কিভাবে ফটো এডিট করতে হয় | ছবি এডিট করার নিয়ম [বিস্তারিত]

ছবি তোলা অনেকের শখ। কিন্তু ছবি তোলার পাশাপাশি ছবি এডিট করাও অনেকের পছন্দের। ছবি এডিট করার মাধ্যমে ছবির দৃষ্টিনন্দনতা বাড়ানো যায়।

কিভাবে ফটো এডিট করতে হয় | ছবি এডিট করার নিয়ম
কিভাবে ফটো এডিট করতে হয়

ছবির রঙ, আলো, সাদা-কালো, ব্যাকগ্রাউন্ড, ইত্যাদি পরিবর্তন করে ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

ছবি এডিট করার জন্য অনেক সফটওয়্যার এবং অ্যাপস রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হল ফটোশপ। এছাড়াও, মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য অনেক ভালো অ্যাপস রয়েছে।

হ্যালো এডিটর! বাংলা আইটি ব্লগের ছবি এডিট করার নিয়ম ও কৌশল নিয়ে লেখা এই টপিকে আপনাকে স্বাগাতম।

এই আর্টিকেলে আমি পিসি এবং মোবাইলের ছবি এডিট করার বেসিক নিয়ম ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।

তার সাথে আপনি আরোও জানতে পারবেন, ফটো এডিটং করার সেরা এডিটর এপস, ফটো এডিটিং কিভাবে করা হয় এবং ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট নিয়েও বিস্তারিত।

ছবি এডিট মানে কি

ছবি এডিট হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ছবির রঙ, আলো, ফটোগ্রাফিক ইফেক্ট, বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করা হয়।

আপনি আরোও জানতে পারবেন…

ছবি এডিট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন Available রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরণের ছবিতে পরিবর্তন করতে দেয়।

ছবি এডিটর এর কাজ কি?

ছবি এডিটর হল একজন ব্যক্তি যিনি ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং শৈল্পিক করে তোলার জন্য ছবি এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে।

তারা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করতে পারে, যেমন রঙ এবং আলো ঠিক করা, ছবির সমস্যাগুলা দূর করা, বা নতুন ইফেক্ট যোগ করা।

ছবি এডিটরের কাজের মধ্যে ব্যবহার হয় বিভিন্ন ছবি এডিটিং সফ্টওয়্যার, যেমন Photoshop, Lightroom, এবং মোবাইলের জন্য PicsArt, Pixellap, Picsay pro ইত্যাদি।

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করা যায় কি?

ছবি তোলার জন্য মোবাইল ফোনগুলি আজকাল একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি আপনার ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং শৈল্পিক করে তুলতে পারেন?

হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করা যায়। বর্তমানে, অনেকগুলি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা আপনাকে আপনার মোবাইল ফোনে ছবি এডিট করতে সাহায্য করবে।

এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে, আপনি বিভিন্ন ধরনের ছবির এডিট করতে পারেন।

তাহলে এবার চলুন ছবি এডিট করার apps নাম গুলা কি কি? এবং কোথায় থেকে ডাউনলোড করবেন (Basic photo editing tips in Bengali) এসব নিয়ে জেনে নেয়।

মোবাইলে ছবি এডিট করার Apps

মোবাইলে ছবি এডিট করা এখন আরও সহজ এবং পপুলার হয়ে উঠেছে।

আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোনগুলিতে এখন বিভিন্ন ধরনের ছবি এডিটিং অ্যাপ রয়েছে যা আমাদের ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে।

আমি মোবাইলে ছবি এডিট করার কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করব। আমি প্রতিটি অ্যাপের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেব।

Adobe Lightroom

Adobe Lightroom হল একটি প্রফেশনাল মানের ছবি এডিটিং অ্যাপ যা বিভিন্ন ধরনের ছবি এডিটিং এর কাজে ব্যবহার করা যায়।

এটিতে Snapseed – এর মতো একই প্রাথমিক এডিটিং টুলস (equipment) রয়েছে, পাশাপাশি আরও জটিল এডিটিং Equipment যেমন রঙ প্রোফাইল, ক্লিপিং প্যাড, এবং প্রি-সেট এর কাজ করা যাবে।

Lightroom-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • এডিটিং টুলস: Lightroom-এ একটি বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য এবং Materials তালিকা রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলির রঙ, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন, এবং অন্যান্য দিকগুলিকে কাস্টমাইজ করতে দেয়।
  • প্রি-সেট এবং ফিল্টার: Lightroom-এ একটি বিস্তৃত প্রি-সেট এবং ফিল্টার লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে একটি নির্দিষ্ট লুক দিবে।
  • ক্লিপিং প্যাড: Lightroom-এর ক্লিপিং প্যাড আপনাকে আপনার ছবির নির্দিষ্ট অংশগুলিকে কাস্টমাইজ করতে দিবে।
  • কালার: Lightroom-এ একটি বিস্তৃত রঙ প্রোফাইল লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলির Color গুলিকে আরও সুন্দর করে দিবে।

