলি ব্যবহার করে নতুন ব্লক তৈরি করা হয় এবং বিনিময়ে স্টেকারের কাছে একটি পুরস্কার দেওয়া হয়।
  • লোনিং: লোনিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে ক্রিপ্টোগ্রাফিকাল মুদ্রা অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণের বিনিময়ে লোনারের কাছে একটি লাভের হার দেওয়া হয়।

২০২৩ সালে ডিপোজিট করে ইনকাম করার জন্য সেরা কিছু সাইট

ডিপোজিট করে ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো সাইট (List of online deposit websites) রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সাইট বেশি জনপ্রিয় এবং ভালো লাভের হার প্রদান করে।

  • Celsius Network
  • BlockFi
  • Nexo
  • Crypto.com
  • Youhodler

সাইটগুলার নাম আপনি গুগলে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।  এই সাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ডিপোজিট পদ্ধতি রয়েছে।

যেমন, ফিক্সড ডিপোজিট, রিভার্স মানি মার্কেট এবং ডেবিট কার্ড। এই সাইটগুলোতে সাধারণত ভালো লাভ দেওয়া হয়।

Celsius Network

Celsius Network হল একটি ক্রিপ্টো ঋণদান প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করলে সুদ দেয়।

Celsius Network-এ, ব্যবহারকারীরা তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করে প্রতি মাসে 3% থেকে 18% পর্যন্ত সুদ পাওয়ার সুযোগ পায়।

Celsius Network-এ ইনকাম করার দুটি উপায় রয়েছে:

  • সুদ: Celsius Network ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করে সুদ প্রদান করে। সুদের হারগুলি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা এবং ডিপোজিটের পরিমাণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
  • CEL Token ইনসেন্টিভ: Celsius Network ব্যবহারকারীদের CEL Token ধারণ করার জন্য ইনসেন্টিভ প্রদান করে। CEL Token হল Celsius Network-এর নিজস্ব টোকেন। ব্যবহারকারীরা CEL Token ধারণ করলে তারা সুদের হার বৃদ্ধি, দ্রুত লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারেন।

Celsius Network-এ ডিপোজিট করার জন্য, ব্যবহারকারীদের প্রথমে একটি Celsius Network অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, ব্যবহারকারীরা তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করতে পারেন। Celsius Network বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে বিটকয়েন, ইথার, লিটোকয়েন, এবং সোলানা।

BlockFi

BlockFi হল একটি ক্রিপ্টো ঋণদান প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করে সুদ পাওয়ার সুযোগ করে দেয়।

এখানে, ব্যবহারকারীরা তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করে প্রতি মাসে 0.10% থেকে 10% পর্যন্ত সুদ পাওয়ার সুযোগ পায়। সুদের হারগুলি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা এবং জমাকৃত পরিমাণের উপর নির্ভর করে।

BlockFi-তে ডিপোজিট করে ইনকাম করার জন্য, ব্যবহারকারীদের প্রথমে একটি BlockFi অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করতে পারেন। জমাকৃত ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রার উপর প্রতি মাসে সুদ গণনা করা হয় এবং অ্যাকাউন্টে যোগ করা হয়।

Nexo

Nexo হল একটি ক্রিপ্টো ঋণদান প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা ডিপোজিট করে প্রতি মাসে 8% পর্যন্ত সুদ দেয়।

Nexo-তে ডিপোজিট করে ইনকাম করার দুটি উপায় রয়েছে:

  • সুদের উপর সুদ: Nexo-তে, ব্যবহারকারীরা তাদের সুদের উপরও সুদ দেয়। এই অর্থাৎ, আপনার ডিপোজিটের পরিমাণ এবং সময়ের উপর নির্ভর করে, আপনি আপনার ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা থেকে আরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
  • Nexo-এর ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে: Nexo একটি ক্রিপ্টো ক্রেডিট কার্ড অফার করে যা ব্যবহারকারীদের তাদের ডিপোজিটগুলি থেকে ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।

Nexo ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে, আপনি আপনার ক্রয়ের উপর 2% পর্যন্ত ক্রিপ্টো রিওয়ার্ড উপার্জন করতে পারেন।

Nexo-এর সুদের হারগুলি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা এবং ডিপোজিটের সময়কালের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। Nexo-এর ওয়েবসাইটে সুদের হারগুলির একটি তালিকা পাওয়া যায়।

Crypto

Crypto.com হল একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এবং ইকোসিস্টেম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা জমা করে প্রতি মাসে 4% পর্যন্ত সুদ দেয়।

Crypto.com-এ ডিপোজিট করে দুটি উপায়ে ইনকাম করা যায়:

  • সুদ প্রদান: Crypto.com ব্যবহারকারীদের তাদের ডিপোজিটগুলিতে সুদ প্রদান করে। সুদের হারগুলি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা এবং ফিয়ারসিয়াল সম্পদের ধরন অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
  • বোনাস: Crypto.com বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের বোনাস প্রদান করে। এই বোনাসগুলি ডিপোজিট, লেনদেন এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রদান করা যেতে পারে।

সুদ প্রদান

Crypto.com-এর সুদের হারগুলি স্থির, যার মানে হল যে তারা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় না। ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রাগুলির জন্য সুদের হারগুলি সাধারণত ফিয়ারসিয়াল সম্পদের তুলনায় বেশি।

বোনাস

Crypto.com বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের বোনাস প্রদান করে। এই বোনাসগুলি ডিপোজিট, লেনদেন এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রদান করে।

উদাহরণস্বরূপ, Crypto.com নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি স্বাগত বোনাস প্রদান করে। এই বোনাসটি $25 পর্যন্ত হতে পারে।

