মাইক্রোসফট অফিস কি | Microsoft office এর কাজ কি

Microsoft Office কি : What Is Microsoft Office in Bengali: মাইক্রোসফট অফিসের সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল, ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে।

মাইক্রোসফট অফিস কি | Microsoft office এর কাজ কি
মাইক্রোসফট অফিস কি

এবং সেই সময় বিল গেটস এই অফিসিয়াল সুট এর ঘোষণা দেন। আর যখন মাইক্রোসফট অফিসের প্রথম ঘোষণা এসেছিল।

তখন এর মধ্যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এবং মাইক্রোসফট এক্সেল সম্মিলিত ভাবে যুক্ত ছিল।

তো আজকের আলোচনায় আমরা জানতে পারবো, Microsoft Office কি এবং Microsoft office এর কাজ কি।

আর আপনি যদি মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। তাহলে আজকের এই লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

MS Office কি ( মাইক্রোসফট অফিস কি ) , Microsoft এর কাজ কি? চলুন এবার মাইক্রোসফট অফিস এর আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

Microsoft office কি?

সবার শুরুতেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে Microsoft Office কি? আর মাইক্রোসফট অফিস হল কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের জন্য বিশেষ এক ধরনের প্রোগ্রামিং অ্যাপ্লিকেশন।

আর এটি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এবং এটির ব্যবহার বর্তমান সময়ের অবধি হয়ে আসছে।

এছাড়াও আপনি microsoft এর যে সকল প্রোডাক্ট দেখতে পারবেন। তার প্রত্যেক টি প্রোডাক্ট এর মধ্যে নিজস্ব ডিজাইন রয়েছে।

ছাড়াও ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটা ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রেও মাইক্রোসফট অফিসের যথেষ্ট উন্নতি রয়েছে।

আর এই মাইক্রোসফট অফিস হল এমন এক ধরনের সংস্করণ। যা মূলত আপনি বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম কে সমর্থন করে থাকে। যেমন, উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স ইত্যাদি।

Microsoft office এর কাজ কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, Microsoft office কি। তো এই বিষয় টি জানার পাশাপাশি, এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিব। 

এই Microsoft office এর কাজ কি। তো চলুন এবার তাহলে মাইক্রোসফট অফিসের কাজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন, মাইক্রোসফট অফিসের বিভিন্ন প্রকারের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এবং এই মাইক্রোসফট অফিস প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে। তাদের এই অ্যাপ্লিকেশন গুলো কে উন্নত করার জন্য।

এবং আপনি মাইক্রোসফট অফিসের মোট যত গুলো এপ্লিকেশন দেখতে পারবেন।

সেই অ্যাপ্লিকেশন গুলো প্রত্যেক টি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এর ব্যবহার গোটা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত রয়েছে।।

যেমন ধরুন, আপনি যদি ms word ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি সেই অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের টেক্সট নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি কোন ধরনের প্রজেক্ট তৈরি করতে চান। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এই কাজটি কে অনেক সহজ করে দিবে।

কারণ পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রফেশনাল মানের প্রজেক্ট তৈরি করা যায়।

আবার আপনি যদি ডাটা নিয়ে কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করতে হবে।

তো Microsoft office এর এই ধরনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এবং এই ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন গুলো ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তো এবার আমি আপনাকে সেই অ্যাপ্লিকেশন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিব। এবং যখন আপনি এই বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পারবেন।

তখন আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে। মাইক্রোসফট অফিসের কি কি কাজ রয়েছে। চলুন এবার তাহলে সেই কাজ গুলো সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেওয়া যাক।

MS Word 

মাইক্রোসফট অফিস 1983 সালে সর্বপ্রথম এর সূচনা করেছিলেন। যখন আপনি আপনার কম্পিউটারের মধ্যে microsoft office install করবেন।

তখন আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমনঃ

  1. এই অ্যাপ্লিকেশন এর এক্সটেনশন হলো, (.doc).
  2. এই এপ্লিকেশন টি অধিকাংশ সময় টেক্সট ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  3. আপনি চাইলে microsoft office এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন। এবং সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
  4. এর মাধ্যমে আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের আর্টওয়ার্ক, অ্যানিমেশন ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন।
  5. বিভিন্ন ধরনের লেখা সম্পাদনা করার জন্য এই অ্যাপ্লিকেশন কে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  6. আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বই লিখতে পারবেন।
  7. এর ফাইল এক্সটেনশন (.doc) হলেও। এর মাধ্যমে আরো বিভিন্ন এক্সটেনশন এর ফাইল তৈরি করা সম্ভব যেমন, (.pdf).