লাইটরুম হল একটি মোবাইল ছবি এডিটিং অ্যাপ যা আপনার ছবিগুলিকে আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। এটি ব্যবহার করা সহজ, তাই আপনি একজন নতুন ব্যবহারকারী হলে কাজে লাগবে।

Adobe Snapseed

Adobe Snapseed হল একটি User-friendly ছবি এডিটিং অ্যাপ যা বিভিন্ন ধরনের ছবি এডিটিং এর কাজ করা যায়।

এটিতে ব্রাইটনেস, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন, এবং অন্যান্য প্রাথমিক এডিটিং টুলসের পাশাপাশি আরও এডিটিং টুলস যেমন ব্রাশ, লেয়ার, এবং টেক্সচার রয়েছে।

Adobe Snapseed হল মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য একটি Outstanding অ্যাপ। এটিতে একটি সহজ ব্যবহারকারী ইন্টারফেস রয়েছে যা নতুন ব্যবহারকারীও সহজেই ব্যবহার করতে পারে।

Snapseed-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • এডিটিং টুলস: Snapseed-এ একটি বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য এবং ফিচার তালিকা রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলির রঙ, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন, এবং অন্যান্য দিকগুলিকে কাস্টমাইজ করতে দেয়।
  • ব্রাশ এবং লেয়ার: Snapseed-এ ব্রাশ এবং লেয়ারের একটি অ্যাপ যা আপনার ছবিগুলিতে আরও সুন্দর পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
  • টেক্সচার: Snapseed-এ একটি বিস্তৃত টেক্সচার লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে অনেক কিছু যুক্ত করতে দেয়।

Snapseed হল একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ছবি এডিটিং অ্যাপ যা যেকোনো স্তরের ব্যবহারকারীদের জন্য উপযুক্ত।

PicsArt

PicsArt হল একটি জনপ্রিয় ছবি এডিটিং অ্যাপ যা বিভিন্ন ধরনের ছবি এডিটিং এর কাজ পরিচালনা করতে ব্যবহার করা হয়।

এটিতে Snapseed এবং Adobe Lightroom-এর মতো একই প্রাথমিক এডিটিং টুলস রয়েছে, পাশাপাশি আরও এডিটিং টুলস যেমন স্টিকার, ফ্রেম, এবং টেক্সট।

এটিতে একটি বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য এবং টুলস তালিকা রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং সৃজনশীল করে তুলতে দেয়।

PicsArt-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • এডিটিং টুলস: PicsArt-এ একটি বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য এবং সরঞ্জাম তালিকা রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলির রঙ, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন এর কাজ করতে দিবে।
  • স্টিকার, ফ্রেম, এবং টেক্সট: PicsArt-এ একটি বিস্তৃত স্টিকার, ফ্রেম, এবং টেক্সট লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে দারুন চেহেরা দিবে।
  • সৃজনশীল ফিল্টার : PicsArt-এ একটি বিস্তৃত সৃজনশীল ফিল্টার এবং দক্ষ লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে একটি অনন্য চেহারা যোগ করতে দিবে।

PicsArt হল এমন একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ যা আপনার ছবিগুলিকে একটি সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।

এটিতে প্রচুর প্রয়োজনীয় এবং অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে।

PixelLab

আপনি কি আপনার ছবিগুলিকে আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে চান? PixelLab দিয়ে, আপনি তা করতে পারেন।

PixelLab হল একটি নানান ফিচার যুক্ত ছবি এডিটিং অ্যাপ যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে বিভিন্ন ধরণের এডিট করতে দিবে।

আপনি আপনার ছবিগুলিতে যা খুশি তা করতে পারেন। আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারেন, টেক্সট যোগ করতে পারেন, এবং এমনকি আপনার ছবিগুলিকে সম্পূর্ণ নতুন জিনিসে রূপান্তর করতে পারবেন।

এতে প্রচুর বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে আপনার ক্রয়েটিভিটি প্রকাশ করতে সাহায্য করবে।

PixelLab-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • এডিটিং টুলস: PixelLab-এ ব্রাশ, লেয়ার, এবং টেক্সচারের মতো এডিটিং টুলস রয়েছে।
  • অন-ডিভাইস অ্যানিমেশন: PixelLab-এ অন-ডিভাইস অ্যানিমেশন তৈরির জন্য টুলস রয়েছে।
  • ফিল্টার: PixelLab-এ একটি বিস্তৃত সৃজনশীল ফিল্টার লাইব্রেরি রয়েছে।

PixelLab একটি সহজ-ব্যবহারযোগ্য অ্যাপ যা আপনার ছবিগুলিকে আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে।

আজই PixelLab ডাউনলোড করুন এবং আপনার সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করুন। আশা করি PixelLab-এর সাথে আপনার সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

Photo Lab

Photo Lab হলো একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন, যা ছবির Editing and Composition করার জন্যপ্রিয়।