Youhodler

Youhodler হলো একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা লেনদেন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ডিপোজিটগুলিতে লাভ পাওয়ার সুযোগ ব্যবস্থা করে।

এটি একটি ক্রিপ্টো ঋণদান প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার এবং 12% পাওয়া যায়।

Youhodler-এ ডিপোজিট করে দুইভাবে ইনকাম করা যায়:

  • সুদের মাধ্যমে: Youhodler-এর ক্রিপ্টো ঋণদান প্ল্যাটফর্মে, ব্যবহারকারীরা তাদের ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা ডিপোজিট করে লাভ পাওয়া যায়।

সুদের হারগুলি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা এবং ডিপোজিটের মেয়াদের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, Youhodler-এর সুদের হারগুলি ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা বাজারের হারের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।

  • বন্ডের মাধ্যমে: Youhodler-এ, ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ক্রিপ্টোগ্রাফিক মুদ্রা বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। বন্ডগুলি হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সুদের হারের সাথে একটি ঋণ।

বন্ডগুলিতে বিনিয়োগ করে, ব্যবহারকারীরা সুদের মাধ্যমে এবং বন্ডের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারে।

ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা ডিপোজিট করা কি ঠিক হবে?

ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা ডিপোজিট করার আগে, অবশ্যই ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে যথেষ্ট গবেষণা করতে হবে।

ওয়েবসাইটের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট ইত্যাদিতে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেখতে হবে। ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি সম্পর্কেও জানতে হবে।

ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা ডিপোজিট করা ঠিক হবে কিনা তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ওয়েবসাইটের সুনাম: ওয়েবসাইটটি কি সুনাম অর্জন করেছে? অন্যান্য ব্যবহারকারীদের রিভিউ কেমন?
  • ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা: ওয়েবসাইটটি কি ব্যবহারকারীদের টাকা এবং তথ্য রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা।
  • ওয়েবসাইটের ঝুঁকি: ওয়েবসাইটটিতে বিনিয়োগের সাথে কী কী ঝুঁকি জড়িত এসব জানতে হবে।

সাধারণভাবে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা ডিপোজিট করা যায়:

  • ওয়েবসাইটটি কি একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান? ওয়েবসাইটটি কি একটি সরকারী সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
  • পেমেন্ট সিস্টেম কিভাবে কাজ করে? ওয়েবসাইটটি কি একটি নিরাপদ এবং সুবিধাজনক পেমেন্ট সিস্টেম প্রদান করে?

ওয়েবসাইটটি কি একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান?

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি। একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান মানে হল যে ওয়েবসাইটটি একটি সরকারী সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

এবং এটি ব্যবহারকারীদের টাকা এবং তথ্য রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা।

বাংলাদেশে, বাংলাদেশ ব্যাংক হল নিয়ন্ত্রক সংস্থা যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আপনি যদি বাংলাদেশে একটি ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটে ডিপোজিট করতে চান তবে জানার চেষ্টা করুন যে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

পেমেন্ট সিস্টেম কিভাবে কাজ করে?

পেমেন্ট সিস্টেম হল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বিনিয়োগের আগে ভাবা উচিত।

একটি নিরাপদ এবং সুবিধাজনক পেমেন্ট সিস্টেম থাকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে আপনার টাকা সহজে এবং নিরাপদে জমা এবং তুলা যায়।

 ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইটগুলি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ক্রেডিট কার্ড: ক্রেডিট কার্ড হল একটি জনপ্রিয় পেমেন্ট পদ্ধতি যা আপনাকে আপনার টাকা পরিশোধ করার সুযোগ দেয়।
  • ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড হল একটি আরও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি যা আপনার ব্যক্তিগত টাকা থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেয়।
  • ইলেকট্রনিক টাকা ট্রান্সফার: ইলেকট্রনিক টাকা ট্রান্সফার হল আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর একটি দ্রুত এবং সহজ উপায়।
  • পেপাল: পেপাল হল একটি অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম যা আপনাকে আপনার টাকা অন্যদের সাথে সহজে এবং নিরাপদে পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে দেয়।

ডিপোজিটের সাথে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি জড়িত থাকে। আপনার ডিপোজিটের মূল্য হ্রাস পেতে পারে, এবং আপনি আপনার বিনিয়োগের কিছু বা সব হারাতে পারেন।

ডিপোজিট করার পর টাকা নিয়ে ভেগে যাওয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে সতর্কতা

বাংলাদেশে ডিপোজিট করার পর টাকা নিয়ে ভেগে যাওয়া ওয়েবসাইটগুলোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত উচ্চ হারে লাভের প্রলোভন দিয়ে মানুষকে টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে।

কিন্তু একসময় তারা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় এবং বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে টাকা বিনিয়োগ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই ওয়েবসাইটগুলোর বেশিরভাগই জাল বা প্রতারণামূলক হয়।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তারা প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো থেকে সতর্ক থাকা উচিত।

বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই ওয়েবসাইটটির সম্পর্কে ভালো করে গবেষণা করে তার পর ডিপোজিট করা।

ডিপোজিট করে ইনকাম সাইট সম্পর্কে শেষ কথা

ডিপোজিট করে ইনকাম সাইটগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। এই ধরনের সাইটগুলোর বেশিরভাগই প্রতারণামূলক হয়।

তারা উচ্চ হারে প্রলোভন দিয়ে মানুষকে টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে। কিন্তু একসময় তারা হঠাৎ করে সাইট বন্ধ করে দেয়।

এবং বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই ধরনের প্রতারণামূলক সাইটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এই ধরনের সাইটগুলো থেকে সতর্ক থাকা উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top