তো মাইক্রোসফট অফিস এর কি কাজ এবং এর ভেতরে কি কি রয়েছে। সেই তথ্য গুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি।

আর আপনি যখন মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করবেন। তখন এই বিষয় গুলো বেশ ভালো ভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন।

MS Excel

Microsoft office এর মধ্যে থাকা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন গুলোর মত। মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কেননা এই অ্যাপ্লিকেশন টি বিশেষ কিছু কাজের জন্য খুবই উপকারী। চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

  1. প্রথমত আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডাটাবেজ তৈরি করতে পারবেন।
  2. আর আপনি যদি ডাটা প্রসেসিং এর কাজ করতে চান। তাহলে এই microsoft excel আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
  3. এ ছাড়াও মাইক্রোসফট এক্সেল এর মধ্যে আপনি খুব সহজেই যে কোনো ধরনের ডেটা কে পরিচালনা করতে পারবেন। 
  4. এবং সেই ডেটা গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
  5. অতিরিক্ত পরিমাণ ডাটা থাকার পরেও। আপনি যে কোনো ধরনের ডেটাকে খুব সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন। 
  6. এবং প্রচুর পরিমাণ ডাটা থাকার পরেও। আপনি খুব সহজেই সমস্ত ডেটা গণনা করতে পারবেন।
  7. যখন আপনি মাইক্রোসফট এক্সেল দিয়ে কাজ করবেন। তখন এই অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে বিশেষ একটি ফাইল এক্সটেনশন তৈরি হয়। যেটি (.xls) এক্সটেনশন এর হয়ে থাকে।

তো আপনারা যারা মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করবেন। তারা আসলে এই অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে কি কি পাবেন।

এবং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করতে পারবেন। সে গুলো উপরে উল্লেখ করা হলো।

MS powerpoint

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট যারা মূলত বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে। তারা মাইক্রোসফট অফিসের এই অ্যাপ্লিকেশন টি ব্যবহার করে থাকে।

আর মাইক্রোসফট অফিস থেকে এই অ্যাপ্লিকেশন টি ১৯৮৭ সালে রিলিজ করা হয়েছিল।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই অ্যাপ্লিকেশনের কাজ কি এবং এর মধ্যে কি কি রয়েছে।

  1. আপনি যদি অডিও ভিসুয়াল প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন টি ব্যবহার করতে পারবেন।
  2. এছাড়াও এর মাধ্যমে অনেক আকর্ষণীয় স্লাইড প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যায়। যে গুলো তে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো ইনপুট করে রেখে দিতে পারবেন।
  3. এ গুলোর পাশাপাশি আপনি আপনার ডেটার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাইল। যেমন, অডিও ফাইল, ভিডিও ফাইল, বুলেট নাম্বারিং, টেবিল ইত্যাদি যুক্ত করতে পারবেন।
  4. আর যখন আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে কোন ফাইল তৈরি করবেন। তখন সেই ফাইলের এক্সটেনশন হবে, (.ppt).
  5. অধিকাংশ সময় প্রফেশনাল কাজের জন্য এই ধরনের মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  6. যদি আপনি এর মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন। তাহলে আপনার প্রেজেন্টেশন টি অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে।

তো মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে আমরা আসলে কি কি কাজ করতে পারব।

এবং এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে কাজ করলে সেই ফাইল গুলো কোন এক্সটেনশন এ তৈরি হবে। সে নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

MS Access

মাইক্রোসফট অফিসের অন্যান্য এপ্লিকেশন এর পাশাপাশি আপনি বিশেষ একটি অ্যাপ্লিকেশন দেখতে পারবেন।

যাকে বলা হয়ে থাকে, মাইক্রোসফট এক্সেস। যার সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখে।

এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাপক পরিমাণে মাইক্রোসফট এক্সেস নামক এই বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন টি ব্যবহার করা হচ্ছে।

  1. মাইক্রোসফট এক্সেস এর মধ্যে যখন আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন। তখন সেই কাজ গুলো (.accdb) এক্সটেনশন এর মাধ্যমে তৈরি হবে।
  2. যদি আপনি বিভিন্ন ডেটার ফরমেট এক্সপোর্ট করতে চান। কিংবা বিভিন্ন ডেটার ফরমেট ইমপোর্ট করতে চান। তাহলে আপনি microsoft access এর মাধ্যমে এই কাজ টি করতে পারবেন।
  3. মূলত এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডাটা নিয়ে কাজ করা যায়।
  4. আর সে কারণে এই অ্যাপ্লিকেশন কে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বলা হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের মধ্যে মাইক্রোসফট এক্সেস নামক এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করেন।

তাহলে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন এবং এর মধ্যে কি কি রয়েছে। সে গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো।

MS Onenote

Microsoft অফিস থেকে microsoft word release করার পরে পুনরায় আরেক টি এপ্লিকেশন রিলিজ করে।