এই অ্যাপটি বিশেষভাবে বানানো হয়েছে ছবির উপর আর্টিস্টিক এবং স্টাইলিশ ইফেক্ট সহ ছবিগুলিকে এমনভাবে এডিট এবং সংরক্ষণ করতে পারেন যা আপনার স্বপ্নের মতো।

Photo Lab হল একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে।

এই অ্যাপটি ব্যবহার করে, আপনি আপনার ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারেন, বিভিন্ন  সুন্দর আর্টিস্টিক ইফেক্ট যোগ করতে পারবেন।

এই অ্যাপ আপনার ছবিগুলিকে আরও ক্রিয়েটিভ করে তুলতে সাহায্য করবে।

আপনাকে বিভিন্ন ধরণের টেম্পলেট ব্যবহার করে ছবিগুলিকে নতুন এবং আকর্ষণীয় উপায়ে সাজানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

Photo Lab-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ফিল্টার এবং স্টিকার: Photo Lab-এ একটি বিস্তৃত ফিল্টার এবং স্টিকার লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনার ছবিগুলিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ফ্রেম এবং গ্রাফিক্স উপাদান: Photo Lab-এ একটি বিস্তৃত ফ্রেম এবং গ্রাফিক্স উপাদান লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করবে।
  • এডিটিং টুলস: Photo Lab-এ কিছু মৌলিক এডিটিং টুলস রয়েছে যা আপনাকে আপনার ছবিগুলির কালার, কন্ট্রাস্ট, এবং অন্যান্য দিকগুলিকে কাস্টমাইজ করতে দিবে।

Photo Lab ছবি এডিট অ্যাপ, আর্টিস্টিক ইফেক্ট, টেক্সট যোগ করা, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, সহজ ব্যবহার, এবং ক্রিয়েটিভ এডটরের টুলস প্রদান করে।

যা কিনা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে আপনার মন মতো করে তৈরি করতে সাহায্য করবে।

Adobe Photoshop Express

Adobe Photoshop Express হচ্ছে একটি ছবি এডিট অ্যাপ যা মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। এটি আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং সৃজনশীল করে তুলতে সাহায্য করবে।

এই অ্যাপটি আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন করতে, সেগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং সেগুলিকে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে সাহায্য করবে।

Adobe Photoshop Express-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • এডিটিং টুলস: Adobe Photoshop Express-এ আপনার ছবিগুলির রঙ, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন, এবং অন্যান্য দিকগুলির কাজ করতে পারবেন।
  • ব্রাশ এবং লেয়ার: Adobe Photoshop Express-এ ব্রাশ এবং লেয়ারের একটি অ্যাপ যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে আরও সাজাতে পারবেন।
  • টেক্সচার: Adobe Photoshop Express-এ টেক্সচার লাইব্রেরি রয়েছে।

Adobe Photoshop Express হল আপনার স্বপ্নগুলিকে বাস্তবতায় পরিণত করার একটি অ্যাপ।

যা আপনাকে আপনার ছবিগুলিকে আপনার মনের মতো করে তৈরি করতে এবং আপনার সৃজনশীলতার সীমানা ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করবে।

Canva App

Canva হল একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যাপ যা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়, যার মধ্যে রয়েছে ছবি, পোস্টার, ব্যানার, লোগো, এবং আরও অনেক কিছু।

Canva আপনাকে আপনার গ্রাফিক্সগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনাল মানের কাজ করতে সাহায্য করবে।

Canva-এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • টেমপ্লেট: Canva-তে একটি বিস্তৃত টেমপ্লেট এবং উপাদান লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার গ্রাফিক্সগুলিকে দ্রুত এবং সহজে তৈরি করতে দেয়।
  • এডিটিং টুলস: Canva-তে একটি বিশাল এডিটিং টুলস তালিকা রয়েছে যা আপনাকে আপনার গ্রাফিক্সগুলিকে কাস্টমাইজ করতে দিবে।
  • সহজ ইন্টারফেস: Canva-তে একটি সহজ ব্যবহারকারী ইন্টারফেস রয়েছে যা নতুন ব্যবহারকারীদেরও সহজেই ব্যবহার করতে পারে।

Canva হল এমন একটি অ্যাপ যা আপনাকে আপনার ডিজাইন আইডিয়া গুলিকে গ্রাফিক্সে রূপান্তর করতে সাহায্য করবে।

কারণ এখানে আপনি হাজার হাজার ডিজাইন পাবেন যা আপনার ইচ্ছামত এডিট করতে পারবেন।

VSCO

VSCO হল একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ যা ফিল্টার এবং প্রি-সেটের একটি বিস্তৃত লাইব্রেরি আছে ছবিতে ব্যবহার করার জন্য।

এটি ব্যবহারকারিদেরকে তাদের ছবিগুলির রঙ, কন্ট্রাস্ট, এবং অন্যান্য দিকগুলি মিল করতে দেয়।

VSCO অ্যাপের কিছু প্রধান ফিচার হল:

  • এডিটিং টুলস: VSCO-তে রয়েছে ইমেজ এডিটিং এমন টুলস যা আপনাকে আপনার ফটোগুলির কালার, আলো, কন্ট্রাস্ট, টেক্সচার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করে দিবে।
  • বিশাল ফিল্টার: VSCO-তে একটি বিশাল ফিল্টার লাইব্রেরি রয়েছে যা আপনাকে আপনার ফটোগুলিকে একটি অন্যরকম ছবি করে দিবে।
  • ভিডিও এডিট টুলস: VSCO-তে ভিডিও এডটের টুলস  রয়েছে যা আপনাকে আপনার ভিডিওগুলিকে কাট, এড এবং অন্যান্য উপায়ে এডিট করতে পারবেন।

VSCO একটি জনপ্রিয় অ্যাপ কারণ এটি ব্যবহারকারদেরকে তাদের ছবিগুলিকে নানা রকম এডিট এর কাজ করতে সাহায্য করে।

Afterlight

Afterlight হল একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ যা অতিরিক্ত ফিল্টার, টেক্সচার, এবং ফ্রেম অফার করে।

এটি ইউজারদেরকে তাদের ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে দেয়। Afterlight একটি জনপ্রিয় অ্যাপ কারণ এটি ছবিগুলিতে আরও সৃজনশীল ভাবে এডিট করে দেয়।

Prisma

Prisma হল একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ যা আপনার ছবিগুলিকে বিভিন্ন শিল্পকর্মে রূপান্তর করার  দেয়।

এটি বিভিন্ন শিল্পীদের শৈলী অনুসারে ফিল্টার ব্যবহার করতে দেয়, যেমন ভ্যান গগ এবং পিকাসো।

Prisma একটি জনপ্রিয় অ্যাপ কারণ এটি ব্যবহারকারিদেরকে তাদের ছবিগুলিকে অনন্য এবং আকর্ষণীয় করে দিতে।

Pixlr

এই অ্যাপ বিভিন্ন এডিটিং টুলস ব্যবহার করতে দেয়।

এই অ্যাপ ছবিগুলির রঙ, কন্ট্রাস্ট এর কাজ করতে দেয়। এটি ব্যবহারকারিদেরকে কাটতে, কপি এবং পেস্ট করতে, এবং তাদের ছবিগুলিতে টেক্সট যোগ করতে দেয়।

Adobe Spark Post

Adobe Spark Post হল একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স অ্যাপ যা ব্যবহারকারদেরকে পোস্টার, ব্লগ হেডার, এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স তৈরিতে ব্যবহার করে।

এটি ছবি, টেক্সট, এবং গ্রাফিক্স এর কাজ সহ অনেক কিছু করা যায়। Adobe Spark Post একটি জনপ্রিয় অ্যাপ কারণ এটি দ্রুত এবং সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স তৈরি করতে পারে।

কম্পিউটারে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

কম্পিউটারে ছবি এডিট করার জন্যে অনেকগুলি সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এই সফটওয়্যারগুলির মধ্যে কিছু বিনামূল্যে এবং ওপেন-সোর্স, অন্যগুলি সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক।

Photoshop

ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি সৃজনশীল কাজ। এই শিল্পে সফল হতে হলে আপনাকে আপনার কাজকে আরও আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে হবে।

আর এই কাজটি করার জন্য আপনাকে ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

Adobe Photoshop হল একটি জনপ্রিয় ফটো এডিটিং সফটওয়্যার যা আপনাকে আপনার ফটোগুলিকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন দিতে পারে।

এই সফটওয়্যারটিতে কালার, আলো, কন্ট্রাস্ট, শার্পনেস, এবং আরও অনেক কিছু পরিবর্তন করার জন্য নানান টুলস রয়েছে।

Adobe Illustrator

Adobe Illustrator হল একটি ভেক্টর-ভিত্তিক গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার যা Adobe Systems দ্বারা তৈরি এবং বাজারজাত করা হয়।

এটি লোগো, আইকন, পোস্টার, ব্যানার, ম্যাগাজিন কভার, বইয়ের ইলাস্ট্রেশন, এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স তৈরি করতে ব্যবহার হয়।

Lightroom

Lightroom হল একটি উন্নত ছবি এডিটিং সফটওয়্যার যা ফটোগ্রাফারদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

Lightroom- কালার, কন্ট্রাস্ট, এবং অন্যান্য দিকগুলির সাথে নানা টুলস আছে। এটি লেয়ারিং, মাস্কিং, এবং অন্যান্য নতুন এডিটিং টুলস প্রায় যুক্ত হতেই থাকে।

GIMP

GIMP হল একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ফটো এডিটিং সফটওয়্যার যা Adobe Photoshop-এর একটি জনপ্রিয় বিকল্প।

এটিতে অনেকগুলি টুলস রয়েছে যা আপনাকে আপনার ফটোগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নতুন করে দিতে পারবে।

GIMP-এর সাথে, আপনি আপনার ফটোগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে অনেকগুলি সৃজনশীল আইডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন।

PhotoScape

ফটোগ্রাফি একটি সৃজনশীল শখ বলা যায় আমরা সকলেই উপভোগ করি। আমরা আমাদের ক্যামেরা দিয়ে মুহূর্তগুলিকে ধরে রাখি এবং শেয়ার করি।