যার নাম হল microsoft onenote. মূলত এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ডকুমেন্টস নোট করে রাখতে পারবেন।

এর পাশাপাশি সেই নোট গুলোর মধ্যে আপনি বিভিন্ন ধরনের টুলস এর সাহায্য কাজ করতে পারবেন।

  1. এই বিশেষ ধরনের নোট করার অ্যাপ্লিকেশন টি তৈরি করা হয়েছিল, ২৩ সালের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে।
  2. আর কাজের সাথে মিল রেখেই এই অ্যাপ্লিকেশন এর নাম মাইক্রোসফট ওয়ান নোট রাখা হয়েছিল।
  3. কারণ এর মাধ্যমে শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ডাটা গুলো নোট করে রাখার সুবিধা রয়েছে।
  4. তবে আপনি যখন এর মাধ্যমে কোন কিছু নোট করে রাখবেন। তখন আপনি সেই নোট এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টেবিল সহ টেক্সট, ইমেজ ইত্যাদি যুক্ত করতে পারবেন।
  5. আর আপনি চাইলে এই বিশেষ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন টি অনলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে অফলাইন এর মধ্যেও ব্যবহার করতে পারবেন।
  6. আর যখন আপনি মাইক্রোসফট ওয়ান নোট এর মাধ্যমে কোন ফাইল তৈরি করবেন। তখন সেই ফাইলের এক্সটেনশন হবে, (.one).

আপনি যদি মাইক্রোসফট অফিসের অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো নোট করে রাখতে চান।

তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার হবে, microsoft onenote. যার মাধ্যমে এই কাজ টি খুব সহজেই করা সম্ভব হবে।

আপনি আরোও পড়ুন…

MS Outlook

মাইক্রোসফট অফিস থেকে যে অ্যাপ্লিকেশন টি রিলিজ করা হয়েছে, তার নাম হলো মাইক্রোসফট আউটলুক।

এবং ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে এই অ্যাপ্লিকেশন টি গোটা বিশ্বব্যাপী রিলিজ করা হয়েছিল। এবং তারপর থেকে মানুষ এই অ্যাপ্লিকেশন এর সুবিধা গুলো নিতে পারছে।

  1. আপনি যদি আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলো কোথাও সংরক্ষণ করতে চান। তাহলে মাইক্রোসফট আউটলুক এই কাজে অনেক সহায়তা করবে।
  2. কারণ মাইক্রোসফট আউটলুক এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করা যায়।
  3. এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট আউটলুক এর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনেক উন্নত।
  4. আপনি চাইলে একজন সিঙ্গেল ব্যক্তি হয়েও এই অ্যাপ্লিকেশন টি ব্যবহার করতে পারবেন। 
  5. আবার আপনি চাইলে দলগত ভাবে এই অ্যাপ্লিকেশন টি ব্যবহার করতে পারবেন।
  6. এবং এর মাধ্যমে যখন আপনি কোন ফাইল তৈরি করবেন। তখন সেই ফাইলের এক্সটেনশন হবে (.accdb).

যদিও বা বর্তমান সময়ে মানুষ খুব কম পরিমাণে মাইক্রোসফট আউটলুক ব্যবহার করে। তবে এর মধ্যে কি কি রয়েছে এবং এটি আপনার কম্পিউটারের মধ্যে ইনস্টল থাকলে।

আপনি কোন কাজ গুলো করতে পারবেন। সে গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে কি কি থাকে?

আলোচনার শুরুতেই আপনি জানতে পেরেছেন, Microsoft office কি।

এবং তারপরে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি, Microsoft office এর কাজ কি। তো এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার পাশাপাশি।