কিন্তু কখনও কখনও, একটি ফটোকে আরও আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে কিছুটা পরিবর্তন প্রয়োজন। এটিই জন্য ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর নাম আসে।

PhotoScape হল একটি ফ্রি এবং সহজ ফটো এডিটিং সফটওয়্যার যা আপনাকে আপনার ফটোগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে সাহায্য করবে।

এটিতে বিভিন্ন ধরণের টুলস এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে আপনার ফটোগুলিকে এডিট করে চমৎকার করে দিবে

এছাড়াও পিসিতে ছবি এডিট করার করার জন্য নিচের এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন।

  • PixTeller
  • Canva
  • Darktable
  • Fotor
  • Inpixio
  • BeFunky

আপনার প্রয়োজনীয় ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে চাইলে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আশা করি আপনার দরকার অনুযায়ি সফটওয়ার ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রফেশনাল ভাবে ছবি এডিট করার নিয়ম ও কৌশল

ছবি এডিটিং হল একটি শিল্প। এটি একটি ছবির রঙ, কন্ট্রাস্ট, এবং অন্যান্য দিকগুলি পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া।

প্রফেশনাল ভাবে ছবি এডিট করার জন্য কিছু নিয়ম এবং কৌশল রয়েছে।

এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার ছবিগুলিকে আরও প্রফেশনাল এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

১. Color Correction

ছবি এডিটিং শুরু করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এডজাস্টমেন্ট করতে হয়। এর মধ্যে Color correction একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

প্রায় সব ফটো এডিটিং টুলেই এই ফিচারটি থাকে। এর মাধ্যমে ছবির রঙগুলিকে আরও উজ্জ্বল ও পরিষ্কার করা যায়।

ছবি তোলার সময় বিভিন্ন কারণে ছবির কালারগুলি নষ্ট হতে পারে।

আলোর সমস্যা, ফোকাস সমস্যা, বা ক্যামেরা সেটিংসের সমস্যার কারণে ছবির কালারগুলি অন্ধকার, ফ্যাকাশে, বা অস্বাভাবিক হতে পারে।

Color Correction মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি সমাধান করা যায়। Color Correction এর জন্য বিভিন্ন টুলস এবং কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে:

  • ব্রাইটনেস এবং কন্ট্রাস্ট: এই টুলসগুলি ব্যবহার করে ছবির সামগ্রিক উজ্জ্বলতা এবং বৈপরীত্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • সাটিন: এই টুলসটি ব্যবহার করে ছবির রঙগুলিকে আরও মসৃণ এবং প্রাকৃতিক দেখানো যেতে পারে।
  • টিন্ট: এই টুলসটি ব্যবহার করে ছবির রঙগুলিকে আরও উজ্জ্বল বা গাঢ় করা যেতে পারে।
  • হিউ: এই টুলসটি ব্যবহার করে ছবির রঙগুলিকে আরও উষ্ণ বা শীতল করা যেতে পারে।

কালার সংশোধন একটি কঠিন প্রক্রিয়া হতে পারে। তবে, কিছু মৌলিক নিয়ম অনুসরণ করে আপনি আপনার ছবির কালারগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং সৃজনশীল করে তুলতে পারেন।

২. Creating An HDR Image

HDR হলো “high dynamic range”-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি একটি ফটোগ্রাফি কৌশল যা একটি ছবির হালকা এবং গাঢ় শেডগুলিকে আরও বিস্তৃতভাবে ক্যাপচার করতে ব্যবহার হয়।

HDR এর মাধ্যমে, আপনি একটি ছবির উজ্জ্বল এবং গাঢ় অংশগুলিকে একই সময়ে আরও ভালভাবে দেখাতে পারেন।

এটি একটি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বা একটি শহরের দৃশ্যের মতো দৃশ্যগুলিকে আরও বাস্তববাদী এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।

এর জন্য, আপনাকে আপনার ক্যামেরার HDR মোড ব্যবহার করতে হবে।

এই মোডটি আপনাকে একই দৃশ্যের একাধিক ফটো তোলার Permission দেয়, প্রতিটি ফটোতে বিভিন্ন এক্সপোজার সেটিংস সহ।

তারপরে, আপনার ক্যামেরা বা একটি ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার এই ফটোগুলিকে একত্রিত করে একটি HDR চিত্র তৈরি করে।

৩. Cleaning Up Backgrounds

ছবি তোলার সময় আমরা এমন দৃশ্যের সামনে পড়ি যা আমাদের পছন্দের, কিন্তু সেই দৃশ্যের ব্যাকগ্রাউন্ডটি আমাদের পছন্দ নাও হতে পারে।

এই ক্ষেত্রে, আমরা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে আমাদের ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি।

ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। একটি উপায় হল বিভিন্ন এডিটিং টুল এবং ইফেক্ট ব্যবহার করে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের কালার এবং টেক্সচার মিলিয়ে নেওয়া।

আরেকটি উপায় হল এডিটিং টুলের ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভাল ফিচার ব্যবহার করে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দিয়ে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা।

৪. Haze Effect

প্রায় সব ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যারে Haze effect থাকে। এই ইফেক্টটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ছবিতে একটি স্বপ্নের মতো দৃশ্য তৈরি করতে পারবেন।

হ্যাজ ইফেক্টটি ছবির চারপাশে একটি সাদা বা ধূসর আবরণ তৈরি করে। এটি ছবির বিষয়বস্তুকে আরও দূরে এবং অস্পষ্ট করে তোলে, যা একটি স্বপ্নিক এর মত তৈরি করে।

Haze effect টি ব্যবহার করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার যেতে হবে।

তারপরে, আপনি ছবির উপর হ্যাজ ইফেক্টটি প্রয়োগ করতে পারবেন।

৫. White Balance

যেকোনো ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যারে হোয়াইট ব্যালেন্স ফিচার থাকে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ছবির কালারকে বাস্তব করে তুলতে পারবেন।

ছবি তোলার সময়, ক্যামেরা একটি নির্দিষ্ট হোয়াইট ব্যালেন্স সেট করা থাকে। তবে, আলোর অবস্থার কারণে, ক্যামেরা সবসময় সঠিক হোয়াইট ব্যালেন্স সেট করতে পারে না।

ফলে, ছবির কালার বাস্তব থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে। White balance এডিটিং করে আপনি এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারবেন।

হোয়াইট ব্যালেন্স এডিটিং করার মাধ্যমে আপনি ছবির কালারকে এমনভাবে সাজাতে পারবেন যা বাস্তব মতোই দেখাবে।

৬. Boost The Contrast

কোনো ছবিতে থাকা অন্ধকার এবং আলোর মধ্যে পার্থক্যকে Contrast বলা হয়। Contrast বাড়ানোর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবিকে আরও প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

ছবি তোলার সময়, আলোর অবস্থার কারণে, ছবির কন্ট্রাস্ট কমে যেতে পারে। ফলে, ছবিটি অন্ধকার বা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে।

Contrast এডিট করে আপনি এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন। কন্ট্রাস্ট এডিটিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার ছবির কন্ট্রাস্ট বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

এটি আপনার ছবিকে আরও ঝকঝকে এবং উজ্জ্বল করে তুলতে পারবেন।

৭. Reduce Noise

Professional photo editing – এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল নয়েস দূর করা। Noise হল ছবির একটি দৃশ্যমান বিকৃতি যা ছবির কিছু কিছু বিবরণকে ঝাপসা করে দেয়।

এটি ছবিটিকে খারাপ দেখায়। ছবি তোলার সময়, আলোর অবস্থার কারণে, ছবিতে নয়েস হতে পারে।

এছাড়াও, ক্যামেরার সেন্সর এবং মেমরি কার্ডের কারণেও ছবিতে নয়েস হতে পারে।

Noise দূর করার জন্য, আপনি ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। বেশিরভাগ ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যারেই নয়েস দূর করার জন্য একটি ফিচার থাকে।

৮. Increase Sharpening

একটি ছবিকে আরও স্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত দেখানোর জন্য, Sharpening একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

Sharpening ছবির পিক্সেলের মধ্যে থাকা কন্ট্রাস্টকে বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ছবিটিতে আরও বেশি বিবরণ দৃশ্যমান হয়।

Sharpening করার জন্য, আপনি একটি ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। বেশিরভাগ ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যারেই Sharpening করার জন্য একটি ফিচার থাকে।

এই কৌশলগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার ছবিগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং পেশাদার করে তুলতে পারেন।

ইমেজ এডিটিং ও ইমেজ ম্যানিপুলেশন এর মধ্যে পার্থক্য কি

ছবিকে পরিবর্তন করার দুটি উপায় হল ইমেজ এডিটিং এবং ইমেজ ম্যানিপুলেশন। কিন্তু এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

ইমেজ এডিটিং হল ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া। এটি ছবির কালার, আলো, কন্ট্রাস্ট ইত্যাদি পরিবর্তন করে করা হয়। ইমেজ এডিটিং সাধারণত ছবির আসল দৃশ্যকে ঠিক রাখে।

ইমেজ ম্যানিপুলেশন হল ছবির ওরিজিনাল ছবির সব কিছু পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া। এটি ছবিতে নতুন অনেক কিছু যুক্ত করে বা ছবির আসল ভিউকে পরিবর্তন করে করা হয়।

এমনিকি মাঝে মাঝে ইমেজ ম্যানিপুলেশন ছবির আসল সুন্দরকে বিকৃত করতে পারে।

সহজ ভাষায়,

ইমেজ এডিটিং হল ছবিকে সাজানো, যখন ইমেজ ম্যানিপুলেশন হল ছবিকে বদলে দেওয়া।

উদাহরণস্বরূপ,

  • একটি ছবির রঙ পরিবর্তন করা হল ইমেজ এডিটিং।
  • একটি ছবিতে একটি নতুন ব্যক্তি বা বস্তু যোগ করা হল ইমেজ ম্যানিপুলেশন।

একটি ছবিকে আরও আকর্ষণীয় বা ব্যবহারিক করে তোলার জন্য ইমেজ এডিটিং করা হয়, যখন ছবির অর্থ বা উদ্দেশ্যকে পরিবর্তন করার জন্য ইমেজ ম্যানিপুলেশন করা হয়।

কোথায় থেকে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করব?