এবার আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হল, মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে কি কি থাকে। চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • Microsoft Access: মাইক্রোসফট অফিস এর মধ্যে বিশেষ একটি গুণ রয়েছে। আর সেটি হল, তাদের নিজস্ব ফরমেটে ডাটা সঞ্চয় করে রাখার মত পদ্ধতি রয়েছে।
  • কারন আপনি মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে দেখতে পারবেন। তাদের ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। যা মূলত জেড ডাটাবেজ ইঞ্জিন এর উপর ভিত্তি করেই কাজ করে থাকে।
  • Microsoft Excel: microsoft office এর মধ্যে আরও একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। সেটি হল, microsoft excel.
  • মূলত আপনি যদি স্প্রেডশীড নিয়ে কাজ করে থাকেন। তাহলে এই অ্যাপ্লিকেশন টি আপনার অনেক কাজে লাগবে। কেননা এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করা যায়। 
  • Microsoft Outlook: microsoft অফিসের মধ্যে যত গুলো অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। তার মধ্যে স্বতন্ত্র একটি অ্যাপ্লিকেশন হল microsoft outlook.
  • এবং এই অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শর্ট মেইলবক্স, ক্যালেন্ডার, এক্সচেঞ্জ পাবলিক ফোল্ডার সহ শেয়ার পয়েন্ট তালিকা এর সুবিধা পাওয়া যায়।
  • Microsoft Onenote: microsoft এর অন্যান্য এপ্লিকেশন গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অ্যাপ্লিকেশন হল microsoft onenote.
  • অপরদিকে এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ্লিকেশন কে উইন্ডোজ টেন এর একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আর এটি হল মাইক্রোসফট অফিস এর একটি ওয়েব ভিত্তিক সংস্করণ।
  • যা মূলত বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
  • Microsoft Word: এটি হলো এক ধরনের গ্রাফিক্যাল ওয়ার্ড প্রসেসিং অ্যাপ্লিকেশন। এবং এর মধ্যে একজন ব্যক্তি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস, প্রতিবেদন, বই, নথি ইত্যাদি লিখতে পারবে এবং সম্পাদনা করতে পারবে।
  • এর পাশাপাশি এই অ্যাপ্লিকেশন এর মধ্যে আপনি আরো অনেক ধরনের টুলস দেখতে পারবেন। যে গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • Microsoft Powerpoint: মাইক্রোসফট অফিস এর মধ্যে থাকা আরো একটি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যে অ্যাপ্লিকেশন এর নাম হল, microsoft powerpoint.
  • মূলত আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি। তাদের জন্য এই অ্যাপ্লিকেশন টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
  • কারণ এই অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে খুব দ্রুত একটি প্রজেক্ট তৈরি করা সম্ভব।

তো মাইক্রোসফট অফিসের মধ্যে কি কি রয়েছে। সেই বিষয় গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এবং সেখানে আমি মাইক্রোসফট অফিসের বেশ কিছু প্রোডাক্ট এর কথা বলেছি। যেগুলো আমরা কম বেশি ব্যবহার করে থাকি।

FAQ – Microsoft Office

Q:অফিস বাটনে কী কী আছে?

A: Microsoft Office এর মধ্যে বিশেষ একটি বাটন রয়েছে। যাকে বলা হয়ে থাকে, অফিস বাটন। মূলত যখন আপনি এই বাঁটনের উপর ক্লিক করবেন।

তখন হোম সেভ, সেভ এস ইত্যাদি অপশন চলে আসবে। আর আপনি যখন মাইক্রোসফট অফিস ওপেন করবেন।

তখন আপনি উইন্ডোজ কি (Windows Key) চাপলে এই কাজটি করতে পারবেন।

Q: Ms word কিভাবে চালু করতে হয়?

A: যারা মূলত নতুন কম্পিউটার ব্যবহার করি। তাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, Ms word কিভাবে চালু করতে হয়।

আসলে সবার আগে আপনাকে কম্পিউটারের মধ্যে মাইক্রোসফট অফিস নামক সফটওয়্যার টি ইন্সটল করতে হবে। তারপরে আপনি এই microsoft word নামক অ্যাপ্লিকেশন টি ব্যবহার করতে পারবেন।

Q: Microsoft word এর কাজ কি?

A: microsoft word এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেক্সট ডকুমেন্ট সম্পাদনা করা হয়। এবং আপনি বিভিন্ন ধরনের টেক্সট ডকুমেন্ট এর মাধ্যমে তৈরি করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি microsoft word এর মধ্যে আরও বিভিন্ন রকমের টুলস রয়েছে। যেমন, টেবিল যুক্ত করা, ফাইল যুক্ত করা, পিডিএফ ফাইল তৈরি করা ইত্যাদি।

Q:Microsoft এর কাজ কি?

A: microsoft এর বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে। কেননা প্রথমত মাইক্রোসফট সফটওয়্যার, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স এর পাশাপাশি।

আরো আনুষঙ্গিক সেবা, উন্নয়ন, উৎপাদন এবং অনুমোদন সহ বিক্রি করে থাকে। আর এই কোম্পানি থেকে তৈরি হওয়া বিশেষ একটি প্রোডাক্ট হলো, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম।

যা মূলত গোটা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত রয়েছে। এর পাশাপাশি microsoft থেকে এক ধরনের বিশেষ ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করা হয়েছে।

আপনি আরোও দেখুন…

মাইক্রোসফট অফিস নিয়ে কিছু কথা

Microsoft Office কি এবং Microsoft office এর কাজ কি সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এবং আমি আপনাকে যথেষ্ট সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি যে, মাইক্রোসফট অফিস কি।

তো আশা করি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি মাইক্রোসফট সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন।

আর আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড তথ্য গুলো সবার আগে শেয়ার করার চেষ্টা করি। যদি আপনি আমাদের সাথে থাকেন।

তাহলে এই তথ্য গুলো খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে আমার এই লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top