ছবি এডিট করার মোবাইল অ্যা[প এবং সফটওয়্যার আপনাকে আপনার ছবিগুলির কালার, আলো, কন্ট্রাস্ট এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।

এটি আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে নতুন ফিল্টার, টেক্সট এবং অন্যান্য ফিচার যুক্ত করতে দেয়।

কিন্তু ছবি এডিট করার সফটওয়্যার কোথায় থেকে ডাউনলোড করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরটি নির্ভর করে আপনার ডিভাইস এবং আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলির উপর।

চলুন জেনে নেয় মোবাইল এবং কম্পিউটারের জন্য কোথায় থেকে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করবে।

অ্যান্ড্রয়েডের জন্য

অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ছবি এডিট করার অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য, গুগল প্লে স্টোরে যান এবং “ছবি এডিটর” বা “ফটো এডিটর” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

এলহানে আপনি বিভিন্ন ধরণের মোবাইল অ্যাপ খুঁজে পাবেন, তাই আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলির জন্য সঠিক একটি খুঁজে পেতে সময় নিন।

আপনি যদি অন্য মোবাইল অপারেটিং এর মোবাইল ব্যবহার করেন যেমন আইফোন তাহলে তাদের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

পিসির জন্য

পিসির জন্য ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য, সফটওয়্যারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গুগলে সার্চ করলেই পাবেন।

বেশিরভাগ সফটওয়্যারের জন্য একটি বিনামূল্যের ট্রায়াল বা ডেমো ভার্সন থাকে যা আপনি কিনার আগে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড সাইট থেকে

আপনি যদি বিনামূল্যে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার খুঁজে থাকেন, তাহলে আপনি একটি ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

তবে, এই সফটওয়্যারগুলির ব্যবহারে সতর্ক থাকুন কারণ এগুলিতে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস থাকতে পারে।

ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট এর নাম

ছবি এডিট করার ওয়েবসাইটগুলি থেকে আপনার ছবিগুলির কালার, আলো, কন্ট্রাস্ট এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করতে পারবেন।

এটি আপনাকে আপনার ছবিগুলিতে নতুন ফিল্টার, টেক্সট সহ অনেক কিছু যুক্ত করতে পারবেন।

ছবি এডিট করার জন্য অনেকগুলি ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলির জন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে কাজ করে নিতে পারেন।

কিছু জনপ্রিয় ছবি এডিট করার ওয়েবসাইট;

  • Canva: Canva একটি যা আপনি আপনার ছবিগুলিকে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এবং নানা রকম গ্রাফিক এর কাজ করতে পারবেন।
    Pixlr: এখান থেকে আপনার ছবিগুলিকে এডিট করতে পারবেন। এটিতে একটি সহজ ইন্টারফেস রয়েছে যা ব্যবহার করা সহজ।
  • PicMonkey: এখানে বিশাল টুলস সেট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফিল্টার, কালার, এবং টেক্সট এড করার মত অনেক কিছু।
  • Fotor: এখানে একটি সহজ ইন্টারফেস রয়েছে যা ব্যবহার করা সহজ।
  • Photopea: এটি Adobe Photoshop এর মতো একটি ইন্টারফেস রয়েছে এবং Photoshop এর মত কাজ করতে পারবেন।

এখানে আপনাকে কিছু জনপ্রিয় ছবি এডিট করার ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে বলেছি যাতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়েবসাইট বেচে নিতে পারেন।

ফটো এডিটিং কিভাবে করা হয়

সহজে ছবি এডিটিং করা যায় কিভাবে ? ফটো এডিটিং করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। যেমন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ছবি এডিট, কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং ওয়েবসাইট থেকেও ছবি এডিট করা যায়।

মোবাইলে ফটো এডিটিং

মোবাইলে ফটো এডিটিং করার জন্য, আপনি একটি ছবি এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় ছবি এডিটিং অ্যাপ হল:

  • Snapseed
  • VSCO:
  • Adobe Lightroom
  • PicsArt
  • Canva

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জন্য যে কোন একটি অ্যাপ ওপেন করে আপনার ছবি ইনপুট করুন এবং আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী টুলস ব্যবহার করে সংরক্ষণ করে নিন।

কম্পিউটারে ফটো এডিটিং

কম্পিউটারে ফটো এডিটিং করার জন্য, মোবাইলের মত অনেক সফটওয়্যার আছে। আপনি যেকোন একটি ছবি এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

কিছু জনপ্রিয় ছবি এডিটিং সফটওয়্যার হল:

  • Adobe Photoshop
  • GIMP
  • Affinity
  • Photo Corel
  • PaintShop Pro
  • Lightroom

Photo Editing software আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করুন। তার পর আপনি যে ছবি এডিট করতে চান তা সিলেক্ট করে ইনপুট করে দিন।

আপনি আরোও দেখে নিন…

এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি টুলস ব্যবহার করে কাজ করুন। তবে তার আগে ছবি এডিট করার বেসিক টুলস নিয়ে জানতে ইউটিউব থেকে টিউটোরিয়াল  দেখলে আপনার পক্ষে ভাল হবে।

Faqs

ফটো এডিটিং শিখতে কত দিন লাগবে?

ফটো এডিটিং শিখতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনার কতটা সময় এবং প্রচেষ্টা দিচ্ছেন তার উপর।

যদি আপনি শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরের ফটো এডিটিং শিখতে চান, তাহলে আপনি কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই এটি শিখতে পারেন।

তবে, যদি আপনি প্রফেশনাল ফটো এডিটিং কৌশল শিখতে চান, তাহলে আপনাকে আরও বেশি সময় এবং প্রচেষ্টা দিতে হবে।

সেরা অনলাইন ফটো এডিটিং টুল কোনটি?

সেরা অনলাইন ফটো এডিটিং টুলটি আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যদি আপনি একটি সহজ এবং ইউজার ফ্রেইন্ডি টুল খুজেন, তাহলে আপনি Canva বা Pixlr ব্যবহার করতে পারেন।

তবে তাহলে আপনি প্রফেশনাল কাজ করতে চান তাহলে Adobe Photoshop বা GIMP ব্যবহার করতে পারেন।

ফ্রি ফটো এডিটিং কোর্স কিভাবে করবেন?

অনলাইনে এবং অফলাইনে অনেক ফ্রি ফটো এডিটিং কোর্স পাওয়া যায়। আপনি YouTube, Udemy, Coursera এবং EdX-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলিতে ফ্রি ফটো এডিটিং কোর্স খুঁজে নিতে পারেন।

কিভাবে ফটোশপে রুলার গাইড যোগ করব?

View মেনু থেকে Rulers নির্বাচন করুন। View মেনু থেকে New Guide নির্বাচন করুন। New Guide ডায়ালগ বক্সে, Orientation নির্বাচন করুন। Position নির্বাচন করুন। Offset নির্বাচন করুন। Apply বোতাম ক্লিক করুন।

ফটো এডিট করার ভালো এপ্স কোনটি?

ফটো এডিট করার জন্য অনেক ভালো অ্যাপ রয়েছে। আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনি একটি অ্যাপ সিলেক্ট করে নিতে পারেন।

ফটোশপে প্রোটেক্টর কিভাবে ব্যবহার করা হয়?

Image মেনু থেকে Image Size নির্বাচন করুন। Image Size ডায়ালগ বক্সে, Crop ট্যাব নির্বাচন করুন। Crop to Protect নির্বাচন করুন। Crop বোতাম ক্লিক করুন।

ফটো এডিটিং কিভাবে শুরু করব?

ফটো এডিটিং শুরু করার জন্য, প্রথমে আপনাকে একটি ফটো এডিটিং সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর, আপনি কিছু প্রাথমিক ফটো এডিটিং টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।

ফটো এডিটিং শেখার সেরা উপায় কি?

ফটো এডিটিং শেখার সেরা উপায় হল অনুশীলন করা। আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন, ততই আপনি ভালো হবেন।

ফটো এডিটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ফটো এডিটিং আপনার ফটোগুলিকে আরও আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে পারে। এটি আপনাকে আপনার ফটোগুলিতে আরও সৃজনশীল হতে সাহায্য করবে।

ছবি এডিট করার নিয়ম নিয়ে আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে, আমি বেসিক ফটো এডিটিংয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছি। এই বিষয়গুলি হল শুধুমাত্র বেসিক।

আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন, ততই ভালো হবে। ছবি এডিট করার নিয়ম শিখতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে ফটো এডিটিং অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে।

বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ফটো এডিটিং অ্যাপ এবং সফটওয়্যার রয়েছে যা উপরে আলোচনা করেছি।

ফটো এডিটিং অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার পর, আপনাকে কিছু প্রাথমিক ফটো এডিটিং টিউটোরিয়াল দেখতে হবে।

এই টিউটোরিয়ালগুলি আপনাকে ফটো এডিটিংয়ের মূল বিষয়গুলি শিখতে সাহায্য করবে।

কিছু প্রাথমিক ফটো এডিটিং টিউটোরিয়াল দেখে নেওয়ার পর, আপনি আপনার নিজের ছবিগুলি এডিট করার চেষ্টা করতে পারেন।

অনুশীলনই হল ফটো এডিটিংয়ের সেরা শিক্ষক। যত বেশি আপনি অনুশীলন করবেন, ততই আপনি ভালো হবেন। আমার  আজকের আর্টিকেলটি আপনার কিরকম লাগলো?

নিচে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top